ঢাকা ০৯:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলাতে বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে বাসভবনে যাবেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী Logo বিধিমালা ভঙ্গের পরও হামীমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি কমিশন: বাকের Logo জনগণের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে: জি কে গউছ Logo মুন্সীগঞ্জে ছাত্রশিবিরের “A+ সংবর্ধনা” অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে উদ্দীপনা Logo এখন জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হওয়ার স্বপ্ন দেখছে: নুর Logo শেখ হাসিনা যা চাচ্ছেন, পিআর পদ্ধতি অনেকটা ওইরকম: রিজভী Logo কেন্দ্র দখল করলেই ভোট বাতিল করা হবে: সিইসি নাসির উদ্দিন Logo বাজারে কমছে চালের দাম,বন্দরে ঢুকছে ভারতীয় চাল বোঝাই শত শত ট্রাক Logo চকরিয়া থানায় যুবকের মৃত্যু: এএসআইসহ ৩ পুলিশ প্রত্যাহার

পাবনায় আ.লীগ নেতার অতর্কিত গুলিতে ৩ শিক্ষার্থী নিহত

পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে গুলিবর্ষণের ঘটনায় তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এছাড়া কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন।

রোববার (৪ আগষ্ট) দুপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া তত্ত্বাবধানে সহস্রাধিক শিক্ষার্থীরা পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের আব্দুল হামিদ সড়কের জেবি মোড়ে অবস্থান নিয়ে নানা স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় শিক্ষার্থীদের সমাবেশে পেছন থেকে অতর্কিত গুলি বর্ষণ করা করা হয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী জাহিদু ইসলাম (১৯), মাহবুবুল হোসেন (১৬), ফাহিম (১৭) নামের তিন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রফিকুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনার পর থেকে শিক্ষার্থীরা আব্দুল হামিদ সড়কে অবস্থান করছে।

এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়লে কিছু সময়ের জন্য বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। মৃত্যুর খবর শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও জ্বালাময়ী স্লোগানে তাদের দাবি প্রকাশ করে। দফায় দফায় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ঘোষিত কর্মসূচি পালন করছিল। এ সময় পেছন থেকে পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শিবলী সাদিক পৃথক পৃথক হামলা চালায়। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য নেতা আবু সাঈদ এলোপাথারী গুলি ছোঁড়ে। পুলিশ ধাওয়া দিলে তারা পিছু হটে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

বিক্ষোভকারী একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের ৩৫ জন ভাই আহত হয়। তাদেরকে আমরা দ্রুত পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় হাসপাতালে তিনজন মারা গেছে।

পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শিবলী সাদিক ও তার লোকজন শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাদের ধাওয়া করে। এ সময় তারা পিছু হটলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা যুবলীগের ওই নেতার অফিস ভাঙচুর করে। এছাড়া তারা শহরের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর করে। এ ঘটনার পর দ্বিতীয় দফায় আওয়ামী লীগ নেতা সাঈদ চেয়ারম্যান ও তার লোকজন সশস্ত্র অবস্থায় হামলা চালালে পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দিলে তারা পিছু হটে। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সাঈদ চেয়ারম্যানের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এ আগুন একটি ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

জনপ্রিয় সংবাদ

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলাতে বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

পাবনায় আ.লীগ নেতার অতর্কিত গুলিতে ৩ শিক্ষার্থী নিহত

আপডেট সময় ০২:৩৬:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪

পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে গুলিবর্ষণের ঘটনায় তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এছাড়া কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন।

রোববার (৪ আগষ্ট) দুপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া তত্ত্বাবধানে সহস্রাধিক শিক্ষার্থীরা পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের আব্দুল হামিদ সড়কের জেবি মোড়ে অবস্থান নিয়ে নানা স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় শিক্ষার্থীদের সমাবেশে পেছন থেকে অতর্কিত গুলি বর্ষণ করা করা হয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী জাহিদু ইসলাম (১৯), মাহবুবুল হোসেন (১৬), ফাহিম (১৭) নামের তিন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রফিকুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনার পর থেকে শিক্ষার্থীরা আব্দুল হামিদ সড়কে অবস্থান করছে।

এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়লে কিছু সময়ের জন্য বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। মৃত্যুর খবর শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও জ্বালাময়ী স্লোগানে তাদের দাবি প্রকাশ করে। দফায় দফায় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ঘোষিত কর্মসূচি পালন করছিল। এ সময় পেছন থেকে পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শিবলী সাদিক পৃথক পৃথক হামলা চালায়। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য নেতা আবু সাঈদ এলোপাথারী গুলি ছোঁড়ে। পুলিশ ধাওয়া দিলে তারা পিছু হটে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

বিক্ষোভকারী একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের ৩৫ জন ভাই আহত হয়। তাদেরকে আমরা দ্রুত পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় হাসপাতালে তিনজন মারা গেছে।

পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শিবলী সাদিক ও তার লোকজন শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাদের ধাওয়া করে। এ সময় তারা পিছু হটলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা যুবলীগের ওই নেতার অফিস ভাঙচুর করে। এছাড়া তারা শহরের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর করে। এ ঘটনার পর দ্বিতীয় দফায় আওয়ামী লীগ নেতা সাঈদ চেয়ারম্যান ও তার লোকজন সশস্ত্র অবস্থায় হামলা চালালে পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দিলে তারা পিছু হটে। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সাঈদ চেয়ারম্যানের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এ আগুন একটি ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।