ঢাকা ০১:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের সাথে আলোচনা স্থগিত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

বাংলাদেশের সাথে আলোচনা স্থগিত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

নতুন সহযোগিতা চুক্তিতে বাংলাদেশের সাথে আলোচনা স্থগিত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বুধবার ইইউ-এর পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চলতি মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সংঘাতে দেড় শতাধিক নিহতের ঘটনায় সমালোচনা করেছিল ইইউ। এর পরপরই জোটের পক্ষ থেকে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধান বাণিজ্য অংশীদার হচ্ছে ইইউ। ২০২৩ সালে বাংলাদেশের বাণিজ্যের ২০ দশমিক ৭ শতাংশ হয়েছিল ইইউ’র সঙ্গে। নতুন সহযোগিতা চুক্তিতে বাংলাদেশ ও ইইউ-এর মধ্যে বাণিজ্য, অর্থনৈতিক ও উন্নয়নমূলক সম্পর্ক বাড়ানোর কথা বলা হয়েছিল। ইইউ-এর পররাষ্ট্র নীতি প্রধান জোসেপ বোরেল গত সপ্তাহে বাংলাদেশে ‘দেখামাত্র গুলি’ এবং ‘কর্তৃপক্ষের সংঘটিত’ হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের হত্যা, গণগ্রেপ্তার এবং সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির সমালোচনা করেছিলেন। বাংলাদেশ সরকার অবশ্য তাজা গুলি ছোড়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক মুখপাত্র নাবিলা মাসরালি রয়টার্সকে একটি ইমেলে বলেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে সেপ্টেম্বরের জন্য পরিকল্পিত অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির প্রথম দফার আলোচনা স্থগিত করা হয়েছে এবং পরবর্তী কোনো তারিখ এখনো ঠিক করা হয়নি।’

বাংলাদেশ অবশ্য জানিয়েছে ১০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সময় সূচির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ার কারণে আলোচনাটি নভেম্বর পর্যন্ত বিলম্বিত হয়েছে।

বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব উত্তম কুমার কর্মকার বলেছেন, ‘এই বিলম্বটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের কারণে হয়েছিল এবং সাম্প্রতিক সহিংসতার আগে এটি ঠিক করা হয়েছিল। বাংলাদেশের এই প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশের সাথে আলোচনা স্থগিত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

আপডেট সময় ০৯:০৭:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪

নতুন সহযোগিতা চুক্তিতে বাংলাদেশের সাথে আলোচনা স্থগিত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বুধবার ইইউ-এর পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চলতি মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সংঘাতে দেড় শতাধিক নিহতের ঘটনায় সমালোচনা করেছিল ইইউ। এর পরপরই জোটের পক্ষ থেকে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধান বাণিজ্য অংশীদার হচ্ছে ইইউ। ২০২৩ সালে বাংলাদেশের বাণিজ্যের ২০ দশমিক ৭ শতাংশ হয়েছিল ইইউ’র সঙ্গে। নতুন সহযোগিতা চুক্তিতে বাংলাদেশ ও ইইউ-এর মধ্যে বাণিজ্য, অর্থনৈতিক ও উন্নয়নমূলক সম্পর্ক বাড়ানোর কথা বলা হয়েছিল। ইইউ-এর পররাষ্ট্র নীতি প্রধান জোসেপ বোরেল গত সপ্তাহে বাংলাদেশে ‘দেখামাত্র গুলি’ এবং ‘কর্তৃপক্ষের সংঘটিত’ হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের হত্যা, গণগ্রেপ্তার এবং সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির সমালোচনা করেছিলেন। বাংলাদেশ সরকার অবশ্য তাজা গুলি ছোড়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক মুখপাত্র নাবিলা মাসরালি রয়টার্সকে একটি ইমেলে বলেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে সেপ্টেম্বরের জন্য পরিকল্পিত অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির প্রথম দফার আলোচনা স্থগিত করা হয়েছে এবং পরবর্তী কোনো তারিখ এখনো ঠিক করা হয়নি।’

বাংলাদেশ অবশ্য জানিয়েছে ১০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সময় সূচির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ার কারণে আলোচনাটি নভেম্বর পর্যন্ত বিলম্বিত হয়েছে।

বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব উত্তম কুমার কর্মকার বলেছেন, ‘এই বিলম্বটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের কারণে হয়েছিল এবং সাম্প্রতিক সহিংসতার আগে এটি ঠিক করা হয়েছিল। বাংলাদেশের এই প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি ইউরোপীয় ইউনিয়ন।