ঢাকা ০৪:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু Logo চীনে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যা বলেছিলেন ড. ইউনূস? যেজন্য হতভম্ব ভারত Logo জামায়াতের ঈদ উপলক্ষে প্রীতি ভোজের ঘটনায় বিএনপি – যুবলীগের হামলা Logo শহীদ নাসিব হাসান রিহান-এর পরিবারের সদস্যদের সাথে আমীরে জামায়াতের ঈদ কুশল বিনিময় Logo ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ Logo মিয়ানমারে ভূমিকম্প: ২ হাজার ছাড়াল নিহতের সংখ্যা Logo গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: খালেদা জিয়া Logo ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের পদত্যাগ Logo ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’স্লোগান, বিএনপির সাথে সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধ ১ Logo আইপিএলসহ টিভিতে যা দেকবেন আজ

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী রেজা জুয়েল আর নেই

এক যুগেরও বেশি সময় ধরে যে ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ চলিয়েছেন সংগীতশিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। সেটার সমাপ্তি ঘটলো মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বেলা ১১টা ৫৩ মিনিটে, রাজধানীর এক বেসরকারি হাসপাতালে। মারা গেলেন ‘সেদিনের এক বিকেলে’-খ্যাত এই শিল্পী। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

জুয়েলের মৃত্যুর খবর গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তার মেজ ভাই মহিবুর রেজা রুবেল। তিনি বলেন, ‘শেষ কয়েক দিন জুয়েল অনেক যুদ্ধ করেছেন। শেষ পর্যন্ত ফিরে আসলেন না। সবাই তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করবেন।’

জুয়েলের জানাজা ও দাফন নিয়ে তিনি জানান, আজ বাদ আসর গুলশানের আজাদ মসজিদে জুয়েলের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সন্ধ্যার পর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে বলেও জানিয়েছেন মহিবুর রেজা রুবেল।

২০১১ সালে জুয়েলের লিভার ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর ফুসফুস এবং হাড়েও ক্যানসার সংক্রমিত হয়। তখন থেকেই দেশে ও বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল। ফের তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল এ গায়ককে।

১৯৯৩ সালে প্রকাশিত হয় জুয়েলের প্রথম অ্যালবাম ‘কুয়াশা প্রহর’। এরপর ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় ‘এক বিকেলে’ (১৯৯৪), ‘আমার আছে অন্ধকার’ (১৯৯৫), ‘একটা মানুষ’ (১৯৯৬), ‘দেখা হবে না’ (১৯৯৭), ‘বেশি কিছু নয়’ (১৯৯৮), ‘বেদনা শুধুই বেদনা’ (১৯৯৯), ‘ফিরতি পথে’ (২০০৩), ‘দরজা খোলা বাড়ি’ (২০০৯), ‘এমন কেন হলো’ (২০১৭)।

একটি করে গান নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে জুয়েলের আরো দুটি অ্যালবাম। এগুলো হলো ‘তাতে কি বা আসে যায়’ (২০১৬), ‘এই সবুজের ধানক্ষেত’ (২০১৬)। ১৯৯৪ সালে ‘এক বিকেলে’ অ্যালবামটি প্রকাশের পরই দারুণ শ্রোতাপ্রিয়তা লাভ করেন এই গায়ক। সংগীতশিল্পী হিসেবে সর্বাধিক পরিচিত হলেও জুয়েলের আরো একটি পরিচয় হলো টিভি অনুষ্ঠান ও তথ্যচিত্র নির্মাতা হিসেবে। পাশাপাশি অনেক টিভি অনুষ্ঠানও সঞ্চালনা করেছেন তিনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী রেজা জুয়েল আর নেই

আপডেট সময় ০৭:৫১:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪

এক যুগেরও বেশি সময় ধরে যে ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ চলিয়েছেন সংগীতশিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। সেটার সমাপ্তি ঘটলো মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বেলা ১১টা ৫৩ মিনিটে, রাজধানীর এক বেসরকারি হাসপাতালে। মারা গেলেন ‘সেদিনের এক বিকেলে’-খ্যাত এই শিল্পী। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

জুয়েলের মৃত্যুর খবর গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তার মেজ ভাই মহিবুর রেজা রুবেল। তিনি বলেন, ‘শেষ কয়েক দিন জুয়েল অনেক যুদ্ধ করেছেন। শেষ পর্যন্ত ফিরে আসলেন না। সবাই তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করবেন।’

জুয়েলের জানাজা ও দাফন নিয়ে তিনি জানান, আজ বাদ আসর গুলশানের আজাদ মসজিদে জুয়েলের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সন্ধ্যার পর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে বলেও জানিয়েছেন মহিবুর রেজা রুবেল।

২০১১ সালে জুয়েলের লিভার ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর ফুসফুস এবং হাড়েও ক্যানসার সংক্রমিত হয়। তখন থেকেই দেশে ও বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল। ফের তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল এ গায়ককে।

১৯৯৩ সালে প্রকাশিত হয় জুয়েলের প্রথম অ্যালবাম ‘কুয়াশা প্রহর’। এরপর ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় ‘এক বিকেলে’ (১৯৯৪), ‘আমার আছে অন্ধকার’ (১৯৯৫), ‘একটা মানুষ’ (১৯৯৬), ‘দেখা হবে না’ (১৯৯৭), ‘বেশি কিছু নয়’ (১৯৯৮), ‘বেদনা শুধুই বেদনা’ (১৯৯৯), ‘ফিরতি পথে’ (২০০৩), ‘দরজা খোলা বাড়ি’ (২০০৯), ‘এমন কেন হলো’ (২০১৭)।

একটি করে গান নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে জুয়েলের আরো দুটি অ্যালবাম। এগুলো হলো ‘তাতে কি বা আসে যায়’ (২০১৬), ‘এই সবুজের ধানক্ষেত’ (২০১৬)। ১৯৯৪ সালে ‘এক বিকেলে’ অ্যালবামটি প্রকাশের পরই দারুণ শ্রোতাপ্রিয়তা লাভ করেন এই গায়ক। সংগীতশিল্পী হিসেবে সর্বাধিক পরিচিত হলেও জুয়েলের আরো একটি পরিচয় হলো টিভি অনুষ্ঠান ও তথ্যচিত্র নির্মাতা হিসেবে। পাশাপাশি অনেক টিভি অনুষ্ঠানও সঞ্চালনা করেছেন তিনি।