ঢাকা ০২:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo তুরস্কে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প, ধসে পড়েছে অনেক ভবন Logo পুলিশের বিশেষ অভিযানে মামা বাহিনীর সদস্য ও কুখ্যাত সন্ত্রাসী সিরাজ গ্রেপ্তার Logo র‍্যাগিংয়ের দায়ে জবির ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার,৪ জনের ক্লাস নিষেধাজ্ঞা Logo তুরস্কে ভয়াভহ ভূমিকম্পের আঘাত, ধসে পড়েছে বহু ভবন Logo চানখারপুল আনাসসহ ৬ হত্যা মামলা: হাবিবুরসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ আজ Logo জবিতে নারী নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের অভিযোগ যার বিরুদ্ধে, ছাত্রদলের প্যাডে তিনিই পাঠালেন বিবৃতি Logo আজ তিন দিনের সফরে মালয়েশিয়া যাবে প্রধান উপদেষ্টা Logo জামায়াত আমিরকে দেখতে গিয়েছিলেন হাসপাতালে নিরাপত্তা উপদেষ্টা Logo আল জাজিরার ৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরায়েল Logo লক্ষ্মীপুরে অস্ত্র-মাদকসহ যুবদল নেতা আটক

ভিপি নুরকে রিমান্ডে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে: গণঅধিকার পরিষদ

ভিপি নুরকে রিমান্ডে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে: গণঅধিকার পরিষদ

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে রিমান্ডের নামে অমানবিক শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার দল।

গণঅধিকার পরিষদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২০ জুলাই ভোর বেলা তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে ৩৯ ঘণ্টা পর তাকে আদালতে তোলা হয়। আদালতে তোলার পূর্বেও তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে যা নুরুল হক নুর আদালতকে অবহিত করেন। ঐদিন আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শুক্রবার ৫ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে তোলা হলে নুরুল হক নুর ঠিকমতো হাঁটতে পারছিলেন না, পুলিশের কাঁধে ভর দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়েই এজলাসে আসেন, এ সময় নুরুল হক নুর তার স্ত্রী ও আইনজীবীদের জানান-যে গত ৫ দিন রিমান্ডের নামে তাকে অমানবিক শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে, তাকে ঝুলিয়ে পিটানো হয়েছে এবং ইনজেকশন পুশ করা হয়েছে। রিমান্ড শেষে আজকে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। নুরুল হক নুরকে রিমান্ডের নামে অমানবিক শারীরিক নির্যাতনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে গণঅধিকার পরিষদ।

বিগত কয়েকদিন যাবত সরকার অন্যায়ভাবে কোনো প্রকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীদের আটক করছে। আটকের পর নেতাদের রিমান্ডে নিয়ে মিথ্যা জবানবন্দি নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যা সম্পূর্ণ অনৈতিক ও অন্যায় কাজ। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে গণ গ্রেপ্তারের নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার বাণিজ্য চালাচ্ছে। একদিকে সরকার ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত করে তাদের মনগড়া মিথ্যা বানোয়াট তথ্য সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করছে অন্য দিকে দেশের আসল চিত্র আড়াল করার চেষ্টা করছে।

সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণের ফলে দেশের গণমাধ্যম সঠিক সংবাদ জনগণের কাছে তুলে ধরতে পারছে না। গণঅধিকার পরিষদ এই গণগ্রেপ্তার বন্ধ, সম্পূর্ণভাবে ইন্টারনেট চালু করা, কারফিউ তুলে নেওয়া ও দেশে ঘটে যাওয়া গণহত্যার আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানায়।

জনপ্রিয় সংবাদ

তুরস্কে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প, ধসে পড়েছে অনেক ভবন

ভিপি নুরকে রিমান্ডে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে: গণঅধিকার পরিষদ

আপডেট সময় ০৯:৪৮:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে রিমান্ডের নামে অমানবিক শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার দল।

গণঅধিকার পরিষদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২০ জুলাই ভোর বেলা তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে ৩৯ ঘণ্টা পর তাকে আদালতে তোলা হয়। আদালতে তোলার পূর্বেও তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে যা নুরুল হক নুর আদালতকে অবহিত করেন। ঐদিন আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শুক্রবার ৫ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে তোলা হলে নুরুল হক নুর ঠিকমতো হাঁটতে পারছিলেন না, পুলিশের কাঁধে ভর দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়েই এজলাসে আসেন, এ সময় নুরুল হক নুর তার স্ত্রী ও আইনজীবীদের জানান-যে গত ৫ দিন রিমান্ডের নামে তাকে অমানবিক শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে, তাকে ঝুলিয়ে পিটানো হয়েছে এবং ইনজেকশন পুশ করা হয়েছে। রিমান্ড শেষে আজকে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। নুরুল হক নুরকে রিমান্ডের নামে অমানবিক শারীরিক নির্যাতনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে গণঅধিকার পরিষদ।

বিগত কয়েকদিন যাবত সরকার অন্যায়ভাবে কোনো প্রকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীদের আটক করছে। আটকের পর নেতাদের রিমান্ডে নিয়ে মিথ্যা জবানবন্দি নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যা সম্পূর্ণ অনৈতিক ও অন্যায় কাজ। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে গণ গ্রেপ্তারের নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার বাণিজ্য চালাচ্ছে। একদিকে সরকার ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত করে তাদের মনগড়া মিথ্যা বানোয়াট তথ্য সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করছে অন্য দিকে দেশের আসল চিত্র আড়াল করার চেষ্টা করছে।

সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণের ফলে দেশের গণমাধ্যম সঠিক সংবাদ জনগণের কাছে তুলে ধরতে পারছে না। গণঅধিকার পরিষদ এই গণগ্রেপ্তার বন্ধ, সম্পূর্ণভাবে ইন্টারনেট চালু করা, কারফিউ তুলে নেওয়া ও দেশে ঘটে যাওয়া গণহত্যার আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানায়।