ঢাকা ১২:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় মাহমুদউল্লাহর Logo বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় মেহেন্দিগঞ্জ ছাত্রকল্যাণ সমিতির নেতৃত্বে জহিরুল – নাজমুল Logo নোয়াখালীতে ব্যবসায়ীদের সংগঠন আইবিডব্লিউএফ এর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo লিবিয়া থেকে দেশে ফিরছে ১৭৬ বাংলাদেশি Logo “আ. লীগের বিচার নিশ্চিত হওয়ার আগে কোনো আলাপ নয়, ফুলস্টপ” Logo ‘জান দেব, জুলাই দেব না’, স্লোগানে-স্লোগানে উত্তাল শাহবাগ Logo প্রেমে রাজি না হওয়ায় কিশোরীকে ধর্ষণ, মামলা তুলে না নেওয়ায় বাবাকে হত্যার অভিযোগ Logo উপদেষ্টা পদে ৮ জনের শপথ, ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া পত্রটি ভুয়া: প্রেস সচিব Logo বগুড়ায় ট্রা‌কের ধাক্কায় মা-মে‌য়ের মৃত্যু Logo হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সারের জামিন

রামপুরায় কোটাবিরোধী আন্দোলনে সংঘর্ষ, পুলিশ বক্সে আগুন

রাজধানীর রামপুরা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীরা রামপুরা ব্রিজসংলগ্ন পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ ঘটায়। তাদেরকে প্রতিহত করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। দুই পক্ষের সংঘর্ষে আতঙ্কিত হয়ে পথচারীরা এদিক-ওদিক ছুটটে থাকেন। পুরো এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সকাল থেকেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা রামপুরা এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। বেলা ১১টার দিকে রামপুরা ব্রিজে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মিছিল শুরু করেন। এ সময় তাদের ঠেকাতে পুলিশ কাঁদানে নিক্ষেপ করেন। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এক পর্যায়ে রামপুরা ব্রিজসংলগ্ন পুলিশ বক্স ও পুলিশের মোটোরসাইকেল ভাঙচুর করে। এরপর সেখানে অগ্নিসংযোগ ঘটায়।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। ফলে মেরুল-বাড্ডা এলাকা দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

বাড্ডা থানার ডিউটি অফিসার উপপুলিশ পরিদর্শক মিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থীদের অবরোধ কেন্দ্র করে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

কোটাবিরোধী আন্দোলনে পুলিশ-বিজিবি-র‍্যাব ও সোয়াটের হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা এবং কোটাব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ পালন করা হচ্ছে বলে জানান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকে ঘিরে গত কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে ছয় জন নিহত হয়েছেন।

বুধবার (১৭ জুলাই) ছুটির দিনেও ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছাত্রবিক্ষোভ, সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ, গায়েবানা জানাজা, কফিন মিছিল ও দফায় দফায় সংঘর্ষ এবং পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় মাহমুদউল্লাহর

রামপুরায় কোটাবিরোধী আন্দোলনে সংঘর্ষ, পুলিশ বক্সে আগুন

আপডেট সময় ০১:৫২:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪

রাজধানীর রামপুরা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীরা রামপুরা ব্রিজসংলগ্ন পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ ঘটায়। তাদেরকে প্রতিহত করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। দুই পক্ষের সংঘর্ষে আতঙ্কিত হয়ে পথচারীরা এদিক-ওদিক ছুটটে থাকেন। পুরো এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সকাল থেকেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা রামপুরা এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। বেলা ১১টার দিকে রামপুরা ব্রিজে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মিছিল শুরু করেন। এ সময় তাদের ঠেকাতে পুলিশ কাঁদানে নিক্ষেপ করেন। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এক পর্যায়ে রামপুরা ব্রিজসংলগ্ন পুলিশ বক্স ও পুলিশের মোটোরসাইকেল ভাঙচুর করে। এরপর সেখানে অগ্নিসংযোগ ঘটায়।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। ফলে মেরুল-বাড্ডা এলাকা দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

বাড্ডা থানার ডিউটি অফিসার উপপুলিশ পরিদর্শক মিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থীদের অবরোধ কেন্দ্র করে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

কোটাবিরোধী আন্দোলনে পুলিশ-বিজিবি-র‍্যাব ও সোয়াটের হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা এবং কোটাব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ পালন করা হচ্ছে বলে জানান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকে ঘিরে গত কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে ছয় জন নিহত হয়েছেন।

বুধবার (১৭ জুলাই) ছুটির দিনেও ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছাত্রবিক্ষোভ, সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ, গায়েবানা জানাজা, কফিন মিছিল ও দফায় দফায় সংঘর্ষ এবং পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।