ঢাকা ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারাল বিশ্বকাপে যায়গা না পাওয়া দল মহররমের চাঁদ দেখা যায়নি, আশুরা ১৭ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের জিম্মি মুক্তির বিষয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করেছে হামাস চলমান আন্দোলনকে আদালত বিরোধী বলা দেশকে মেধাশূণ্য করার নামান্তর: ইসলামী আন্দোলন নারীর গোসলের ভিডিও করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক পুলিশ সদস্য ডুয়েট শিক্ষার্থী রিফাত-তাওহীদ এর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সক্রিয় চাঁদাবাজ চক্র রাতের আঁধারে ১০ হাজার কলাগাছ কেটে দেওয়ার অভিযোগ বগুড়ায় স্বপ্নপূরণ স্কুলে দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ কর্মশালা যুক্তরাজ্যে লেবার পার্টি থেকে এমপি হলেন ২২ বছরের স্যাম কার্লিং কোটা ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে সংবিধানবিরোধী: জি এম কাদের

হিজবুল্লাহর কারণে গাজায় ঢুকতে ভয় পাচ্ছে ইসরাইলি স্থলবাহিনী

ইসরাইলের অভ্যন্তরে গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের হামলার পর থেকেই বলা হচ্ছে, যেকোনো সময় ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করবে। তারা তিন লাখের বেশি সৈন্য, অত্যাধুনিক ট্যাংক এবং অন্যান্য অস্ত্র গাজা সীমান্তে সমবেত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জার্মানিসহ পাশ্চাত্যের দেশগুলোও অকুণ্ঠ সমর্থন দিচ্ছে, নানাভাবে সহায়তা করছে। কিন্তু বেশ কয়েক দিন হয়ে গেলেও ওই হামলা শুরু হয়নি। কেন তা হয়নি, তা নিয়ে নানা ধরনের বিশ্লেষণ চলছে। ইসরাইলের ওয়াইনেটের উদ্ধৃতি দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক একটি পোর্টাল জানিয়েছে, স্থল হামলা শুরু বিলম্ব হওয়ার অন্যতম কারণ হলো লেবাননের হিজবুল্লহ মুভমেন্টের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া। ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনী মনে করে যে ‘গাজায় ইসরাইলি অভিযান জোরদার হওয়া মাত্র হিজবুল্লাহও তাদের মাত্রা বাড়িয়ে দেবে।’ইসরাইলের মাথাব্যথার আরেকটি কারণ হলো হিজবুল্লাহর মদতদাতা ইরানের ভূমিকা কী হতে পারে তা নিয়ে চিন্তা। ইরান এতে জড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি কোন দিতে যাবে, তা নিয়ে তারা ভাবছে।

ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসাইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান জানিয়েছেন, গাজায় যদি ইসরাইল তার আগ্রাসন বন্ধ না করে, তবে তারা হস্তক্ষেপ করবে। জায়নবাদী আগ্রাসন বন্ধ না হলে এই অঞ্চলের সকল পক্ষের হাত ট্রিগারে যাবে। ইতোমধ্যেই লেবানন সীমান্তে ইসরাইল উত্তাপ অনুভব করছে। ইসরাইলিদের সাথে হিজবুল্লাহ গোলাবিনিময় শুরু করে দিয়েছে।

এদিকে ইসরাইলের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পূর্ণ সমর্থন দিলেও ইসরাইলের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা নিয়ে বাইডেন প্রশাসন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মার্কিন মিডিয়ার খবরে জানা গেছে, ইসরাইলের সম্ভবত হামলার পর কী করা হবে, সে সম্পর্কে কোনো পরিকল্পনা নেই। ফলে এরপর উত্তেজনা কোন দিকে গড়াবে, তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।

বাইডেন প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, স্থল হামলা হলে তার কোনো সুস্পষ্ট শেষ বিন্দু থাকবে না। ফলে ইসরাইল এবং তার মিত্র ও অন্যরা মারাত্মক সঙ্কটে পড়ে যাবে।

আবার ইসরাইলের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের মধ্যে যুদ্ধ নিয়ে মতানৈক্য সৃষ্টি হয়েছে। নেতানিয়াহু চান, যুদ্ধ গাজাতে সীমিত থাকুক। কিন্তু গ্যালান্ট পুরো অঞ্চলে যুদ্ধ ছড়িয়ে দিতে চান। এই মতানৈক্যও হামলা বিলম্বিত করছে। আবার গাজায় হামাসের হাতে বন্দীদের নিয়েও ইসরাইলে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নেতানিয়াহুর পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনা বাড়ছে।

চলতি সপ্তাহে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে বন্দীদের স্বজনরা বিক্ষোভ করে বলেছেন, তাদের মনে হচ্ছে যে ইসরাইলি নেতারা তাদের পরিত্যাগ করেছেন। তাদেরকে খুব কম তথ্যই দিয়েছেন।

অনেক ইসরাইলি অভিযোগ করছেন, নেতানিয়াহু এবং তার মন্ত্রীরা নিজেদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বাঁচানোর চেষ্টা করচেন, ইসরাইলি নাগরিকদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন না।

উল্লেখ্য, মার্কিন ও ইসরাইলি কর্মকর্তারা ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামাসের হামলাকে হলুকাস্টের পর ইহুদিদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে প্রাণঘাতী আক্রমণ মনে করছেন।

ট্যাগস :

বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারাল বিশ্বকাপে যায়গা না পাওয়া দল

হিজবুল্লাহর কারণে গাজায় ঢুকতে ভয় পাচ্ছে ইসরাইলি স্থলবাহিনী

আপডেট সময় ০৬:৩২:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৩

ইসরাইলের অভ্যন্তরে গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের হামলার পর থেকেই বলা হচ্ছে, যেকোনো সময় ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করবে। তারা তিন লাখের বেশি সৈন্য, অত্যাধুনিক ট্যাংক এবং অন্যান্য অস্ত্র গাজা সীমান্তে সমবেত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জার্মানিসহ পাশ্চাত্যের দেশগুলোও অকুণ্ঠ সমর্থন দিচ্ছে, নানাভাবে সহায়তা করছে। কিন্তু বেশ কয়েক দিন হয়ে গেলেও ওই হামলা শুরু হয়নি। কেন তা হয়নি, তা নিয়ে নানা ধরনের বিশ্লেষণ চলছে। ইসরাইলের ওয়াইনেটের উদ্ধৃতি দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক একটি পোর্টাল জানিয়েছে, স্থল হামলা শুরু বিলম্ব হওয়ার অন্যতম কারণ হলো লেবাননের হিজবুল্লহ মুভমেন্টের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া। ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনী মনে করে যে ‘গাজায় ইসরাইলি অভিযান জোরদার হওয়া মাত্র হিজবুল্লাহও তাদের মাত্রা বাড়িয়ে দেবে।’ইসরাইলের মাথাব্যথার আরেকটি কারণ হলো হিজবুল্লাহর মদতদাতা ইরানের ভূমিকা কী হতে পারে তা নিয়ে চিন্তা। ইরান এতে জড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি কোন দিতে যাবে, তা নিয়ে তারা ভাবছে।

ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসাইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান জানিয়েছেন, গাজায় যদি ইসরাইল তার আগ্রাসন বন্ধ না করে, তবে তারা হস্তক্ষেপ করবে। জায়নবাদী আগ্রাসন বন্ধ না হলে এই অঞ্চলের সকল পক্ষের হাত ট্রিগারে যাবে। ইতোমধ্যেই লেবানন সীমান্তে ইসরাইল উত্তাপ অনুভব করছে। ইসরাইলিদের সাথে হিজবুল্লাহ গোলাবিনিময় শুরু করে দিয়েছে।

এদিকে ইসরাইলের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পূর্ণ সমর্থন দিলেও ইসরাইলের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা নিয়ে বাইডেন প্রশাসন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মার্কিন মিডিয়ার খবরে জানা গেছে, ইসরাইলের সম্ভবত হামলার পর কী করা হবে, সে সম্পর্কে কোনো পরিকল্পনা নেই। ফলে এরপর উত্তেজনা কোন দিকে গড়াবে, তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।

বাইডেন প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, স্থল হামলা হলে তার কোনো সুস্পষ্ট শেষ বিন্দু থাকবে না। ফলে ইসরাইল এবং তার মিত্র ও অন্যরা মারাত্মক সঙ্কটে পড়ে যাবে।

আবার ইসরাইলের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের মধ্যে যুদ্ধ নিয়ে মতানৈক্য সৃষ্টি হয়েছে। নেতানিয়াহু চান, যুদ্ধ গাজাতে সীমিত থাকুক। কিন্তু গ্যালান্ট পুরো অঞ্চলে যুদ্ধ ছড়িয়ে দিতে চান। এই মতানৈক্যও হামলা বিলম্বিত করছে। আবার গাজায় হামাসের হাতে বন্দীদের নিয়েও ইসরাইলে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নেতানিয়াহুর পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনা বাড়ছে।

চলতি সপ্তাহে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে বন্দীদের স্বজনরা বিক্ষোভ করে বলেছেন, তাদের মনে হচ্ছে যে ইসরাইলি নেতারা তাদের পরিত্যাগ করেছেন। তাদেরকে খুব কম তথ্যই দিয়েছেন।

অনেক ইসরাইলি অভিযোগ করছেন, নেতানিয়াহু এবং তার মন্ত্রীরা নিজেদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বাঁচানোর চেষ্টা করচেন, ইসরাইলি নাগরিকদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন না।

উল্লেখ্য, মার্কিন ও ইসরাইলি কর্মকর্তারা ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামাসের হামলাকে হলুকাস্টের পর ইহুদিদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে প্রাণঘাতী আক্রমণ মনে করছেন।