ঢাকা ১১:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা কাপুরুষোচিত: ফখরুল

শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা কাপুরুষোচিত: ফখরুল

শিক্ষার্থীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ছাত্রলীগের হামলার ঘটনাকে ন্যক্কারজনক ও কাপুরুষোচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, কোটা সংস্কারের ন্যায্য দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সরকার বেসামাল হয়ে পড়েছে। সে জন্যই আন্দোলন দমাতে এখন নির্দয়ভাবে রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।

সোমবার (১৫ জুলাই) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ওপর ছাত্রলীগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, পুলিশ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা যৌথভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৈশাচিক হামলা চালিয়ে অসংখ্য ছাত্রছাত্রীকে আহত করেছে। ক্ষমতা হারানোর ভয়েই এই হিংস্র হামলা। শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবিকে রক্তাক্ত পন্থায় দমনের যে দৃশ্য দেশবাসী দেখল, তা ফ্যাসিবাদের আরেকটি হিংস্র অধ্যায় হিসেবে ইতিহাসে সংযোজিত হবে। এটাই আওয়ামী ফ্যাসিবাদের চিরাচরিত বৈশিষ্ট্য। এদের হাতে জনগণ, রাষ্ট্র, সমাজ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব কখনোই নিরাপদ নয়।

বিবৃতিতে কোটা নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকার ক্রমাগত প্রতারণা করে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য। অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালে কোটা বাতিলের পর চলতি বছর আবার ভিন্ন কায়দায় কোটা পুনর্বহাল করলেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর নির্মম আঘাত করতে যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ ছাত্রলীগের গুন্ডাদের লেলিয়ে দেয়, তারা মানবতাবিরোধী ও মনুষ্যত্বহীন। দুর্নীতি ও হানাহানি যাদের অবলম্বন, তারা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনেও শঙ্কিত হয়ে পড়ে। কারণ, লুটপাটের ভাবধারায় চালিত সরকারের দ্বারা কখনোই নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের কোনো অংশেরই অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তাই সম্মিলিত কণ্ঠের আওয়াজকে নিস্তব্ধ করতে তারা ভয়ংকর হিংস্রতার পথ বেছে নেয়।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, এই ধরনের পৈশাচিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের শাস্তি অবশ্যই পেতে হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

নোবিপ্রবিতে বায়োলজিক্যাল সায়েন্স বিষয়ক কর্মশালা ও সেমিনার অনুষ্ঠিত

শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা কাপুরুষোচিত: ফখরুল

আপডেট সময় ১১:২৯:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

শিক্ষার্থীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ছাত্রলীগের হামলার ঘটনাকে ন্যক্কারজনক ও কাপুরুষোচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, কোটা সংস্কারের ন্যায্য দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সরকার বেসামাল হয়ে পড়েছে। সে জন্যই আন্দোলন দমাতে এখন নির্দয়ভাবে রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।

সোমবার (১৫ জুলাই) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ওপর ছাত্রলীগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, পুলিশ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা যৌথভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৈশাচিক হামলা চালিয়ে অসংখ্য ছাত্রছাত্রীকে আহত করেছে। ক্ষমতা হারানোর ভয়েই এই হিংস্র হামলা। শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবিকে রক্তাক্ত পন্থায় দমনের যে দৃশ্য দেশবাসী দেখল, তা ফ্যাসিবাদের আরেকটি হিংস্র অধ্যায় হিসেবে ইতিহাসে সংযোজিত হবে। এটাই আওয়ামী ফ্যাসিবাদের চিরাচরিত বৈশিষ্ট্য। এদের হাতে জনগণ, রাষ্ট্র, সমাজ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব কখনোই নিরাপদ নয়।

বিবৃতিতে কোটা নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকার ক্রমাগত প্রতারণা করে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য। অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালে কোটা বাতিলের পর চলতি বছর আবার ভিন্ন কায়দায় কোটা পুনর্বহাল করলেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর নির্মম আঘাত করতে যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ ছাত্রলীগের গুন্ডাদের লেলিয়ে দেয়, তারা মানবতাবিরোধী ও মনুষ্যত্বহীন। দুর্নীতি ও হানাহানি যাদের অবলম্বন, তারা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনেও শঙ্কিত হয়ে পড়ে। কারণ, লুটপাটের ভাবধারায় চালিত সরকারের দ্বারা কখনোই নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের কোনো অংশেরই অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তাই সম্মিলিত কণ্ঠের আওয়াজকে নিস্তব্ধ করতে তারা ভয়ংকর হিংস্রতার পথ বেছে নেয়।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, এই ধরনের পৈশাচিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের শাস্তি অবশ্যই পেতে হবে।