দাগনভূঞা উপজেলার পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়নের জগতপুর গ্রামে বিসমিল্লাহ এগ্রো ফার্ম প্রজেক্টে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ড্রাগন ফল চাষাবাদে মিলেছে সফলতা। রঙ, গন্ধ, স্বাদে অতুলনীয় হওয়ায় বিশ্বজুড়ে বিশেষ কদর এবং চাহিদা রয়েছে ড্রাগন ফলের। রসালো ও পুষ্টিকর লাল ড্রাগন ফলে ভরে উঠেছে জগতপুরের মাঠ। কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতা ও পরামর্শে কৃষকরা ড্রাগন চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। ভালো ফলন ও লাভ জনক হওয়ায় এর সম্প্রসারণ ঘটছে।
বিসমিল্লাহ এগ্রো ফার্মের ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল রাশেদ জানান, কৃষি অফিসের পরামর্শে ২০২৩ সালে বিসমিল্লাহ এগ্রো ফার্ম প্রজেক্টে ৪০ শতাংশ জমিতে ২২৮ টি পিলারে ১ হাজার চারা রোপণ করা হয়। চুয়াডাঙ্গা থেকে চারাগুলো সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট দুরত্বে প্রতিটি পিলারে ৪টি করে চারা রোপণ করা হয়। ড্রাগন গাছের লতাগুলো বড় হলে খুঁটি বেয়ে টায়ারের ভেতর থেকে বাইরে ঝুলে পড়ে। এরপর ফল আসা শুরু হয়। আমরা প্রথম ধাপে প্রায় ৬০ কেজি ড্রাগন সংগ্রহ করেছি। এখন দ্বিতীয় ধাপে আরো বেশি সংগ্রহ করতে পারবো বলে আশা করছি।
বিসমিল্লাহ এগ্রো ফার্মের সত্ত্বাধিকারী আরিফুর রহমান রুবেল বলেন, আমার এ বাগান করার উদ্দেশ্য হলো বাণিজ্যিক ভাবে এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়ন করা এবং অন্যরা দেখে তারাও যেন বাণিজ্যিক ভাবে বাগান করতে পারে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মারুফ বলেন, ড্রাগন অত্যন্ত সুস্বাদু। এর পুষ্টিগুণ সুবিদিত। আমরা কৃষি বিভাগ থেকে ড্রাগন চাষ সম্প্রসারণে কৃষককে পরামর্শ দিচ্ছি। ফল আসার পর কৃষকের উৎসাহ বেড়েছে। অন্যরাও এ ফল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। আগামীতে ড্রাগনের চাষ আরো বাড়বে বলে আশা করছেন এই কর্মকর্তা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহিউদ্দিন মজুমদার বলেন, ‘কৃষি উদ্যোক্তা রুবেল বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ড্রাগন ফলের বাগান করে সফলতা পেয়েছেন। এতে স্থানীয়দের পুষ্টির চাহিদা পুরণ হবে। অর্থনৈতিকভাবে কৃষকরাও স্বাবলম্বী হতে পারবেন। উচ্চমূল্যের এ ফলের বাগান করতে মাঠ পর্যায়ে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। নিরাপদ ফল উৎপাদনে সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কৃষকরা যাতে এধরণের ফসলের চাষে আরো আগ্রহী হয়ে উঠেন সে লক্ষ্যে কৃষি অফিস নিয়মিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।