হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে আর্জেন্টিনা। এ ছাড়া হামাসের সব আর্থিক সম্পদ জব্দ করারও আদেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার (১৩ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর দখলদার ইসরায়েলের অবৈধ বসতিতে হামাসের যোদ্ধারা যে হামলা চালিয়েছেন, সেটির পরিপ্রেক্ষিতে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
দেশটির অতি-ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মাইলির জন্য এটি একটি বড় প্রতীকী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ তিনি সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের সঙ্গে আরো ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করতে চাচ্ছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরে মাইলি ইসরায়েলি সরকারের প্রতি সমর্থন প্রদর্শনের জন্য জেরুজালেমে গিয়েছিলেন। সে সময় তিনি ইসরায়েলি দূতাবাস প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যা নিয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন।
তবে এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা জানায় ফিলিস্তিনিরা। প্রেসিডেন্ট মিলেই রোমান ক্যাথলিক ধর্মবিশ্বাস নিয়ে বড় হয়েছেন। কিন্তু ইহুদি ধর্মের প্রতি তার টান রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। গত বছর ইসরায়েলে হামাস যে হামলা চালিয়েছে, সেটিকে হিটলারের সময়ের ‘ইহুদি গণহত্যা’-র সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি। এ ছাড়া হামাসের কার্যক্রমকে ‘২১ শতকের নাৎসিবাদ’ হিসেবেও অভিহিত করেছেন ডানপন্থী এ প্রেসিডেন্ট।
এর আগে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন হামাসকে আনুষ্ঠানিকভাবে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এ ছাড়া ২০০৩ সালে হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেডসকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকাভুক্ত করে অস্ট্রেলিয়া।