ঢাকা ১১:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ঈদে মিলাদুন্নবী: সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা Logo ৭ সেপ্টেম্বর দেখা যাবে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ Logo ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে ৩৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে ঢাবির প্রবেশ পথ Logo পাঁচ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বিএনপির রাজনৈতিক সমাবেশ Logo পিআরের দাবি মানার পরেই নির্বাচনে যাব: গোলাম পরওয়ার Logo ‘দেশে এখন তো সংবিধানই নেই, তাহলে কীসের ভিত্তিতে নির্বাচন’ প্রশ্ন আবু হেনা রাজ্জাকীর Logo ‘মোদি চোর, বিজেপি চোর, অমিত শাহ চোর’ : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় Logo নারায়ণগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনতাই Logo খুলনায় স্বামীর দায়ের কোপে প্রাণ গেল স্ত্রীর Logo আওয়ামী ঠিকাদার দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতি মুছে ফেলছেন জেলা প্রশাসক

ইউরোতে টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে ইংলিশরা

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০২:০৮:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪
  • 195

ইউরোতে টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে ইংলিশরা

আবারও ইউরোর ফাইনালে ইংল্যান্ড। নেদারল্যান্ডসকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠে গেছে দলটি। শেষ মুহূর্তে অলি ওয়াটকিনসের গোলে নেদারল্যান্ডসকে কাঁদিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের টিকেট কাটে বেলিংহাম-হ্যারি কেইনরা। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ দুর্দান্ত ছন্দে থাকা স্পেন। ডর্টমুন্ডের সিগনাল ইদুনা পার্কে বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত একটায় শুরু হয় ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল।

ম্যাচের শুরু থেকে ডাচদের বিপক্ষ্যে দাপট দেখিয়ে খেলতে থাকে ইংলিশরা। তবে এগিয়ে যায় ডাচরাই। ইংলিশ মিডফিল্ডার ডেকলাইন রাইসের কাছ থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে ডি বক্সের বাইরে থেকে দূরপাল্লার বুলেট গতির শটে নেদারল্যান্ডসকে ১-০ গোলের লিড এনে দেন জাভি সিমন্স। তবে পিছিয়ে পড়েও আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে ইংল্যান্ড।

১৬ মিনিটে ডি বক্সে হ্যারি কেইনের শট ঠেকাতে গিয়েই তাঁকে ফাউল করে বসেন নেদারল্যান্ডসের ডেনজিল ডামফ্রিস। ভিএআরে যাচাই করে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। ১৮ মিনিটে স্পট কিক থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান কেইন। সমতা ফিরিয়েও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে রাখে ইংল্যান্ড।

২৩ মিনিটে দারুণভাবে ডাচ ডি–বক্সের ভেতর কোবি মাইনুর কাছ থেকে বল পেয়ে নেদারল্যান্ডস গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে গোলের উদ্দেশে বল বাড়ান ফিল ফোডেন। অবিশ্বাস্যভাবে সেই বল ফিরিয়ে দেন ডামফ্রিস। নেদারল্যান্ডসও আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করে। ৩০ মিনিটে ডামফ্রিসের নেওয়া হেড বারে লেগে ফিরে না আসলে তখনই ব্যবধান বাড়াতে পারত নেদারল্যান্ডস। ৩২ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ফিল ফোডেনের নেওয়া শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে। ১-১ সমতায় থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল।

বিরতির পর কোনো দলই বলার মতো সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না। ৬৫ মিনিটে ফ্রি–কিক থেকে ভার্জিল ফন ডাইকের শট অবিশ্বাস্য দক্ষতায় ঠেকিয়ে ইংল্যান্ডকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক পিকফোর্ড। ৭৯ মিনিটে লড়াইয়ে ফেরার চেষ্টা করে ইংল্যান্ড। কাইল ওয়াকারের ডানদিকের ক্রস থেকে বল জালে জড়ান বুকোয়া সাকা। কিন্তু অফসাইডের কারণে সে গোল বাতিল করে দেন রেফারি। ৮৪ মিনিটে কাছাকাছি গিয়েও গোল পায়নি নেদারল্যান্ডস। ৮৮ মিনিটে একইভাবে সুযোগ হাতছাড়া করে ইংল্যান্ডও।

ঘড়ির কাঁটা যখন ৯০ মিনিট ছুঁই ছুঁই। এবার ভুল করলেন না ইংল্যান্ডের অলি ওয়াটকিনস। বদলি হিসেবে নামা এই ফরোয়ার্ড নির্ধারিত সময়ের শেষ মুহূর্তে করলেন দুর্দান্ত এক গোল। কোল পালমারের কাছ থেকে বল পেয়ে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে ইংল্যান্ডকে ২–১ গোলে এগিয়ে দেন ওয়াটকিনস। ওয়াটকিনসের এই গোলেই নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে ইউরোর টানা দ্বিতীয় ফাইনাল নিশ্চিত করে ‘থ্রি লায়ন্স’রা।

জনপ্রিয় সংবাদ

ঈদে মিলাদুন্নবী: সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা

ইউরোতে টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে ইংলিশরা

আপডেট সময় ০২:০৮:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪

আবারও ইউরোর ফাইনালে ইংল্যান্ড। নেদারল্যান্ডসকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠে গেছে দলটি। শেষ মুহূর্তে অলি ওয়াটকিনসের গোলে নেদারল্যান্ডসকে কাঁদিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের টিকেট কাটে বেলিংহাম-হ্যারি কেইনরা। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ দুর্দান্ত ছন্দে থাকা স্পেন। ডর্টমুন্ডের সিগনাল ইদুনা পার্কে বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত একটায় শুরু হয় ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল।

ম্যাচের শুরু থেকে ডাচদের বিপক্ষ্যে দাপট দেখিয়ে খেলতে থাকে ইংলিশরা। তবে এগিয়ে যায় ডাচরাই। ইংলিশ মিডফিল্ডার ডেকলাইন রাইসের কাছ থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে ডি বক্সের বাইরে থেকে দূরপাল্লার বুলেট গতির শটে নেদারল্যান্ডসকে ১-০ গোলের লিড এনে দেন জাভি সিমন্স। তবে পিছিয়ে পড়েও আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে ইংল্যান্ড।

১৬ মিনিটে ডি বক্সে হ্যারি কেইনের শট ঠেকাতে গিয়েই তাঁকে ফাউল করে বসেন নেদারল্যান্ডসের ডেনজিল ডামফ্রিস। ভিএআরে যাচাই করে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। ১৮ মিনিটে স্পট কিক থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান কেইন। সমতা ফিরিয়েও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে রাখে ইংল্যান্ড।

২৩ মিনিটে দারুণভাবে ডাচ ডি–বক্সের ভেতর কোবি মাইনুর কাছ থেকে বল পেয়ে নেদারল্যান্ডস গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে গোলের উদ্দেশে বল বাড়ান ফিল ফোডেন। অবিশ্বাস্যভাবে সেই বল ফিরিয়ে দেন ডামফ্রিস। নেদারল্যান্ডসও আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করে। ৩০ মিনিটে ডামফ্রিসের নেওয়া হেড বারে লেগে ফিরে না আসলে তখনই ব্যবধান বাড়াতে পারত নেদারল্যান্ডস। ৩২ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ফিল ফোডেনের নেওয়া শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে। ১-১ সমতায় থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল।

বিরতির পর কোনো দলই বলার মতো সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না। ৬৫ মিনিটে ফ্রি–কিক থেকে ভার্জিল ফন ডাইকের শট অবিশ্বাস্য দক্ষতায় ঠেকিয়ে ইংল্যান্ডকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক পিকফোর্ড। ৭৯ মিনিটে লড়াইয়ে ফেরার চেষ্টা করে ইংল্যান্ড। কাইল ওয়াকারের ডানদিকের ক্রস থেকে বল জালে জড়ান বুকোয়া সাকা। কিন্তু অফসাইডের কারণে সে গোল বাতিল করে দেন রেফারি। ৮৪ মিনিটে কাছাকাছি গিয়েও গোল পায়নি নেদারল্যান্ডস। ৮৮ মিনিটে একইভাবে সুযোগ হাতছাড়া করে ইংল্যান্ডও।

ঘড়ির কাঁটা যখন ৯০ মিনিট ছুঁই ছুঁই। এবার ভুল করলেন না ইংল্যান্ডের অলি ওয়াটকিনস। বদলি হিসেবে নামা এই ফরোয়ার্ড নির্ধারিত সময়ের শেষ মুহূর্তে করলেন দুর্দান্ত এক গোল। কোল পালমারের কাছ থেকে বল পেয়ে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে ইংল্যান্ডকে ২–১ গোলে এগিয়ে দেন ওয়াটকিনস। ওয়াটকিনসের এই গোলেই নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে ইউরোর টানা দ্বিতীয় ফাইনাল নিশ্চিত করে ‘থ্রি লায়ন্স’রা।