ঢাকা ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফাইনালের লক্ষে রাতে মাঠে নামছে ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস

ফাইনালের লক্ষে রাতে মাঠে নামছে ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিশ্চিত করতে আজ রাতে মাঠে নামছে ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস। জার্মানির ডর্টমুন্ডে বাংলাদেশ সময় রাত একটায় শুরু হবে ম্যাচটি। এম্যাচকে সামনে রেখে অনুশীলনে ঘাম ঝরিয়েছে দুদল। ৩৬ বছর পর দলকে শিরোপা এনে দিতে নেদারল্যান্ডসের সামনে ইংল্যান্ড। এই সেমিফাইনালের আগে অবশ্য বড় কিছুর লক্ষ্যে অবিচল ডাচরাও। ২০ বছর পর ইউরোর সেমিফাইনালে যাওয়া দলটির চূড়ান্ত সাফল্যের ইতিহাসও আছে। তবে সেটি এখন দূর অতীতই। সেই ১৯৮৮ সালে রুদ খুলিত ও মার্কো ফন বাস্তেনদের হাত ধরে ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট মাথায় পরার পর থেকেই ডাচদের অপেক্ষা আর ফুরাচ্ছেই না।

দীর্ঘ ৩৬ বছরের সেই অপেক্ষা। আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় শুরু হতে যাওয়া সেমিফাইনালে অবশ্য তাদের অগ্রযাত্রা থামিয়ে টানা দ্বিতীয় ফাইনাল খেলার স্বপ্নে বিভোর ইংলিশরা। যদিও এই ইউরোতে তাদের পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনাই হচ্ছে বেশি। এখনো সেরা ছন্দে দেখা দিতে না পারা দলটিকে নিয়ে অবশ্য যথারীতি উচ্চকণ্ঠ কোচ সাউথগেট।

তাঁর পক্ষে আছে পরিসংখ্যানও, ‘(বিশ্বকাপ ও ইউরো মিলিয়ে) সর্বশেষ চারটি টুর্নামেন্টের তিনটিরই সেমিফাইনালে আমরা। আশা করছি, আমরা ভক্তদের দারুণ স্মৃতিই উপহার দিয়ে যেতে থাকব। আমরা লড়ে যাব এবং এই ভ্রমণটি উপভোগ করে যেতে থাকব।’ আজ ডাচদের হারাতে পারলে বিশ্বকাপ ও ইউরো মিলিয়ে তৃতীয় ফাইনাল খেলবে ইংল্যান্ড। ডাচদের তবু তাদের ইতিহাসের সেরা সাফল্যটি ৩৬ বছর পেছনের।

ইংল্যান্ডের ক্ষেত্রে তা আরো ২২ বছর আগের। ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে পশ্চিম জার্মানিকে হারিয়ে নিজেদের ফুটবল ইতিহাসের একমাত্র বড় শিরোপাটি জিতেছিল ইংলিশরা। এবার আরেকটি শিরোপার মঞ্চে গিয়ে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে অবশ্য যাত্রাটা মোটেও মসৃণ ছিল না তাদের। প্রথম পর্বে মাত্র একটি ম্যাচ জেতে তারা। অন্য দুই ম্যাচ কোনোমতে ড্র করে গ্রুপসেরা হয়েই অবশ্য নক আউট পর্বে জায়গা করে নেয়। এরপর শেষ ষোলোয় অতিরিক্ত সময়ের গোলে স্লোভাকিয়াকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে যায় কোয়ার্টার ফাইনালে। সেখান থেকে সেমিফাইনালে পৌঁছাতেও ঘাম ঝরাতে হয় যথেষ্ট। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে মূল ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র করার পর টাইব্রেকারে ৫-৩ ব্যবধানের জয় হ্যারি কেইনদের নিয়ে এসেছে শেষ চারে। শিরোপা লড়াইয়ের গৌরবের মঞ্চ অবশ্য তাদেরই শুধু নয়, হাতছানি দিচ্ছে ডাচদেরও।

ট্যাগস :

ফাইনালের লক্ষে রাতে মাঠে নামছে ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস

আপডেট সময় ০৬:০৭:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিশ্চিত করতে আজ রাতে মাঠে নামছে ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস। জার্মানির ডর্টমুন্ডে বাংলাদেশ সময় রাত একটায় শুরু হবে ম্যাচটি। এম্যাচকে সামনে রেখে অনুশীলনে ঘাম ঝরিয়েছে দুদল। ৩৬ বছর পর দলকে শিরোপা এনে দিতে নেদারল্যান্ডসের সামনে ইংল্যান্ড। এই সেমিফাইনালের আগে অবশ্য বড় কিছুর লক্ষ্যে অবিচল ডাচরাও। ২০ বছর পর ইউরোর সেমিফাইনালে যাওয়া দলটির চূড়ান্ত সাফল্যের ইতিহাসও আছে। তবে সেটি এখন দূর অতীতই। সেই ১৯৮৮ সালে রুদ খুলিত ও মার্কো ফন বাস্তেনদের হাত ধরে ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট মাথায় পরার পর থেকেই ডাচদের অপেক্ষা আর ফুরাচ্ছেই না।

দীর্ঘ ৩৬ বছরের সেই অপেক্ষা। আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় শুরু হতে যাওয়া সেমিফাইনালে অবশ্য তাদের অগ্রযাত্রা থামিয়ে টানা দ্বিতীয় ফাইনাল খেলার স্বপ্নে বিভোর ইংলিশরা। যদিও এই ইউরোতে তাদের পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনাই হচ্ছে বেশি। এখনো সেরা ছন্দে দেখা দিতে না পারা দলটিকে নিয়ে অবশ্য যথারীতি উচ্চকণ্ঠ কোচ সাউথগেট।

তাঁর পক্ষে আছে পরিসংখ্যানও, ‘(বিশ্বকাপ ও ইউরো মিলিয়ে) সর্বশেষ চারটি টুর্নামেন্টের তিনটিরই সেমিফাইনালে আমরা। আশা করছি, আমরা ভক্তদের দারুণ স্মৃতিই উপহার দিয়ে যেতে থাকব। আমরা লড়ে যাব এবং এই ভ্রমণটি উপভোগ করে যেতে থাকব।’ আজ ডাচদের হারাতে পারলে বিশ্বকাপ ও ইউরো মিলিয়ে তৃতীয় ফাইনাল খেলবে ইংল্যান্ড। ডাচদের তবু তাদের ইতিহাসের সেরা সাফল্যটি ৩৬ বছর পেছনের।

ইংল্যান্ডের ক্ষেত্রে তা আরো ২২ বছর আগের। ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে পশ্চিম জার্মানিকে হারিয়ে নিজেদের ফুটবল ইতিহাসের একমাত্র বড় শিরোপাটি জিতেছিল ইংলিশরা। এবার আরেকটি শিরোপার মঞ্চে গিয়ে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে অবশ্য যাত্রাটা মোটেও মসৃণ ছিল না তাদের। প্রথম পর্বে মাত্র একটি ম্যাচ জেতে তারা। অন্য দুই ম্যাচ কোনোমতে ড্র করে গ্রুপসেরা হয়েই অবশ্য নক আউট পর্বে জায়গা করে নেয়। এরপর শেষ ষোলোয় অতিরিক্ত সময়ের গোলে স্লোভাকিয়াকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে যায় কোয়ার্টার ফাইনালে। সেখান থেকে সেমিফাইনালে পৌঁছাতেও ঘাম ঝরাতে হয় যথেষ্ট। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে মূল ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র করার পর টাইব্রেকারে ৫-৩ ব্যবধানের জয় হ্যারি কেইনদের নিয়ে এসেছে শেষ চারে। শিরোপা লড়াইয়ের গৌরবের মঞ্চ অবশ্য তাদেরই শুধু নয়, হাতছানি দিচ্ছে ডাচদেরও।