ঢাকা ১২:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সিরাজগঞ্জ  ১০০ প্রতিবন্ধীকে হুইল চেয়ার ও ১০০ শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুলব্যাগসহ শিক্ষা উপকরণ বিতরণ Logo বিনা সুদে লাখ টাকা ঋণের নামে সমাবেশের হোতা মোস্তফা আটক Logo প্রথম আলো অফিসের সামনে আবারও আন্দোলনকারীদের অবস্থান Logo যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন Logo শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে মোল্লা কলেজের ৩ জন নিহত Logo ডেমরা-যাত্রাবাড়ীতে তিন কলেজের শিক্ষার্থীদের ভয়াবহ সংঘর্ষ Logo আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অ্যাকশনে গেলে আরও রক্তপাত হতো: আসিফ Logo ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে: হাইকোর্টের আদেশে স্থিতাবস্থা Logo বাংলাদেশে আলু-পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের নির্দেশনা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের Logo মামলা না নিলে ওসিকে এক মিনিটে বরখাস্ত করে দেবো: ডিএমপি কমিশনার

রাতের আঁধারে ১০ হাজার কলাগাছ কেটে দেওয়ার অভিযোগ

রাতের আঁধারে ১০ হাজার কলাগাছ কেটে দেওয়ার অভিযোগ

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় রাতের আঁধারে ২৫ কৃষকের অন্তত ১০ হাজার কলাগাছ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। শনিবার (৬ জুলাই) ভোররাতে উপজেলার যোগীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের দাবি, রইচ কমান্ডারের লোকজন এই ফসল নষ্ট করে দিয়েছে। আমাদের সঙ্গে শত্রুতা থাকতে পারে।

তাই বলে ফসল নষ্ট করবে। এর উপযুক্ত শাস্তি চাই। স্থানীয়রা জানায়, সামাজিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুগীপাড়া গ্রামের সামাজিক মাতুব্বর আব্দুল হান্নানের সাথে রইচ উদ্দিন কমান্ডারের দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। গত ভোরে রইচ কমান্ডারের লোকজনেরা আব্দুল হান্নানের অনুসারী শাহিন আলম, রেজাউল করিম, কামরুল ইসলামসহ ২৫ কৃষকের অন্তত ১০ হাজার ধরন্ত কলাগাছ কেটে দেয়।

ভুক্তভোগী কৃষক শাহীন আলম, রেজাউল করিম ও কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে মাঠে এসে দেখি আমাদের জমির কলাগাছ কেটে ফেলে রেখে গেছে। গাছে কাদি আসা শুরু করেছিল। আমাদের অন্তত ১০ হাজার কলাগাছ কেটে দিয়েছে। সামাজিক দ্বন্দ্বের কারণে আমরা সবকিছু হারিয়ে ফেললাম।

আমরা এর বিচার চাই। এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে সামাজিক মাতুব্বর রইচ উদ্দিন কমান্ডারের ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। এমনকি সরেজমিন তার বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘আমি অনেক চেষ্টা করেও যুগিপাড়া গ্রামের সামাজিক দ্বন্দ্ব মেটাতে পারি নাই। একের পর এক কৃষকের বিভিন্ন ফসল কেটে বিনষ্ট করছে তারা।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া বলেন,‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। ভুক্তভোগি কৃষকেরা লিখিত অভিযোগ দিলে দায়ীদেও বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শৈলকুপার সামাজিক সহিংসতা নিরসনে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছি।

জনপ্রিয় সংবাদ

সিরাজগঞ্জ  ১০০ প্রতিবন্ধীকে হুইল চেয়ার ও ১০০ শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুলব্যাগসহ শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

রাতের আঁধারে ১০ হাজার কলাগাছ কেটে দেওয়ার অভিযোগ

আপডেট সময় ০৭:৪৬:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় রাতের আঁধারে ২৫ কৃষকের অন্তত ১০ হাজার কলাগাছ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। শনিবার (৬ জুলাই) ভোররাতে উপজেলার যোগীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের দাবি, রইচ কমান্ডারের লোকজন এই ফসল নষ্ট করে দিয়েছে। আমাদের সঙ্গে শত্রুতা থাকতে পারে।

তাই বলে ফসল নষ্ট করবে। এর উপযুক্ত শাস্তি চাই। স্থানীয়রা জানায়, সামাজিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুগীপাড়া গ্রামের সামাজিক মাতুব্বর আব্দুল হান্নানের সাথে রইচ উদ্দিন কমান্ডারের দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। গত ভোরে রইচ কমান্ডারের লোকজনেরা আব্দুল হান্নানের অনুসারী শাহিন আলম, রেজাউল করিম, কামরুল ইসলামসহ ২৫ কৃষকের অন্তত ১০ হাজার ধরন্ত কলাগাছ কেটে দেয়।

ভুক্তভোগী কৃষক শাহীন আলম, রেজাউল করিম ও কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে মাঠে এসে দেখি আমাদের জমির কলাগাছ কেটে ফেলে রেখে গেছে। গাছে কাদি আসা শুরু করেছিল। আমাদের অন্তত ১০ হাজার কলাগাছ কেটে দিয়েছে। সামাজিক দ্বন্দ্বের কারণে আমরা সবকিছু হারিয়ে ফেললাম।

আমরা এর বিচার চাই। এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে সামাজিক মাতুব্বর রইচ উদ্দিন কমান্ডারের ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। এমনকি সরেজমিন তার বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘আমি অনেক চেষ্টা করেও যুগিপাড়া গ্রামের সামাজিক দ্বন্দ্ব মেটাতে পারি নাই। একের পর এক কৃষকের বিভিন্ন ফসল কেটে বিনষ্ট করছে তারা।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া বলেন,‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। ভুক্তভোগি কৃষকেরা লিখিত অভিযোগ দিলে দায়ীদেও বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শৈলকুপার সামাজিক সহিংসতা নিরসনে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছি।