ঢাকা ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ডাকসুর ব্যালটে সতর্কতা: টিক নয়, দিতে হবে ক্রস চিহ্ন Logo নকল আইডি কার্ড দেখিয়ে ঢাবিতে প্রবেশের চেষ্টা, যুবক আটক Logo ভুয়া আইডি কার্ড দেখিয়ে ঢাবিতে প্রবেশের চেষ্টা, দুই যুবক আটক Logo হ্যাভিওয়েট প্রার্থীরা কে কোন কেন্দ্রে ভোট দেবেন Logo দেশের মানুষের পাতে জুটছে না ইলিশ, তবু ভারতে রপ্তানির সিদ্ধান্ত Logo এবার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে উত্তাল নেপালে Logo রাত পোহালেই ডাকসু নির্বাচন : যেভাবে ভোট দিবে শিক্ষার্থীরা Logo যেদিন আমরা রাস্তায় নামব লাঠি না, বন্দুকও কিছু করতে পারবে না Logo জামালপুরে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে এক ব্যক্তির ৮ বছরের কারাদন্ড Logo বিক্ষোভে উত্তাল নেপাল: ‘নৈতিক কারণে’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ

নীলফামারীতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে ইমামের মৃত্যু

নীলফামারীতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে আবুল হোসেন (৬৪) নামে এক ইমাম নিহত হয়েছেন।

শনিবার (৬ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। জানা গেছে, গত সোমবার (১ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নীলফামারী এশিয়ান হাইওয়ে রোডের পল্লি বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আবুল হোসেন সদর উপজেলার কানাইকাটা তেঁতুলতলা জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব ছিলেন। তার বাড়ি লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের সহদেব বড়গাছা গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতো ফজরের নামাজ পড়ে সাইকেলযোগে কানাইকাটা তেঁতুলতলা ঘুন্টিরপাড়ে মক্তবে পড়াতে যান আবুল হোসেন। হরতকিতলা পল্লি বিদ্যুৎ অফিসের কাছে পৌঁছালে মোটরসাইকেলে করে এসে কে বা কারা তার চোখে প্রথমে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেয়। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে সটকে পড়ে। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় এক অটোচালক তাকে উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

শনিবার (৬ জুলাই) সকালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবুল হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে আবুল হোসেনের ছোট ছেলে গোলাম মোস্তাফা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে নীলফামারী হাসপাতালে যাই। সেখানকার দায়িত্বে থাকা ডাক্তার বাবার অবস্থার অবনতি দেখে তাৎক্ষণিক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলেন। আজ শনিবার ভোরে মারা যান তিনি। কে বা কারা এমন নির্মমভাবে কুপিয়ে জখম করেছে জানি না। তিনি তো কোনো অপরাধী ছিলেন না। কেন হত্যা করলো আমার বাবাকে। আমরা বাবা হত্যার ন্যায় বিচার চাই।’

নীলফামারী সদর থানার ওসি তানভীরুল ইসলাম বলেন, ‘কী কারণে, কে বা কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে সবদিক বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। দ্রুত হত্যার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।’

জনপ্রিয় সংবাদ

ডাকসুর ব্যালটে সতর্কতা: টিক নয়, দিতে হবে ক্রস চিহ্ন

নীলফামারীতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে ইমামের মৃত্যু

আপডেট সময় ০৩:৫০:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪

নীলফামারীতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে আবুল হোসেন (৬৪) নামে এক ইমাম নিহত হয়েছেন।

শনিবার (৬ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। জানা গেছে, গত সোমবার (১ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নীলফামারী এশিয়ান হাইওয়ে রোডের পল্লি বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আবুল হোসেন সদর উপজেলার কানাইকাটা তেঁতুলতলা জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব ছিলেন। তার বাড়ি লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের সহদেব বড়গাছা গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতো ফজরের নামাজ পড়ে সাইকেলযোগে কানাইকাটা তেঁতুলতলা ঘুন্টিরপাড়ে মক্তবে পড়াতে যান আবুল হোসেন। হরতকিতলা পল্লি বিদ্যুৎ অফিসের কাছে পৌঁছালে মোটরসাইকেলে করে এসে কে বা কারা তার চোখে প্রথমে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেয়। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে সটকে পড়ে। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় এক অটোচালক তাকে উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

শনিবার (৬ জুলাই) সকালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবুল হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে আবুল হোসেনের ছোট ছেলে গোলাম মোস্তাফা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে নীলফামারী হাসপাতালে যাই। সেখানকার দায়িত্বে থাকা ডাক্তার বাবার অবস্থার অবনতি দেখে তাৎক্ষণিক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলেন। আজ শনিবার ভোরে মারা যান তিনি। কে বা কারা এমন নির্মমভাবে কুপিয়ে জখম করেছে জানি না। তিনি তো কোনো অপরাধী ছিলেন না। কেন হত্যা করলো আমার বাবাকে। আমরা বাবা হত্যার ন্যায় বিচার চাই।’

নীলফামারী সদর থানার ওসি তানভীরুল ইসলাম বলেন, ‘কী কারণে, কে বা কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে সবদিক বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। দ্রুত হত্যার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।’