ঢাকা ০৯:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo রাজধানীতে দুই দিনব্যাপী ফ্র্যাগরেন্স এক্সিবিশন শুরু শুক্রবার Logo ছন্দে থাকা ব্রাজিলকে হারিয়ে ৩৬ বছরের অপেক্ষা ঘুচালো জাপান Logo শিক্ষকদের আন্দোলনে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন সহ যেসব দল-সংগঠনের একাত্মতা প্রকাশ Logo মিরপুরে প্রিন্টিং কারখানায়ি ভয়াবহ আগুন, নিহত বেড়ে ১৬ Logo দেশে ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৪১ Logo নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার চেয়ে শিক্ষা উপদেষ্টাকে আইনি নোটিস Logo আমরণ অনশনে যাচ্ছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা Logo বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ ২ মৃতদেহ উদ্ধার Logo নির্বাচন কমিশনের নিন্দা জানিয়ে প্রজেকশন মিটিং স্থগিত করল শিবির সমর্থিত প্যানেল Logo মহিলা জামায়াত কর্মীদের ‘পেটানোর নির্দেশ’ বিএনপির নেতার

পেনশনস্কীম বাতিল না করলে ঢাবির ভেতর দিয়ে সচিবদের গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে

সর্বজনীন পেনশন স্কিমকে লাইফ ইন্স্যুরেন্স আখ্যা দিয়ে বাতিলের দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মো. আব্দুল মোতালেব।

তিনি বলেন, রাতের আঁধারে একটি কুচক্রী মহল এবং সচিবরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর দিয়েই সচিবালয়ে অফিস করতে যায়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর দিয়ে অফিসে যাওয়ার কোনো অধিকার তাদের নাই। প্রয়োজনে আমরা তাদের যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেব।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আয়োজিত কর্মবিরতি, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

আন্দোলন কঠোর থেকে কঠোরতর হবে জানিয়ে মোতালেব বলেন, যতদিন যাবে আন্দোলন কঠোর হবে। শেষ পর্যন্ত আমাদের দাবি যদি না মানা হয় তাহলে আমরা কর্ম বিরতি থেকে সর্বাত্মক ধর্মঘট কর্মসূচিতে চলে যাব। সবকিছু বন্ধ করে দেওয়া হবে। পেটের তাগিদে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিদিন আন্দোলনে উপস্থিত হবেন।

তিনি বলেন, সরকার প্রত্যয় স্কিমকে পেনশন স্কিম বললেও এটি আসলে পেনশন স্কিম নয়। এটি অনেকটাই লাইফ ইন্সুরেন্সের মতো। এই লাইফ ইন্স্যুরেন্সকে পেনশন স্কিম বলে যারা এটি আমাদের ওপর চাপিয়ে দিতে চাচ্ছেন তাদের আমরা সাবধান করে দিতে চাই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ তাহলে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তার ৬১টা ধারা আছে। ৩৮ নম্বর ধারায় স্পষ্ট বলা আছে, পেনশন সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এখানে সরকারের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই। যদি সরকার এতে হস্তক্ষেপ করে তবে সেটি হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন পরিপন্থি। এমন কোনো সিদ্ধান্ত আমরা এখানে বাস্তবায়ন করতে দিতে পারি না। এজন্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয় ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে আমাদের আন্দোলন চলবে।

চলমান এই আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কারিগরি কর্মচারী সমিতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজধানীতে দুই দিনব্যাপী ফ্র্যাগরেন্স এক্সিবিশন শুরু শুক্রবার

পেনশনস্কীম বাতিল না করলে ঢাবির ভেতর দিয়ে সচিবদের গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে

আপডেট সময় ০২:৫৯:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

সর্বজনীন পেনশন স্কিমকে লাইফ ইন্স্যুরেন্স আখ্যা দিয়ে বাতিলের দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মো. আব্দুল মোতালেব।

তিনি বলেন, রাতের আঁধারে একটি কুচক্রী মহল এবং সচিবরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর দিয়েই সচিবালয়ে অফিস করতে যায়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর দিয়ে অফিসে যাওয়ার কোনো অধিকার তাদের নাই। প্রয়োজনে আমরা তাদের যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেব।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আয়োজিত কর্মবিরতি, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

আন্দোলন কঠোর থেকে কঠোরতর হবে জানিয়ে মোতালেব বলেন, যতদিন যাবে আন্দোলন কঠোর হবে। শেষ পর্যন্ত আমাদের দাবি যদি না মানা হয় তাহলে আমরা কর্ম বিরতি থেকে সর্বাত্মক ধর্মঘট কর্মসূচিতে চলে যাব। সবকিছু বন্ধ করে দেওয়া হবে। পেটের তাগিদে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিদিন আন্দোলনে উপস্থিত হবেন।

তিনি বলেন, সরকার প্রত্যয় স্কিমকে পেনশন স্কিম বললেও এটি আসলে পেনশন স্কিম নয়। এটি অনেকটাই লাইফ ইন্সুরেন্সের মতো। এই লাইফ ইন্স্যুরেন্সকে পেনশন স্কিম বলে যারা এটি আমাদের ওপর চাপিয়ে দিতে চাচ্ছেন তাদের আমরা সাবধান করে দিতে চাই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ তাহলে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তার ৬১টা ধারা আছে। ৩৮ নম্বর ধারায় স্পষ্ট বলা আছে, পেনশন সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এখানে সরকারের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই। যদি সরকার এতে হস্তক্ষেপ করে তবে সেটি হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন পরিপন্থি। এমন কোনো সিদ্ধান্ত আমরা এখানে বাস্তবায়ন করতে দিতে পারি না। এজন্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয় ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে আমাদের আন্দোলন চলবে।

চলমান এই আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কারিগরি কর্মচারী সমিতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছেন।