ঢাকা ০৪:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইরানের প্রতিটি স্থাপনায় হামলার হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর Logo গণসংযোগে বাধা, হামলায় আহত ৫ জামায়াত নেতাকর্মী Logo ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুসলিম ঐক্যের আহ্বান পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর Logo গাজা থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা Logo ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে: দুদু Logo হজ করতে এসে আটকে পড়া ইরানিদের সব ধরনের সহায়তা দেবে সৌদি আরব Logo বাংলাদেশকে ২৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক Logo সুন্দরগঞ্জে এইচএসসি, আলিম ও সমমান পরীক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ   ছাত্রশিবিরের Logo ইসরায়েলকে সহায়তার ব্যাপারে তিন দেশকে সতর্ক করলো ইরান Logo প্রধান উপদেষ্টা একটি দলের প্রতি বিশেষ অনুরাগ প্রকাশ করেছেন: জামায়াত

বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি, হুমকির মুখে উত্তরাঞ্চল

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে রংপুরের কাউনিয়ায় তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ অবস্থায় ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, সোমবার (১ জুলাই) বিকেল ৩টায় কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তিস্তা নদীর পানি। এর আগে দুপুর ১২টায় বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ৫ সেন্টিমিটার এবং ভোর ৬টায় ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়। কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয় ২৮ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার।

অন্যদিকে ডালিয়া ব্যারাজের পয়েন্টে বিকেল ৩টায় পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৭২ সেন্টিমিটার (বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচে)। এর আগে দুপুর ১২টায় ৫১ দশমিক ৭২ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ৫১ দশমিক ৭৪ সেন্টিমিটার এবং ভোর ৬টায় ৫১ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়। এ পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয় ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার।

এদিকে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাউনিয়া উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকায় ডুবে গেছে বাদামসহ বিভিন্ন ফসলি জমি। নদীতে পানি বাড়া-কমায় ভাঙনের মুখে পড়েছে বিভিন্ন এলাকা। এরইমধ্যে ভাঙনকবলিত পরিবারের অনেকে বসতঘর সরিয়ে নিয়েছেন। উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের গদাই ও পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামের কয়েকশ বসতভিটা ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।

গদাই গ্রামের হাফেজ আলী বলেন, ‘গতবছর থেকে নদী ভাঙছে। কিন্তু ভাঙনরোধে জোরালো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এবছর প্রায় ২০০ বিঘা আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বসতভিটাও নদীর একেবারে কিনারায়। কখন যে ভেঙে যায় সেই আশঙ্কায় আছি।’

তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানি বলেন, ‘অসময়ে তিস্তার ভাঙনে প্রতিবছর এক লাখ কোটি টাকার সম্পদ নদীগর্ভে চলে যায়। তিস্তা খনন, সংরক্ষণ ও মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন ছাড়া এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান নেই।’

কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহিদুল হক বলেন, ‘তিস্তা নদীর বৃদ্ধি ও ভাঙনের বিষয়ে আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি। কোথাও কোনো সমস্যা হলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত বন্যার আভাস পাওয়া যায়নি। তারপরও সরকারিভাবে সবধরনের আগাম প্রস্তুতি নেওয়া আছে, যাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।’

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, উজানে ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে ডালিয়া ব্যারাজের পয়েন্টে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ডালিয়া ব্যারাজের সব গেট খুলে রাখা হয়েছে। গত কয়েকদিনের তুলনায় সোমবার সকাল থেকে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।

ইরানের প্রতিটি স্থাপনায় হামলার হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর

বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি, হুমকির মুখে উত্তরাঞ্চল

আপডেট সময় ০৬:৪৩:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে রংপুরের কাউনিয়ায় তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ অবস্থায় ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, সোমবার (১ জুলাই) বিকেল ৩টায় কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তিস্তা নদীর পানি। এর আগে দুপুর ১২টায় বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ৫ সেন্টিমিটার এবং ভোর ৬টায় ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়। কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয় ২৮ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার।

অন্যদিকে ডালিয়া ব্যারাজের পয়েন্টে বিকেল ৩টায় পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৭২ সেন্টিমিটার (বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচে)। এর আগে দুপুর ১২টায় ৫১ দশমিক ৭২ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ৫১ দশমিক ৭৪ সেন্টিমিটার এবং ভোর ৬টায় ৫১ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়। এ পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয় ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার।

এদিকে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাউনিয়া উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকায় ডুবে গেছে বাদামসহ বিভিন্ন ফসলি জমি। নদীতে পানি বাড়া-কমায় ভাঙনের মুখে পড়েছে বিভিন্ন এলাকা। এরইমধ্যে ভাঙনকবলিত পরিবারের অনেকে বসতঘর সরিয়ে নিয়েছেন। উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের গদাই ও পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামের কয়েকশ বসতভিটা ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।

গদাই গ্রামের হাফেজ আলী বলেন, ‘গতবছর থেকে নদী ভাঙছে। কিন্তু ভাঙনরোধে জোরালো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এবছর প্রায় ২০০ বিঘা আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বসতভিটাও নদীর একেবারে কিনারায়। কখন যে ভেঙে যায় সেই আশঙ্কায় আছি।’

তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানি বলেন, ‘অসময়ে তিস্তার ভাঙনে প্রতিবছর এক লাখ কোটি টাকার সম্পদ নদীগর্ভে চলে যায়। তিস্তা খনন, সংরক্ষণ ও মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন ছাড়া এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান নেই।’

কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহিদুল হক বলেন, ‘তিস্তা নদীর বৃদ্ধি ও ভাঙনের বিষয়ে আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি। কোথাও কোনো সমস্যা হলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত বন্যার আভাস পাওয়া যায়নি। তারপরও সরকারিভাবে সবধরনের আগাম প্রস্তুতি নেওয়া আছে, যাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।’

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, উজানে ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে ডালিয়া ব্যারাজের পয়েন্টে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ডালিয়া ব্যারাজের সব গেট খুলে রাখা হয়েছে। গত কয়েকদিনের তুলনায় সোমবার সকাল থেকে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।