ঢাকা ০৮:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ডাকাতির চেষ্টায় গণপিটুনির শিকার সেই বিএনপি নেতা বহিষ্কার Logo জবির আইইআর-এ র‌্যাগিং, ১০ দিনেও উদ্যোগহীন পরিচালক; আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে ভুক্তভোগীরা Logo ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচন : সিইসি Logo নাটোরে মিনি স্টেডিয়াম উদ্বোধন করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা Logo সাংবাদিক তুহিন হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে অন্যতম আসামি স্বাধীন Logo আগামীর কর্মপরিকল্পনা নিয়ে জুলাই মঞ্চ লক্ষ্মীপুরের আলোচনা সভা Logo আগামীর সংবিধানে ইসলামী শ্রমনীতি অন্তর্ভুক্তির বিকল্প নেই Logo চাঁদা না পেয়ে গাজীপুরের পোশাক শ্রমিককে পেটাল ছাত্রদল নেতা Logo সীমাবদ্ধতার মাঝেও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন: সিইসি Logo আসন্ন নির্বাচনকে দেশে-বিদেশে একটি দৃষ্টান্ত রূপ দেবে পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার

কোটা বাতিলের দাবিতে ফের ঢাবিতে বিক্ষোভ

২০১৮ সালে কোটা বাতিল করে দেওয়া প্রজ্ঞাপন হাইকোর্ট কর্তৃক অবৈধ ঘোষণার প্রতিবাদে ও প্রজ্ঞাপন পুনর্বহালের দাবিতে ফের বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে শিক্ষার্থীরা।

মিছিলটি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে কলাভবন, শ্যডো, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ হয়ে হলপাড়া দিয়ে হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলের সামনে দিয়ে ভিসি চত্বর হয়ে রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘কোটা না মেধা-মেধা মেধা’, আপস না সংগ্রাম-সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘আঠারোর পরিপত্র-পুনর্বহাল করতে হবে’, ‘কোটাপ্রথা নিপাত যাক-মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘সারা বাংলায় খবর দে-কোটাপ্রথার কবর দে’, ‘আমার সোনার বাংলায়-বৈষম্যের ঠাই নাই’- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আজ পোষ্যকোটা চালু করা হয়েছে। এটা কাদের পক্ষে? যারা এরই মধ্যে একটা সরকারি চাকরি করে তাদের ছেলেমেয়েদের পক্ষে। আর কাদের বিরুদ্ধে? যে কৃষক পরিবারের সন্তান, যেই কৃষক হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে তার সন্তানকে পড়াশোনা করায় তার বিরুদ্ধে। জেলে, মজুর, কৃষক, রিকশাওয়ালা যে ভাইবোন রয়েছে তাদের সন্তানেরা যারা পড়াশোনা করছে তাদের বিরুদ্ধে। তাই আমাদের দাবী হচ্ছে, ১৮ সালের পরিপত্রটি সবার আগে বহাল করতে হবে।

সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা চারটি দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো-

১. ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে।

২. ১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।

৩. সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে।

৪. দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

দাবি উত্থাপনের পর শিক্ষার্থীরা পুনরায় মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমানের কাছে যান। এসময় তারা প্রক্টরের কাছে সারাদেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি খোলা রাখা এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে হল, ক্যান্টিন খোলা রাখাসহ সব শিক্ষার্থী সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

পরে শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুর আড়াইটায় গণ-পদযাত্রা কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ডাকাতির চেষ্টায় গণপিটুনির শিকার সেই বিএনপি নেতা বহিষ্কার

কোটা বাতিলের দাবিতে ফের ঢাবিতে বিক্ষোভ

আপডেট সময় ০৩:০২:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

২০১৮ সালে কোটা বাতিল করে দেওয়া প্রজ্ঞাপন হাইকোর্ট কর্তৃক অবৈধ ঘোষণার প্রতিবাদে ও প্রজ্ঞাপন পুনর্বহালের দাবিতে ফের বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে শিক্ষার্থীরা।

মিছিলটি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে কলাভবন, শ্যডো, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ হয়ে হলপাড়া দিয়ে হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলের সামনে দিয়ে ভিসি চত্বর হয়ে রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘কোটা না মেধা-মেধা মেধা’, আপস না সংগ্রাম-সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘আঠারোর পরিপত্র-পুনর্বহাল করতে হবে’, ‘কোটাপ্রথা নিপাত যাক-মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘সারা বাংলায় খবর দে-কোটাপ্রথার কবর দে’, ‘আমার সোনার বাংলায়-বৈষম্যের ঠাই নাই’- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আজ পোষ্যকোটা চালু করা হয়েছে। এটা কাদের পক্ষে? যারা এরই মধ্যে একটা সরকারি চাকরি করে তাদের ছেলেমেয়েদের পক্ষে। আর কাদের বিরুদ্ধে? যে কৃষক পরিবারের সন্তান, যেই কৃষক হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে তার সন্তানকে পড়াশোনা করায় তার বিরুদ্ধে। জেলে, মজুর, কৃষক, রিকশাওয়ালা যে ভাইবোন রয়েছে তাদের সন্তানেরা যারা পড়াশোনা করছে তাদের বিরুদ্ধে। তাই আমাদের দাবী হচ্ছে, ১৮ সালের পরিপত্রটি সবার আগে বহাল করতে হবে।

সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা চারটি দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো-

১. ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে।

২. ১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।

৩. সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে।

৪. দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

দাবি উত্থাপনের পর শিক্ষার্থীরা পুনরায় মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমানের কাছে যান। এসময় তারা প্রক্টরের কাছে সারাদেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি খোলা রাখা এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে হল, ক্যান্টিন খোলা রাখাসহ সব শিক্ষার্থী সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

পরে শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুর আড়াইটায় গণ-পদযাত্রা কর্মসূচির ঘোষণা দেন।