সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন’ প্রত্যাহারের দাবিতে সর্বাত্মক আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে অনির্দিষ্টকালের জন্য নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) সকল বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি।
বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি।
রোববার (৩০শে জুন) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন ও অবস্থান কর্মসূচিতে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. বিপ্লব মল্লিক। এই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষক নেতারা বলেন, “ বর্তমান সরকারের চলমান উন্নয়নকে রুখতে জগদ্দল পাথরের মতো একটি চক্রান্তকারী চক্র ষড়যন্ত্র করছে। এই শিক্ষা ব্যবস্থাকে যদি রক্ষা করতে হয়, উন্নয়নকে রক্ষা করতে হয়, কৃষিকে রক্ষা করতে হয়, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্পকে রক্ষা করতে হয়, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হয় এই সমস্ত কালাকানুন থেকে আমাদের মুক্তি পেতে হবে। আর এই মুক্তি পেতে এই আন্দোলনে সবাইকে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করতে হবে।”
নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. বিপ্লব মল্লিক বলেন, “গত ১৩ই মার্চ ২০২৪ অর্থ মন্ত্রণালয়ের পেনশন স্কিম সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে বিবৃতি প্রদান, গণস্বাক্ষর সংগ্রহ, মানববন্ধন, প্রতীকী কর্মবিরতি, স্মারকলিপি প্রদান এবং অবস্থান কর্মসূচি মতো শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময়ে সরকারের তরফ থেকে কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় গত ২৫শে, ২৬শে ও ২৭শে জুন বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালিত হয় এবং আজ ৩০শে জুন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে।”
তিনি আরো জানান, “আমাদের এই আন্দোলন উচ্চ শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের চক্রান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন। আমরা এখনও আশা করি সরকার অনতিবিলম্বে এই যৌক্তিক দাবি মেনে নেবেন যাতে আমরা ক্লাসে ফিরে যেতে পারি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ১লা জুলাই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।”