পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী মাহামুদুর রহমান ডাবলুর যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ও ব্যাংক হিসাব ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) পঞ্চগড় সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক গোলাম ফারুক এ আদেশ দেন। এর আগে, গত ৯ জুন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ঠাকুরগাঁও কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইমরান হোসেন আদালতে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ও ব্যাংক হিসাব ক্রোকের আবেদন করেন। গত ১ ফেব্রুয়ারি দুদক ঠাকুরগাঁও জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বরাবর এজাহার দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক আজমির শরিফ মারজী।
নথি সূত্রে জানা গেছে, কাজী মাহামুদুর রহমান ডাবলু গত ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর দুদক দিনাজপুর অফিসে তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৫২ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন রেখেছিলেন। এ ছাড়া ৭৯ লাখ ৭২ হাজার ৫৫৫ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ভোগ দখলে রেখেছেন। এরই প্রেক্ষিতে দুদকে এজাহার দায়ের করা হয়। অনুসন্ধানে অভিযোগ প্রতীয়মান হওয়ায় সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করেন দুদক। তদন্তে এসেছে আসামি কাজী মাহামুদুর রহমান ডাবলু তার নামে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বিক্রি করে বিদেশে পালানোর চেষ্টাও করছেন।
পঞ্চগড় সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট হাবিবুল ইসলাম হাবিব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও তেঁতুলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদুর রহমান (ডাবলু) বলেন, আমার বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত চলছে এটা আমি জানি, তবে আজকের আদালতের আদেশ সম্পর্কে জানা নেই।