ঢাকা ০৩:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ সৌম্য সরকার

টেনেটুনে ১০ বলে মাত্র ১০ রান করে ঘামতে ঘামতেই সাজঘরে ফিরলেন সৌম্য সরকার। ২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যাওয়া দলকে বিপদে রেখেই ফিরলেন সৌম্য।

৬.৩ ওভারে সৌম্য যখন আউট হন বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন মাত্র ৪৮ রান। ৭৩ বলে ১১৬ রানের লক্ষ্য থাকায় রানের চাপ ক্রমেই বাড়ছিল। যে কারণে ব্যাটিংয়ে নেমেই আক্রমণাত্মক মুডে ছিলেন তাওহিদ হৃদয়। সেটি করতে গিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন তরুণ এই ব্যাটসম্যান।

তাওহিদ প্রতিটি বলেই বাউন্ডারি হাঁকাতে চেষ্টা করে যান। মাত্র ৯ বল খেলে ১৪ রান করে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন তাওহিদ। তার আউট নিয়ে হতাশ নয় টিম ম্যানেজমেন্ট। তার মধ্যে যে রান করার তারণা ছিল তাতেই খুশি টাইগার সমর্থকরা।

৭৩ বলে ১১৬ রান করলেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের সেমিফাইনাল নিশ্চিত। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এমন কঠিন সমীকরণের ম্যাচেও বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়।

লক্ষ্য তাড়া করতে নামার আগে বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির কারণে আফগানিস্তানের ইনিংস শেষে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নামকে একটু বিলম্ব হয়। এরপর মাঠে নেমে প্রথম ওভারে ১৩ রান করে বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে ফজলহক ফারুকির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্যাটিংয়ে নেমে চারে ইনিং শুরু করা শান্ত এক বল পর বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন।

নাভিন উল হকের করা তৃতীয় বলে শান্ত আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমেই উইকেটের উপর ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। পরপর দুই বলে দুই উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে যায় বাংলাদেশ।

৩.৩ ওভারে বাংলাদেশর সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ৩১ রান। এরপর স্থানীয় সময় ১১.১৫ মিনিটে শুরু হয় বৃষ্টি। যে কারণে খেলা বন্ধ থাকে।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান করে আফগানিস্তান।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটের এই শেষ ম্যাচটি বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ যদি ১২.১ ওভারের মধ্যে জয় পায় তাহলে সরাসরি সেমিফাইনালে চলে যাবে।

অথবা সেমিফাইনালে যাওয়ার জন্য অবশ্য ১২.৫ ওভারে এই রান টপকালেও চলবে বাংলাদেশকে। সে ক্ষেত্রে স্কোর সমান হওয়ার পর একটি ছয় মারতে হবে। অর্থাৎ ১২.৫ ওভারে বাংলাদেশকে করতে হবে ১২১ রান। আবার ১২.৩ ওভারে আফগানিস্তানকে টপকাতে পারলেও সেমিফাইনালে যাবে বাংলাদেশ। সে ক্ষেত্রে ১২.৩ ওভারে করতে হবে ১১৯ রান।

আর আফগানিস্তান যদি কোনো মতো জয় পায় তাহলে তারা সেমিফাইনালে চলে যাবে। কিন্তু বাংলাদেশ যদি কোনো মতো জয় পায় তাহলে বাংলাদেশ ও আফগানদের হতাশ করে সেমিফাইনালে চলে যাবে অস্ট্রেলিয়া।

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে আলু-পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের নির্দেশনা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের

সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ সৌম্য সরকার

আপডেট সময় ১২:২২:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪

টেনেটুনে ১০ বলে মাত্র ১০ রান করে ঘামতে ঘামতেই সাজঘরে ফিরলেন সৌম্য সরকার। ২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যাওয়া দলকে বিপদে রেখেই ফিরলেন সৌম্য।

৬.৩ ওভারে সৌম্য যখন আউট হন বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন মাত্র ৪৮ রান। ৭৩ বলে ১১৬ রানের লক্ষ্য থাকায় রানের চাপ ক্রমেই বাড়ছিল। যে কারণে ব্যাটিংয়ে নেমেই আক্রমণাত্মক মুডে ছিলেন তাওহিদ হৃদয়। সেটি করতে গিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন তরুণ এই ব্যাটসম্যান।

তাওহিদ প্রতিটি বলেই বাউন্ডারি হাঁকাতে চেষ্টা করে যান। মাত্র ৯ বল খেলে ১৪ রান করে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন তাওহিদ। তার আউট নিয়ে হতাশ নয় টিম ম্যানেজমেন্ট। তার মধ্যে যে রান করার তারণা ছিল তাতেই খুশি টাইগার সমর্থকরা।

৭৩ বলে ১১৬ রান করলেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের সেমিফাইনাল নিশ্চিত। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এমন কঠিন সমীকরণের ম্যাচেও বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়।

লক্ষ্য তাড়া করতে নামার আগে বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির কারণে আফগানিস্তানের ইনিংস শেষে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নামকে একটু বিলম্ব হয়। এরপর মাঠে নেমে প্রথম ওভারে ১৩ রান করে বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে ফজলহক ফারুকির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্যাটিংয়ে নেমে চারে ইনিং শুরু করা শান্ত এক বল পর বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন।

নাভিন উল হকের করা তৃতীয় বলে শান্ত আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমেই উইকেটের উপর ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। পরপর দুই বলে দুই উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে যায় বাংলাদেশ।

৩.৩ ওভারে বাংলাদেশর সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ৩১ রান। এরপর স্থানীয় সময় ১১.১৫ মিনিটে শুরু হয় বৃষ্টি। যে কারণে খেলা বন্ধ থাকে।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান করে আফগানিস্তান।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটের এই শেষ ম্যাচটি বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ যদি ১২.১ ওভারের মধ্যে জয় পায় তাহলে সরাসরি সেমিফাইনালে চলে যাবে।

অথবা সেমিফাইনালে যাওয়ার জন্য অবশ্য ১২.৫ ওভারে এই রান টপকালেও চলবে বাংলাদেশকে। সে ক্ষেত্রে স্কোর সমান হওয়ার পর একটি ছয় মারতে হবে। অর্থাৎ ১২.৫ ওভারে বাংলাদেশকে করতে হবে ১২১ রান। আবার ১২.৩ ওভারে আফগানিস্তানকে টপকাতে পারলেও সেমিফাইনালে যাবে বাংলাদেশ। সে ক্ষেত্রে ১২.৩ ওভারে করতে হবে ১১৯ রান।

আর আফগানিস্তান যদি কোনো মতো জয় পায় তাহলে তারা সেমিফাইনালে চলে যাবে। কিন্তু বাংলাদেশ যদি কোনো মতো জয় পায় তাহলে বাংলাদেশ ও আফগানদের হতাশ করে সেমিফাইনালে চলে যাবে অস্ট্রেলিয়া।