ঢাকা ১০:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেটে বন্যা ও বৃষ্টিপাত, পানিবন্দি ৭ লাখ মানুষ

সিলেটে বন্যা ও বৃষ্টিপাত, পানিবন্দি ৭ লাখ মানুষ

গত কয়েক দিনে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং বিভিন্ন স্থানে ভারি বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় সিলেটে প্রায় ৭ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ছে। বুধবার (১৯ জুন) সকালেও সুরমা-কুশিয়ারাসহ বিভাগের প্রধান সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেট জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এতে প্রায় প্রায় ৭ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এছাড়া, ৬২৭ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ১৭ হাজার ২৮৫ জন মানুষ। এর মধ্যে, সবচেয়ে বেশি ৭ হাজার মানুষ কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। আগামী ৭২ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

সরেজমিনে নগরীর শাহজালাল উপশহর, ঘাসিটুলা, মাছিমপুর, ছড়ারপার, তালতলা, কুয়ারপার, মেন্দিবাগ, কামালগড়, চালিবন্দর, যতরপুর, সোবহানিঘাট, কালীঘাট, শেখঘাট, তালতলা, জামতলা ঘুরে দেখা যায়, বাসা-বাড়িতে হাঁটু সমান পানি। এসব এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, রিজার্ভ ট্যাংকে নর্দমার পানি প্রবেশ করায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

এছাড়া সীমান্তবর্তী সদর উপজেলা, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জকিগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। গরু-মহিষ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন ওই সব এলাকার মানুষজন। পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী পরিচালক দিপক রঞ্জন তালুকদার বলেন, ভারতে এখনও প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সিলেট নগরীতে বন্যা আশ্রয়ণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রিত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় সেবা তারা পাবেন। পুরো বিষয়টি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, কিছু কিছু উপজেলায় সরকারি স্থাপনায় পানি উঠলেও সেবা ব্যাহত হচ্ছে না।

জনপ্রিয় সংবাদ

গুমের সঙ্গে জড়িত কেউ রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না: প্রেস সচিব

সিলেটে বন্যা ও বৃষ্টিপাত, পানিবন্দি ৭ লাখ মানুষ

আপডেট সময় ০১:৩৬:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুন ২০২৪

গত কয়েক দিনে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং বিভিন্ন স্থানে ভারি বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় সিলেটে প্রায় ৭ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ছে। বুধবার (১৯ জুন) সকালেও সুরমা-কুশিয়ারাসহ বিভাগের প্রধান সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেট জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এতে প্রায় প্রায় ৭ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এছাড়া, ৬২৭ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ১৭ হাজার ২৮৫ জন মানুষ। এর মধ্যে, সবচেয়ে বেশি ৭ হাজার মানুষ কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। আগামী ৭২ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

সরেজমিনে নগরীর শাহজালাল উপশহর, ঘাসিটুলা, মাছিমপুর, ছড়ারপার, তালতলা, কুয়ারপার, মেন্দিবাগ, কামালগড়, চালিবন্দর, যতরপুর, সোবহানিঘাট, কালীঘাট, শেখঘাট, তালতলা, জামতলা ঘুরে দেখা যায়, বাসা-বাড়িতে হাঁটু সমান পানি। এসব এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, রিজার্ভ ট্যাংকে নর্দমার পানি প্রবেশ করায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

এছাড়া সীমান্তবর্তী সদর উপজেলা, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জকিগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। গরু-মহিষ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন ওই সব এলাকার মানুষজন। পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী পরিচালক দিপক রঞ্জন তালুকদার বলেন, ভারতে এখনও প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সিলেট নগরীতে বন্যা আশ্রয়ণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রিত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় সেবা তারা পাবেন। পুরো বিষয়টি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, কিছু কিছু উপজেলায় সরকারি স্থাপনায় পানি উঠলেও সেবা ব্যাহত হচ্ছে না।