চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের এক নেতাকে প্রকাশ্যে দিবালোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে ধরে নিয়ে নির্মম নির্যাতন করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ভুক্তভোগী শিবির নেতা হলেন কুরআনিক সায়েন্সেস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টের ৮ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মো. আলাউদ্দিন খান।
গতকাল ঐ শিক্ষার্থী বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বরাবর অভিযোগ পত্র জমা দেন।
অভিযোগ পত্রে তিনি বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভায় উপস্থিত হই। পরে ক্যাম্পাসে আমার সহপাঠী সেন্ট্রাল মসজিদের মুয়াজ্জিন মো. সাখাওয়াত হোসেনের সাথে দেখা করতে যাই । তখন ছাত্রলীগের কর্মী ইইই ডিপার্টমেন্টের তানভীর ও আইন বিভাগের উচোঁ মারমা এসে আমার পথরোধ করে। কোন ডিপার্টমেন্টের একথা জিজ্ঞেস করে বলে চলেন চা খাবো। আমি চা খাবোনা বলে চলে আসতে চাইলে তখন ইইই ডিপার্টমেন্টের তানভীর আমাকে পিছন থেকে ঝাপটে ধরে এবং তার সাথে থাকা হাসান হাবিব মুরাদ, সাইফুজ্জামান ও মুসলিম উদ্দিন মুকিতসহ আরো কয়েকজন ছাত্রলীগ আমাকে জোর করে টেনে হিচড়ে গেইটের বাহিরে নিয়ে যায়। পরে ছাত্রলীগের ১৫ জন নেতাকর্মী আমাকে এলোপাথাড়ি কিল- ঘুষি, লাথি মারতে থাকে । যার ফলে আমার গালে, হাতের কনুই, পায়ে ও পিঠের উপর মারাত্মকভাবে জখম হয়। ১০ মিনিট পর পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে।পরে আবু বকর (র:) হলের প্রভোস্ট আ ফ ম নুরুজ্জামান আমাকে মেডিকেল সেন্টারে পাঠান। এর পরেও তারা আমাকে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। অভিযোগ পত্রে তিনি অপরাধীদের শাস্তি প্রদান ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আবেদন করে।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সভাপতি হামেদ হাসান ইলাহী ও সেক্রেটারী ওয়ালী উল্লাহ। কমিটির দপ্তর সম্পাদকের সাক্ষরিত বিবৃতেতে বলা হয়, দেশের প্রতিটি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ যেখানে সরকার দলীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অভ্যন্তরীন কোন্দল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি, মাদক, সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও নিজেদের উপগ্রুপে বিভক্ত নেতা কর্মীদের প্রকাশ্য অস্ত্রের নিচে চাপা পড়েছে। সেখানে নিরীহ শিবির কর্মীদের ধরে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করছে যা কখনো প্রত্যাশিত নয়। এ ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।