ঢাকা ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবারো সেন্টামার্টিনগামী বোটে গুলিবর্ষণ, দ্বীপ জুড়ে আতঙ্ক

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফনদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনাটি নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্ট নামে পরিচিত। আর সেই নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে মিয়ানমারের অজ্ঞাত একটি অস্ত্রধারী গোষ্ঠী। এই গোষ্ঠীটি কোনোভাবেই টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে ট্রলার বা স্পিড বোট চলাচল করতে দিচ্ছে না। ওই রুটে ট্রলার বা বোট দেখার সঙ্গে সঙ্গেই গুলি করছে তারা। এতে দ্বীপ জুড়ে এখন চরম আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়া পথে রোগী বহনকারী স্পিড বোটকে লক্ষ্য করে আবারও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

মঙ্গলবার (১১ জুন) সকাল ১০টার দিকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে সেন্টমার্টি যাত্রাকালে নাফ নদের মোহনায় নাইক্ষ্যংদিয়া পৌঁছালে এই ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে বোট মালিক সমিতির সেক্রেটারি ছৈয়দ আলম জানান, টেকনাফ থেকে চিকিৎসা শেষে সেন্টমার্টিন ফেরার পথে একটি স্পিড বোট লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে, পূর্বে মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে গুলি ছুঁড়লেও আজ ছোট ডিঙি নৌকায় করে নদীতে নেমে গুলিবর্ষণ করে, এ সময় স্পিড বোটে থাকা যাত্রীরা আতংকিত হয়ে পড়ে। পরে তারা সেন্টমার্টিনে নিরাপদে পৌঁছায়।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ইউএনও মো. আদনান চৌধুরী জানিয়েছেন, বিষয়টি সকল পর্যায়ের ঊধ্বর্তন মহলকে অবহিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি খুবিই খারাপ। এর প্রেক্ষিতে দ্বীপে অবস্থানরত মানুষ খাদ্য সংকটে পড়বে। ওই এলাকায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী নাকি বিদ্রোহীরা গুলি চালাচ্ছে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে ট্রলার ও স্পীড বোটকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হচ্ছে। তাই ওই নৌরুটে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে জরুরি ভিত্তিতে শাহপরীর দ্বীপ অংশ থেকে বিকল্প পদ্ধতিতে বঙ্গোপসাগর হয়ে সেন্টমার্টিন যাওয়া বিষয় চিন্তা করা হয়েছিল। এব্যাপারে গত রোববার আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি সরকারের সর্বোচ্চ মহলকে অবিহিত করা হয়েছে।

এর আগে, মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংদিয়া থেকে সেন্টমার্টিনগামী পণ্যবাহী ট্রলার এবং বাংলাদেশের নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ওপর গুলি ছোড়া হয়েছে। ওই এলাকাটি বর্তমানে আরাকান আর্মির দখলে রয়েছে বলে জানা গেছে। এই গোষ্ঠীর সদস্যরাই গুলি ছুড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রতি যে বার্তা দিলো হেফাজত আমির

আবারো সেন্টামার্টিনগামী বোটে গুলিবর্ষণ, দ্বীপ জুড়ে আতঙ্ক

আপডেট সময় ০৫:০৫:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফনদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনাটি নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্ট নামে পরিচিত। আর সেই নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে মিয়ানমারের অজ্ঞাত একটি অস্ত্রধারী গোষ্ঠী। এই গোষ্ঠীটি কোনোভাবেই টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে ট্রলার বা স্পিড বোট চলাচল করতে দিচ্ছে না। ওই রুটে ট্রলার বা বোট দেখার সঙ্গে সঙ্গেই গুলি করছে তারা। এতে দ্বীপ জুড়ে এখন চরম আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়া পথে রোগী বহনকারী স্পিড বোটকে লক্ষ্য করে আবারও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

মঙ্গলবার (১১ জুন) সকাল ১০টার দিকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে সেন্টমার্টি যাত্রাকালে নাফ নদের মোহনায় নাইক্ষ্যংদিয়া পৌঁছালে এই ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে বোট মালিক সমিতির সেক্রেটারি ছৈয়দ আলম জানান, টেকনাফ থেকে চিকিৎসা শেষে সেন্টমার্টিন ফেরার পথে একটি স্পিড বোট লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে, পূর্বে মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে গুলি ছুঁড়লেও আজ ছোট ডিঙি নৌকায় করে নদীতে নেমে গুলিবর্ষণ করে, এ সময় স্পিড বোটে থাকা যাত্রীরা আতংকিত হয়ে পড়ে। পরে তারা সেন্টমার্টিনে নিরাপদে পৌঁছায়।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ইউএনও মো. আদনান চৌধুরী জানিয়েছেন, বিষয়টি সকল পর্যায়ের ঊধ্বর্তন মহলকে অবহিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি খুবিই খারাপ। এর প্রেক্ষিতে দ্বীপে অবস্থানরত মানুষ খাদ্য সংকটে পড়বে। ওই এলাকায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী নাকি বিদ্রোহীরা গুলি চালাচ্ছে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে ট্রলার ও স্পীড বোটকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হচ্ছে। তাই ওই নৌরুটে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে জরুরি ভিত্তিতে শাহপরীর দ্বীপ অংশ থেকে বিকল্প পদ্ধতিতে বঙ্গোপসাগর হয়ে সেন্টমার্টিন যাওয়া বিষয় চিন্তা করা হয়েছিল। এব্যাপারে গত রোববার আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি সরকারের সর্বোচ্চ মহলকে অবিহিত করা হয়েছে।

এর আগে, মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংদিয়া থেকে সেন্টমার্টিনগামী পণ্যবাহী ট্রলার এবং বাংলাদেশের নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ওপর গুলি ছোড়া হয়েছে। ওই এলাকাটি বর্তমানে আরাকান আর্মির দখলে রয়েছে বলে জানা গেছে। এই গোষ্ঠীর সদস্যরাই গুলি ছুড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।