ঢাকায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের মিছিল থেকে ১২ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রঐক্য। বুধবার (১১ অক্টোবর) রাতে এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রঐক্যের সমন্বয়ক রাশেদ ইকবাল খান, মশিউর রহমান খান রিচার্ড এবং আরিফুল ইসলাম আদীব এই দাবি জানান।
ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রঐক্যের সমন্বয় পরিষদের সদস্য শ্যামল চন্দ্র সরকার প্রেরিত বিবৃতিতে ছাত্র জোটের নেতারা বলেন, বর্তমান সরকার তার অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন, হামলা-মামলার পথ বেছে নিয়েছে। গণতান্ত্রিক পরিসরকে সংকুচিত করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে বুধবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীতে ৭ দফা দাবিতে ছাত্রশিবিরের শান্তিপূর্ণ মিছিল থেকে ১২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছাত্রশিবির শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করলেও পুলিশ সেখানে বেআইনি ও দায়িত্বহীন কাজ করেছে। আমরা এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে আমরা অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
তারা আরও বলেন, গ্রেপ্তার-নির্যাতন করে আসলে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। দেশে জনগণের ভোটাধিকার, গণতন্ত্র ও সন্ত্রাস-দখলদারিত্বমুক্ত নিরাপত্তা ক্যাম্পাসের দাবিতে আমাাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে। আমরা মনে করি, এটি শুধু আমাদের লড়াই নয়- এ লড়াই বাংলাদেশের সমস্ত মানুষের। এই লড়াইকে বেগবান করতে যার যার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর নয় দফার ভিত্তিতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ১৫টি ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রঐক্য’ নামে নতুন ছাত্র জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ছাত্র সংগঠনগুলো হলো- জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র অধিকার পরিষদ (নুর), ছাত্রলীগ (জেএসডি), গণতান্ত্রিক ছাত্রদল (এলডিপি), নাগরিক ছাত্রঐক্য, জাগপা ছাত্রলীগ (জাগপা-তাসমিয়া), ছাত্রফোরাম (গণফোরাম-মন্টু), ভাসানী ছাত্রপরিষদ, জাতীয় ছাত্রসমাজ (কাজী জাফর), জাতীয় ছাত্রসমাজ (বিজেপি-পার্থ), জাগপা ছাত্রলীগ (জাগপা-লুৎফর), ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ, বিপ্লবী ছাত্র সংহতি এবং রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলন।