ঢাকা ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিশোর পাতা উপন্যাস লেখা প্রতিযোগিতা ২০২৩ এর পুরস্কার প্রদান

কিশোর পাতা আয়োজিত ‘কিশোর পাতা উপন্যাস লেখা প্রতিযোগিতা ২০২৩’ এর পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

রবিবার (২ জুন) রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মিলনায়তনে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়।

প্রতিযোগিতায় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। বিজয়ীদের মাঝে পর্যায়ক্রমে প্রথম পুরস্কার ১৫ হাজার, দ্বিতীয় পুরস্কার ১০ হাজার, তৃতীয় পুরস্কার  আট হাজার টাকাসহ মোট ১১ জনকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। এছাড়াও প্রত্যেকের হাতে সনদপত্র, ক্রেস্টসহ মূল্যবান বই তুলে দেওয়া হয়।

বিশিষ্ট কবি, গীতিকার ও সম্পাদক কবি জাকির আবু জাফরের সভাপতিত্বে এবং আব্দুল কাদেরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ড. আব্দুস সাত্তার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সংগঠক রাফে সালমান রিফাত।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আব্দুস সাত্তার বলেন- “জানার দুটি দিক- একটা হচ্ছে জ্ঞানে জানা, আরেকটি হচ্ছে অনুভবে জানা। জ্ঞানে জানাটা হচ্ছে- লেখা-পড়া করে জানা। অন্যদিকে অনুভবে জানা হচ্ছে- আমার হৃদয় দিয়ে আমি যা অনুভব করি, আমি যা অন্তরদৃষ্টি দিয়ে দেখি এমন সুন্দর বিষয়গুলো, শিল্পের বিষয়গুলো। এ সবকিছু নিয়ে ভেবে, আমার ভাবনার বিষয়গুলো লেখনীর মাধ্যমে প্রকাশ করি। একজন স্বার্থক সাহিত্যিকের জন্য জ্ঞানে জানা ও অনুভবে জানা দুটিরই প্রয়োজন। যারা শুধু জ্ঞানে জানার মধ্য দিয়ে সাহিত্য রচনা করেন তাদের সাহিত্য মানুষের হৃদয় স্পর্শ করতে পারে না।”

বিশেষ অতিথি রাফে সালমান রিফাত তার বক্তব্যে বলেন- “আমরা যারা সৃষ্টিশীল কাজের সাথে জড়িত, চিন্তা ও চেতনা লেখনীর মাধ্যমে প্রকাশ করতে সক্ষম। সমাজের কাছে তাদের একটা দায় থেকে যায়। সেই দায়টা হচ্ছে- আমাদের লেখনী, উপন্যাস, গল্প কিংবা কবিতার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের যে সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র আছে, সেটার যথাযথ প্রতিনিধিত্ব করতে পারছি কিনা? সেটাকে যথাযথভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারছি কিনা? আমি আপনাদের কাছে এই আহ্বান করবো- আপনাদের লেখনীর ও সাহিত্য কর্মের মাধ্যমে, আমাদের যে নিজস্ব আত্মপরিচয় আছে সেটা ফুটিয়ে তুলবেন। এর মধ্য দিয়ে আমরা মানবিক হতে পারবো, আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনার অধিকারী হতে পারবো। আমরা আমাদের মধ্যকার বিভাজন থেকে মুক্ত হয়ে একটা অসাম্প্রদায়িক ও উদার বাংলাদেশ গড়তে পারবো।”

সমাপনিতে সভাপতির বক্তব্যে কবি জাকির আবু জাফর বলেন- “বিশ্বে যা কিছু সৃষ্টি, এই সৃষ্টির শ্রেষ্ঠতম অংশ হলো মানুষ। মানুষের মধ্যে যারা অতি ভাগ্যবান আল্লাহ তাদেরকে কেবল কলমের শক্তি দেন। উপন্যাস মানে একটি স্বপ্নের জগৎ, একটি কল্পনার জগৎ, একটি আনন্দের জগৎ, একটি সুন্দরের জগৎ। লেখকরা হলো- ফুলের মতো ফুরফুরে, বাতাসের মতো প্রবাহমান, আকাশের মতো উদার, সমুদ্রের মতো কল্লোলিত, রোদ্রের মতো উষ্ণতাময়, ছায়ার মতো শীতলতা, এবং ফুলের মতো সুগন্ধময়। জগতের সমস্ত সুন্দরকে তোমাকে ধারণ করতে হবে। তাহলে তুমি লেখক হবে।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কিশোর পাতার সহকারী সম্পাদক ফোরকার উদ্দিন ফয়সাল, কিশোর পাতা পরিবারের সদস্য ছাইদুল্লাহ সরদার, জোবায়ের হোসেন, ফয়জুল্লাহ মাহমুদ ও মো. নাহিদ হাসান প্রমুখ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কিশোর পাতা উপন্যাস লেখা প্রতিযোগিতা ২০২৩ এর পুরস্কার প্রদান

আপডেট সময় ০৬:৩০:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪

কিশোর পাতা আয়োজিত ‘কিশোর পাতা উপন্যাস লেখা প্রতিযোগিতা ২০২৩’ এর পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

রবিবার (২ জুন) রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মিলনায়তনে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়।

প্রতিযোগিতায় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। বিজয়ীদের মাঝে পর্যায়ক্রমে প্রথম পুরস্কার ১৫ হাজার, দ্বিতীয় পুরস্কার ১০ হাজার, তৃতীয় পুরস্কার  আট হাজার টাকাসহ মোট ১১ জনকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। এছাড়াও প্রত্যেকের হাতে সনদপত্র, ক্রেস্টসহ মূল্যবান বই তুলে দেওয়া হয়।

বিশিষ্ট কবি, গীতিকার ও সম্পাদক কবি জাকির আবু জাফরের সভাপতিত্বে এবং আব্দুল কাদেরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ড. আব্দুস সাত্তার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সংগঠক রাফে সালমান রিফাত।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আব্দুস সাত্তার বলেন- “জানার দুটি দিক- একটা হচ্ছে জ্ঞানে জানা, আরেকটি হচ্ছে অনুভবে জানা। জ্ঞানে জানাটা হচ্ছে- লেখা-পড়া করে জানা। অন্যদিকে অনুভবে জানা হচ্ছে- আমার হৃদয় দিয়ে আমি যা অনুভব করি, আমি যা অন্তরদৃষ্টি দিয়ে দেখি এমন সুন্দর বিষয়গুলো, শিল্পের বিষয়গুলো। এ সবকিছু নিয়ে ভেবে, আমার ভাবনার বিষয়গুলো লেখনীর মাধ্যমে প্রকাশ করি। একজন স্বার্থক সাহিত্যিকের জন্য জ্ঞানে জানা ও অনুভবে জানা দুটিরই প্রয়োজন। যারা শুধু জ্ঞানে জানার মধ্য দিয়ে সাহিত্য রচনা করেন তাদের সাহিত্য মানুষের হৃদয় স্পর্শ করতে পারে না।”

বিশেষ অতিথি রাফে সালমান রিফাত তার বক্তব্যে বলেন- “আমরা যারা সৃষ্টিশীল কাজের সাথে জড়িত, চিন্তা ও চেতনা লেখনীর মাধ্যমে প্রকাশ করতে সক্ষম। সমাজের কাছে তাদের একটা দায় থেকে যায়। সেই দায়টা হচ্ছে- আমাদের লেখনী, উপন্যাস, গল্প কিংবা কবিতার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের যে সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র আছে, সেটার যথাযথ প্রতিনিধিত্ব করতে পারছি কিনা? সেটাকে যথাযথভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারছি কিনা? আমি আপনাদের কাছে এই আহ্বান করবো- আপনাদের লেখনীর ও সাহিত্য কর্মের মাধ্যমে, আমাদের যে নিজস্ব আত্মপরিচয় আছে সেটা ফুটিয়ে তুলবেন। এর মধ্য দিয়ে আমরা মানবিক হতে পারবো, আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনার অধিকারী হতে পারবো। আমরা আমাদের মধ্যকার বিভাজন থেকে মুক্ত হয়ে একটা অসাম্প্রদায়িক ও উদার বাংলাদেশ গড়তে পারবো।”

সমাপনিতে সভাপতির বক্তব্যে কবি জাকির আবু জাফর বলেন- “বিশ্বে যা কিছু সৃষ্টি, এই সৃষ্টির শ্রেষ্ঠতম অংশ হলো মানুষ। মানুষের মধ্যে যারা অতি ভাগ্যবান আল্লাহ তাদেরকে কেবল কলমের শক্তি দেন। উপন্যাস মানে একটি স্বপ্নের জগৎ, একটি কল্পনার জগৎ, একটি আনন্দের জগৎ, একটি সুন্দরের জগৎ। লেখকরা হলো- ফুলের মতো ফুরফুরে, বাতাসের মতো প্রবাহমান, আকাশের মতো উদার, সমুদ্রের মতো কল্লোলিত, রোদ্রের মতো উষ্ণতাময়, ছায়ার মতো শীতলতা, এবং ফুলের মতো সুগন্ধময়। জগতের সমস্ত সুন্দরকে তোমাকে ধারণ করতে হবে। তাহলে তুমি লেখক হবে।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কিশোর পাতার সহকারী সম্পাদক ফোরকার উদ্দিন ফয়সাল, কিশোর পাতা পরিবারের সদস্য ছাইদুল্লাহ সরদার, জোবায়ের হোসেন, ফয়জুল্লাহ মাহমুদ ও মো. নাহিদ হাসান প্রমুখ।