ঢাকা ১১:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নরসিংদীতে ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মানববন্ধন Logo হাজিগঞ্জে জামায়াতের নতুন অফিস উদ্বোধন অনুষ্ঠান Logo দেশের রিজার্ভ বেড়ে ২৫.৪৪ বিলিয়ন ডলার Logo ক্ষমা চাওয়ার জন্য হাসনাত আব্দুল্লাহকে কুমিল্লা বিএনপির আল্টিমেটাম Logo সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে: শিবির সেক্রেটারি Logo যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স পাঠাতে দিতে হবে ৫ শতাংশ কর Logo বিডার চেয়ারম্যানের কাছে চট্টগ্রাম বন্দর বিষয়ক বাংলাদেশ জাময়াতে ইসলামীর প্রস্তাব Logo নির্বাচন না হলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না: আমীর খসরু Logo ‘ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ালে আন্দোলন অন্যভাবে রূপ নেবে’ Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২ দিনব্যাপী জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন

ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামলেন মাহমুদ আহমাদিনেজাদ

ইরানের সাবেক কট্টরপন্থি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনেজাদ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য নিবন্ধন করেছেন। এরমাধ্যমে দীর্ঘ ১২ বছর পর ফের দেশটির প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য লড়াইয়ের চেষ্টা চালাবেন তিনি।

গত ১৯ মে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তার এমন আকস্মিক মৃত্যুর পর নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে ইরান।

মাহমুদ আহমাদিনেজাদ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য নিবন্ধন করলেও তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধা দেওয়া হতে পারে।

ইরানে কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে পারবেন, কে পারবেন না সেটি নির্ধারণ করে ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে গঠিত ‘গার্ডিয়ান কাউন্সিল’। এই কাউন্সিল চাইলে আহমাদিনেজাদের নিবন্ধণ বাতিল করে দিতে পারে। আগামী ১১ জুন যাচাই-বাছাই শেষে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে গার্ডিয়ান কাউন্সিল।

মাহমুদ আহমাদিনেজাদ ইরানের চৌকস বিপ্লবী গার্ডের সদস্য ছিলেন। তিনি ২০০৫ সালে প্রথমবারের মতো ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৩ সালে পদত্যাগ করেন।

২০১৭ ও ২০২১ সালেও তিনি ফের নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এই দুইবারই তাকে বাধা দেওয়া হয়। ২০১৭ সালে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি আহমাদিনেজাদকে সতর্কতা দিয়ে বলেন, “প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার প্রার্থীতাকে তিনি দেশের জন্য ভালো হিসেবে দেখছেন না।”

আহমাদিনেজাদ এবং খামেনির মধ্যে একটা সময় দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। কারণ খামেনির সর্বময় ক্ষমতা নিয়ে আহমাদিনেজাদ প্রশ্ন তুলেছিলেন।

২০১৮ সালে খামেনির প্রতি করা এক বিরল সমালোচনায় তিনি ‘সুষ্ঠু নির্বাচন’ আয়োজনের তাগিদ দিয়েছিলেন।

২০০৯ সালে আহমাদিনেজাদ যখন পুননির্বাচিত হন তখন ইরানে ব্যাপক সহিংসতা শুরু হয়েছিল। ওই সময় খামেনি তার প্রতি সমর্থন জানান এবং বিপ্লবী গার্ডকে ব্যবহার করে সেটি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ওই সহিংসতায় কয়েক ডজন মানুষ নিহত হন।

ইরানে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে আগামী ২৮ জুন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নরসিংদীতে ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামলেন মাহমুদ আহমাদিনেজাদ

আপডেট সময় ০৫:৫০:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪

ইরানের সাবেক কট্টরপন্থি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনেজাদ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য নিবন্ধন করেছেন। এরমাধ্যমে দীর্ঘ ১২ বছর পর ফের দেশটির প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য লড়াইয়ের চেষ্টা চালাবেন তিনি।

গত ১৯ মে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তার এমন আকস্মিক মৃত্যুর পর নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে ইরান।

মাহমুদ আহমাদিনেজাদ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য নিবন্ধন করলেও তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধা দেওয়া হতে পারে।

ইরানে কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে পারবেন, কে পারবেন না সেটি নির্ধারণ করে ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে গঠিত ‘গার্ডিয়ান কাউন্সিল’। এই কাউন্সিল চাইলে আহমাদিনেজাদের নিবন্ধণ বাতিল করে দিতে পারে। আগামী ১১ জুন যাচাই-বাছাই শেষে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে গার্ডিয়ান কাউন্সিল।

মাহমুদ আহমাদিনেজাদ ইরানের চৌকস বিপ্লবী গার্ডের সদস্য ছিলেন। তিনি ২০০৫ সালে প্রথমবারের মতো ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৩ সালে পদত্যাগ করেন।

২০১৭ ও ২০২১ সালেও তিনি ফের নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এই দুইবারই তাকে বাধা দেওয়া হয়। ২০১৭ সালে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি আহমাদিনেজাদকে সতর্কতা দিয়ে বলেন, “প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার প্রার্থীতাকে তিনি দেশের জন্য ভালো হিসেবে দেখছেন না।”

আহমাদিনেজাদ এবং খামেনির মধ্যে একটা সময় দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। কারণ খামেনির সর্বময় ক্ষমতা নিয়ে আহমাদিনেজাদ প্রশ্ন তুলেছিলেন।

২০১৮ সালে খামেনির প্রতি করা এক বিরল সমালোচনায় তিনি ‘সুষ্ঠু নির্বাচন’ আয়োজনের তাগিদ দিয়েছিলেন।

২০০৯ সালে আহমাদিনেজাদ যখন পুননির্বাচিত হন তখন ইরানে ব্যাপক সহিংসতা শুরু হয়েছিল। ওই সময় খামেনি তার প্রতি সমর্থন জানান এবং বিপ্লবী গার্ডকে ব্যবহার করে সেটি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ওই সহিংসতায় কয়েক ডজন মানুষ নিহত হন।

ইরানে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে আগামী ২৮ জুন।