বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি ঘূর্ণিঝড় রিমাল বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। ঘূর্ণিঝড়টি কোন কোন পথে দিয়ে অতিক্রমের সম্ভাবনা রয়েছে তা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রোববার (২৬ মে) ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে।
রিমালের সম্ভাব্য গতিপথ এবং আঘাত হানার সময় নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আজ সন্ধ্যা বা মধ্যরাত নাগাদ মোংলার কাছ দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়ার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. উমর ফারুক বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ এখন বাংলাদেশের খুলনা অঞ্চলে প্রবেশ করেছে।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের উপকূল অতিক্রম করার সুনির্দিষ্ট সময়ের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। এর গতি কখনো বাড়ছে কখনো কমছে। তাই ঠিক কোন সময়ে এটি উপকূল অতিক্রম করবে তা বলা যাচ্ছে না। তবে সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাতের মধ্যেই এটি উপকূল অতিক্রম করবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় রিমাল আজ সকাল ছয়টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে এগিয়ে ঘনীভূত হতে পারে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে নতুন করে ৯ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।
ঘূর্ণিঝড় রিমাল সন্ধ্যার দিকে উপকূল অতিক্রম করলে সে সময় ভাটা থাকবে। ফলে জলোচ্ছ্বাসের তীব্রতা কম হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ উমর ফারুক। তবে বেশি রাতের দিকে ঘূর্ণিঝড় উপকূল অতিক্রম করলে জলোচ্ছ্বাস বড় আকারে হতে পারে।