ঢাকা ০৬:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo শেখ হাসিনার পরিবারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধা‌নে দুদক Logo গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তায় সতর্ক সেনাবাহিনী Logo অবৈধভাবে থাকা বিদেশিদের বিরুদ্ধে ৩১ জানুয়ারির পর ব্যবস্থা Logo সিরিয়ায় আসাদপন্থিদের হামলায় ১৪ নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত Logo ভারতের মহারাষ্ট্রে ১৭ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার Logo ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের ৪ জন নিহত Logo সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা তদন্তে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন Logo ছুটি পেয়েছে বাড়ি যাবে ,বাড়িতে যাচ্ছে ঠিকই কিন্তু জীবিত নয় লাশ হয়ে Logo ‘বিগত সাড়ে ১৫ বছর যারা শাসন করেছে তারা দেশকে না সাজিয়ে নিজেদেরকে সাজিয়েছে’ ডা. শফিকুর রহমান Logo অন্তর্বর্তী সরকারের উদারতা কপালপোড়া জাতিকে ভোগাবে: হাসনাত

ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন দীনেশ কার্তিক

দীনেশ কার্তিক ক্রিকেটের সঙ্গে নেই বেশ অনেকটা সময় ধরেই। পুরোদমে ব্যস্ত ধারাভাষ্যকার হিসেবে। কিন্তু আইপিএলে ঠিকই ব্যাট আর গ্লাভস হাতে নেমেছেন। নিজের চিরায়ত আক্রমণাত্মক ধাঁচের ব্যাটিংও উপহার দিয়েছেন। তবে ইঙ্গিত ছিল পরিস্কার। আইপিএলের এবারের আসরের পর ক্রিকেটকে পুরোদমে বিদায় জানাবেন কার্তিক। গতকাল বুধবার হয়ে গেল সেটাও।

রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হারের দিনে নিশ্চিত হয়েছে ১৭ বছরের ক্যারিয়ার শেষ করছেন দীনেশ কার্তিক। এলিমিনেটরে হেরে আরও একটা মৌসুম হতাশায় শেষ করেছে আরসিবি। তাতেই বিদায় নিশ্চিত হয়েছে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারের। অবশ্য ঘোষণাটা কার্তিক নিজে দেননি। স্টার স্পোর্টসের ব্রডকাস্টাররা নিশ্চিত করেছে এটিই ছিল পেশাদার ক্রিকেটে তার শেষ ম্যাচ।

চার উইকেটে ম্যাচ হারের পর কার্তিককে জড়িয়ে ধরে বিদায় নেন বিরাট কোহলি, ফাফ ডু প্লেসি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলরা। গার্ড অব অনার দেয়া হয়েছে পুরো দলের পক্ষ থেকে। সেখানে বেশ আবেগী দেখা গিয়েছে তাকে। তাছাড়া তিনি নিজেও সমর্থকদের কাছ থেকে যেভাবে বিদায় নিয়েছেন, তাতে অবসরের জন্য আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণার দরকার হয় না।

নিজের শেষ ম্যাচটা অবশ্য খুব একটা বলার মতো কিছু করতে পারেননি কার্তিক। বুধবারের ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে এলিমিনেটরে ১৩ বলে ১১ রান করে আউট হন তিনি। দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জ্বলে উঠতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফিল্ডিং করতে নেমে যশস্বী জায়সাওয়ালের ক্যাচ ধরার পাশাপাশি সাঞ্জু স্যামসনকে স্টাম্পিং করেছেন।

অবশ্য পুরো আসরের পারফরম্যান্স বিবেচনায় বেশ ভালো সময় পার করেছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ১৩ ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে ৩২৬ রান সংগ্রহ করেন। দুটি হাফ-সেঞ্চুরি আসে তার ব্যাটে। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ৮৩ রানের। ১৮৭.৩৫ স্ট্রাইক-রেটে রান করেছেন। ২৭টি চারের সঙ্গে মারেন ২২টি ছক্কা।

সবমিলিয়ে আইপিএল ক্যারিয়ারে ১৭ বছরে ২৫৭ ম্যাচ খেলেছেন কার্তিক। ২২টি হাফ সেঞ্চুরিতে চার হাজার ৮৪২ রান এসেছে তার ব্যাটে। ২০০৮ সালে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের (বর্তমান দিল্লি ক্যাপিটালস) হয়ে আইপিএলে যাত্রা শুরু করেন তিনি। এরপর গিয়েছেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবে (বর্তমান পাঞ্জাব কিংস)। তারপর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, গুজরাট লায়ন্স, কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং শেষে বেঙ্গালুরুর হয়ে আইপিএল খেলেন তিনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

শেখ হাসিনার পরিবারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধা‌নে দুদক

ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন দীনেশ কার্তিক

আপডেট সময় ০৪:১৪:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪

দীনেশ কার্তিক ক্রিকেটের সঙ্গে নেই বেশ অনেকটা সময় ধরেই। পুরোদমে ব্যস্ত ধারাভাষ্যকার হিসেবে। কিন্তু আইপিএলে ঠিকই ব্যাট আর গ্লাভস হাতে নেমেছেন। নিজের চিরায়ত আক্রমণাত্মক ধাঁচের ব্যাটিংও উপহার দিয়েছেন। তবে ইঙ্গিত ছিল পরিস্কার। আইপিএলের এবারের আসরের পর ক্রিকেটকে পুরোদমে বিদায় জানাবেন কার্তিক। গতকাল বুধবার হয়ে গেল সেটাও।

রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হারের দিনে নিশ্চিত হয়েছে ১৭ বছরের ক্যারিয়ার শেষ করছেন দীনেশ কার্তিক। এলিমিনেটরে হেরে আরও একটা মৌসুম হতাশায় শেষ করেছে আরসিবি। তাতেই বিদায় নিশ্চিত হয়েছে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারের। অবশ্য ঘোষণাটা কার্তিক নিজে দেননি। স্টার স্পোর্টসের ব্রডকাস্টাররা নিশ্চিত করেছে এটিই ছিল পেশাদার ক্রিকেটে তার শেষ ম্যাচ।

চার উইকেটে ম্যাচ হারের পর কার্তিককে জড়িয়ে ধরে বিদায় নেন বিরাট কোহলি, ফাফ ডু প্লেসি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলরা। গার্ড অব অনার দেয়া হয়েছে পুরো দলের পক্ষ থেকে। সেখানে বেশ আবেগী দেখা গিয়েছে তাকে। তাছাড়া তিনি নিজেও সমর্থকদের কাছ থেকে যেভাবে বিদায় নিয়েছেন, তাতে অবসরের জন্য আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণার দরকার হয় না।

নিজের শেষ ম্যাচটা অবশ্য খুব একটা বলার মতো কিছু করতে পারেননি কার্তিক। বুধবারের ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে এলিমিনেটরে ১৩ বলে ১১ রান করে আউট হন তিনি। দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জ্বলে উঠতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফিল্ডিং করতে নেমে যশস্বী জায়সাওয়ালের ক্যাচ ধরার পাশাপাশি সাঞ্জু স্যামসনকে স্টাম্পিং করেছেন।

অবশ্য পুরো আসরের পারফরম্যান্স বিবেচনায় বেশ ভালো সময় পার করেছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ১৩ ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে ৩২৬ রান সংগ্রহ করেন। দুটি হাফ-সেঞ্চুরি আসে তার ব্যাটে। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ৮৩ রানের। ১৮৭.৩৫ স্ট্রাইক-রেটে রান করেছেন। ২৭টি চারের সঙ্গে মারেন ২২টি ছক্কা।

সবমিলিয়ে আইপিএল ক্যারিয়ারে ১৭ বছরে ২৫৭ ম্যাচ খেলেছেন কার্তিক। ২২টি হাফ সেঞ্চুরিতে চার হাজার ৮৪২ রান এসেছে তার ব্যাটে। ২০০৮ সালে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের (বর্তমান দিল্লি ক্যাপিটালস) হয়ে আইপিএলে যাত্রা শুরু করেন তিনি। এরপর গিয়েছেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবে (বর্তমান পাঞ্জাব কিংস)। তারপর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, গুজরাট লায়ন্স, কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং শেষে বেঙ্গালুরুর হয়ে আইপিএল খেলেন তিনি।