টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার ১৫ সদস্যের দলে একমাত্র কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান পেসার কাগিসো রাবাদা। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার একাদশ সাজানোর নিয়ম অনুসারে, অন্তত দুজন কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার রাখতে হবে। তবে এবারের বিশ্বকাপে নিয়মটি মানার সুযোগ নেই। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী ফিকিলে এমবালুলা দল নিয়ে তাই প্রশ্ন তুলেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড ও আইসিসির সাবেক প্রেসিডেন্ট রে মালি এই দলকে বলছেন ‘অগ্রহণযোগ্য’।
একাদশ সাজানোর ক্ষেত্রে কৃষ্ণাঙ্গ ও মিশ্রবর্ণের খেলোয়াড়দের উপস্থিতি নিশ্চিতের জন্য অলিখিত একটি নিয়ম মানতেন দক্ষিণ আফ্রিকার নির্বাচকেরা। ২০১৬ সাল থেকে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএসএ) বিষয়টিকে লিখিত নিয়মের আওতায় নিয়ে আসে।
সেই নিয়ম অনুসারে দলে ছয়জন মিশ্রবর্ণের ক্রিকেটার থাকবেন, যার মধ্যে দুজনকে হতে হবে কৃষ্ণাঙ্গ। বাকি পাঁচ ক্রিকেটার হবেন শ্বেতাঙ্গ। এ নিয়ম প্রতি ম্যাচে নির্বাচকেরা মানতে বাধ্য থাকবেন না। নিয়মের হিসাব হবে প্রতি মৌসুম শেষে। অর্থাৎ কোনো ম্যাচে যদি লক্ষ্য পূরণ করা না যায়, তাহলে অন্য ম্যাচে সেটা পুষিয়ে দেওয়া যাবে।
দক্ষিণ আফ্রিকার এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে মিশ্রবর্ণের ক্রিকেটার আছেন ৬ জন—কাগিসো রাবাদা, রিজা হেনড্রিকস, বিয়র্ন ফোরটুইন, কেশব মহারাজ, তাব্রেইজ শামসি, ওটনিল বার্টম্যান। এর মধ্যে রাবাদাই শুধু কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান। রিজার্ভ হিসেবে আছেন আরেক কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান লুঙ্গি এনগিডি। অর্থাৎ একাদশে দুই কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান খেলার কোনো সুযোগ নেই।
এই দল নিয়ে সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী ফিকিলে এমবালুলা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্সে হতাশা প্রকাশ করেছেন। যেটিকে এত দিন চলে আসা রূপান্তর প্রক্রিয়ার প্রাপ্তি থেকে পেছনে হাঁটা বলে অভিহিত করেছেন এমবালুলা। ব্যাপারটা জাতীয় ক্রিকেট দলে সব দক্ষিণ আফ্রিকানের প্রতিনিধিত্ব করে না বলেও মন্তব্য করেছেন এমবালুলা।
সাবেক আইসিসির প্রধান রে মালি তো এমন দলকে মেনেই নিতে পারছেন না। দক্ষিণ আফ্রিকার সম্প্রচারক সংস্থা এসএবিসি স্পোর্টকে বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, অনেক কিছুই অর্জন হয়েছে। কিন্তু ক্রিকেটের ক্ষেত্রে আমরা পেছনের দিকে গিয়েছি। সামনে যাওয়ার বদলে আমার পেছনের দিকে গিয়েছি। আমি বুঝতে পারছি না এই সময়ে কেন দক্ষিণ আফ্রিকা দলে বেশিসংখ্যক কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড় নেই?’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে দক্ষিণ আফ্রিকার সাদা বলের কোচ রব ওয়াল্টারের যুক্তি ভিন্ন। তিনি দল ঘোষণার সময়ে বলেছেন, ‘আমার সবচেয়ে জরুরি বিষয় হচ্ছে একটা জয়ী প্রোটিয়া দল তৈরি করা। এমন দল করার জন্য সেরা দলটাই আমার বেছে নিতে হয়েছে, যে দলটার এমন কিছু অর্জনের সম্ভাবনা বেশি।’