ঢাকা ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফসলের চেয়ে মজুরির দাম বেশি, কৃষকের মাথায় হাত

সারাদেশে মাঠে-ঘাটে এখন পাকা ধান। তবে মাঠে ধান থাকলেও দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট। ফলে সময় মতো ধান কাটাতে পারছেন না কৃষক। এ ছাড়া এক মণ ধানের দামেও মিলছে না একজন শ্রমিক। শ্রমিক মিললেও জনপ্রতি মজুরি দিতে হচ্ছে ১২০০-১২৫০ টাকা। একইসঙ্গে দিতে হয় দুই বেলা খাবার। এতে শুধু ধান কাটতেই প্রতি মণ ধানের জন্য খরচ পড়ছে প্রায় দেড় হাজার টাকা।

এদিকে বাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৮২০-৮৫০ টাকা। সারাদেশে প্রায় একই চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, এ বছর শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি থাকায় কৃষকরা অনেকে নিজেরা ধান কাটার কাজ করছেন। প্রতিটি এলাকায় কম-বেশি বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। কিন্তু শ্রমিকের দাম বেশী হওয়া কৃষকরা অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

ফেনীর কৃষক তারেক মিয়া জানান, তিনি এবার প্রায় ৩০০ শতক জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছেন। চলতি বোরো মৌসুমে ঝড়, শিলাবৃষ্টি, পোকা-মাকড়, রোগ-বালাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকলেও ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু বাজারে ধানের চাহিদা ও বাজার মূল্য অনেক কম। ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে।

আবদুল খালেক নামে আরেক কৃষক বলেন, ধান কাটা, জমি চাষ, সেচ, চারা, সার, কীটনাশকসহ সব খরচ মিলিয়ে প্রতি মণ ধানের জন্য দামও উঠছে না। তাহলে আমরা খরচ পোষাব কীভাবে? কৃষকের দেশে কৃষকের দেখার কী কেউ নাই?

ফেনীর পরশুরাম উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানান, বোরো ধানের দাম কম থাকায় কৃষকদের ভালোভাবে ধান শুকিয়ে সংরক্ষণ করার পরামর্শ দিচ্ছেন। কয়েকদিন পরে সরকারি উদ্যোগে ধান ক্রয় শুরু হলে বাজারে ধানের দাম বেড়ে যাবে। যেহেতু ঝড় বৃষ্টি নেই ধান শুকিয়ে সংরক্ষণ করে রাখলে পরে বেশি দামে বিক্রি করতে পারবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ফসলের চেয়ে মজুরির দাম বেশি, কৃষকের মাথায় হাত

আপডেট সময় ০৭:৪৩:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪

সারাদেশে মাঠে-ঘাটে এখন পাকা ধান। তবে মাঠে ধান থাকলেও দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট। ফলে সময় মতো ধান কাটাতে পারছেন না কৃষক। এ ছাড়া এক মণ ধানের দামেও মিলছে না একজন শ্রমিক। শ্রমিক মিললেও জনপ্রতি মজুরি দিতে হচ্ছে ১২০০-১২৫০ টাকা। একইসঙ্গে দিতে হয় দুই বেলা খাবার। এতে শুধু ধান কাটতেই প্রতি মণ ধানের জন্য খরচ পড়ছে প্রায় দেড় হাজার টাকা।

এদিকে বাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৮২০-৮৫০ টাকা। সারাদেশে প্রায় একই চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, এ বছর শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি থাকায় কৃষকরা অনেকে নিজেরা ধান কাটার কাজ করছেন। প্রতিটি এলাকায় কম-বেশি বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। কিন্তু শ্রমিকের দাম বেশী হওয়া কৃষকরা অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

ফেনীর কৃষক তারেক মিয়া জানান, তিনি এবার প্রায় ৩০০ শতক জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছেন। চলতি বোরো মৌসুমে ঝড়, শিলাবৃষ্টি, পোকা-মাকড়, রোগ-বালাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকলেও ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু বাজারে ধানের চাহিদা ও বাজার মূল্য অনেক কম। ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে।

আবদুল খালেক নামে আরেক কৃষক বলেন, ধান কাটা, জমি চাষ, সেচ, চারা, সার, কীটনাশকসহ সব খরচ মিলিয়ে প্রতি মণ ধানের জন্য দামও উঠছে না। তাহলে আমরা খরচ পোষাব কীভাবে? কৃষকের দেশে কৃষকের দেখার কী কেউ নাই?

ফেনীর পরশুরাম উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানান, বোরো ধানের দাম কম থাকায় কৃষকদের ভালোভাবে ধান শুকিয়ে সংরক্ষণ করার পরামর্শ দিচ্ছেন। কয়েকদিন পরে সরকারি উদ্যোগে ধান ক্রয় শুরু হলে বাজারে ধানের দাম বেড়ে যাবে। যেহেতু ঝড় বৃষ্টি নেই ধান শুকিয়ে সংরক্ষণ করে রাখলে পরে বেশি দামে বিক্রি করতে পারবে।