ঢাকা ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধুলাবালি থেকে বাচতে করণীয়

ধুলাবালি থেকে বাচতে মাস্ক ব্যবহার করুন।

ধুলার ধরন, আকার-আয়তন, ঘনত্বের মাত্রা ও কত দিন ডাস্টে বসবাসের ওপর নির্ভর করে ক্ষতির মাত্রা। সামান্য পরিমাণ ধুলাও তাৎক্ষণিক সমস্যা করতে পারে। যেমন চোখ জ্বালাপোড়া, কাশি, হাঁচি, অ্যালার্জিক রাইনাইটিস, হাঁপানি ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। আবার যাঁদের আগে থেকেই ফুসফুসের সমস্যা আছে, তাঁদের অল্পতেই সমস্যা জটিল করে তুলতে পারে।

ধুলাবালি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সবার ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক সমস্যা না করলেও দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা করতে পারে। সাধারণত যেসব ধুলা খালি চোখে দেখা যায় না, সেগুলো সাধারণত বেশি ক্ষতিকর।

এ বিষয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র রায় বলেন, বড় আকারের ধুলা নাকে-মুখে জমা হয়, ফুসফুসে যেতে পারে না। তাই ক্ষতিও কম করে। অপরপক্ষে ক্ষুদ্র ধুলা সহজেই ফুসফুসে ঢুকতে পারে ও ক্ষতি করে। এ থেকে বাঁচার উপায় মেনে চললে ফুসফুসের ক্ষতির আশঙ্কা থাকবে না।

ধুলাবালি কীভাবে ক্ষতি করে?

ধুলাবালিতে কারা বেশি ঝুঁকির মধ্যে?

সাধারণত শিশু, বৃদ্ধ ও যাঁদের ডাস্ট অ্যালার্জি আছে, তাঁরা বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকেন।

ধুলাবালি প্রতিরোধের উপায় কী?

প্রাকৃতিক ধুলা নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কঠিন। তবে মানবসৃষ্ট ডাস্ট অনেকাংশে কমানো সম্ভব।

*মাস্ক পরার অভ্যাস থাকলে সহজেই এই ধুলার সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।

*বাসাবাড়ির ধুলা সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। বিভিন্ন ব্যবহার্য জিনিস থেকে ধুলা তৈরি হতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখা। বাসার মেঝে, আঙিনা, বারান্দা, জানালা নিয়মিত পরিষ্কার রাখা। বাড়িতে কোনো পোষ্য প্রাণী থাকলে তাদেরও নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন।

*বিশেষ করে বাসার আশপাশে পানি ছিটিয়ে ধুলাবালি উড়তে না দেওয়া। আর শীতকালে বেশির ভাগ সময়ই বাড়ির জানালা-দরজা বন্ধ করে রাখা হয়। এত হাওয়া চলাচল হয় না। ফলে আপাতদৃষ্টিতে ঘরবাড়ি পরিষ্কার মনে হলেও এ সময় ধুলা একটু বেশিই জমে। তাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে একটু বাড়তি নজর দিতে হবে।

*খোলা জায়গায় সমিল, পাথর ভাঙা, ইট ভাঙা ইত্যাদি না করা।

*রাস্তাঘাট এমনভাবে নির্মাণ এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে যেন অতিরিক্ত ধুলাবালি তৈরি না হয়।

*কলকারখানা ও পোশাক কারখানায় কাজ করার সময় মুখে অবশ্যই মাস্ক পরা।

*বিভিন্ন আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আশপাশে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়মিত পানি ছিটানো। নির্দিষ্ট মাপের জিনিস ব্যবহার করা, যাতে কাটাকাটি কম করতে হয়। ফলে ধুলা কম তৈরি হবে।

লেখক: চিকিৎসক

জনপ্রিয় সংবাদ

ধুলাবালি থেকে বাচতে করণীয়

আপডেট সময় ০৫:৫৭:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪

ধুলার ধরন, আকার-আয়তন, ঘনত্বের মাত্রা ও কত দিন ডাস্টে বসবাসের ওপর নির্ভর করে ক্ষতির মাত্রা। সামান্য পরিমাণ ধুলাও তাৎক্ষণিক সমস্যা করতে পারে। যেমন চোখ জ্বালাপোড়া, কাশি, হাঁচি, অ্যালার্জিক রাইনাইটিস, হাঁপানি ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। আবার যাঁদের আগে থেকেই ফুসফুসের সমস্যা আছে, তাঁদের অল্পতেই সমস্যা জটিল করে তুলতে পারে।

ধুলাবালি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সবার ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক সমস্যা না করলেও দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা করতে পারে। সাধারণত যেসব ধুলা খালি চোখে দেখা যায় না, সেগুলো সাধারণত বেশি ক্ষতিকর।

এ বিষয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র রায় বলেন, বড় আকারের ধুলা নাকে-মুখে জমা হয়, ফুসফুসে যেতে পারে না। তাই ক্ষতিও কম করে। অপরপক্ষে ক্ষুদ্র ধুলা সহজেই ফুসফুসে ঢুকতে পারে ও ক্ষতি করে। এ থেকে বাঁচার উপায় মেনে চললে ফুসফুসের ক্ষতির আশঙ্কা থাকবে না।

ধুলাবালি কীভাবে ক্ষতি করে?

ধুলাবালিতে কারা বেশি ঝুঁকির মধ্যে?

সাধারণত শিশু, বৃদ্ধ ও যাঁদের ডাস্ট অ্যালার্জি আছে, তাঁরা বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকেন।

ধুলাবালি প্রতিরোধের উপায় কী?

প্রাকৃতিক ধুলা নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কঠিন। তবে মানবসৃষ্ট ডাস্ট অনেকাংশে কমানো সম্ভব।

*মাস্ক পরার অভ্যাস থাকলে সহজেই এই ধুলার সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।

*বাসাবাড়ির ধুলা সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। বিভিন্ন ব্যবহার্য জিনিস থেকে ধুলা তৈরি হতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখা। বাসার মেঝে, আঙিনা, বারান্দা, জানালা নিয়মিত পরিষ্কার রাখা। বাড়িতে কোনো পোষ্য প্রাণী থাকলে তাদেরও নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন।

*বিশেষ করে বাসার আশপাশে পানি ছিটিয়ে ধুলাবালি উড়তে না দেওয়া। আর শীতকালে বেশির ভাগ সময়ই বাড়ির জানালা-দরজা বন্ধ করে রাখা হয়। এত হাওয়া চলাচল হয় না। ফলে আপাতদৃষ্টিতে ঘরবাড়ি পরিষ্কার মনে হলেও এ সময় ধুলা একটু বেশিই জমে। তাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে একটু বাড়তি নজর দিতে হবে।

*খোলা জায়গায় সমিল, পাথর ভাঙা, ইট ভাঙা ইত্যাদি না করা।

*রাস্তাঘাট এমনভাবে নির্মাণ এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে যেন অতিরিক্ত ধুলাবালি তৈরি না হয়।

*কলকারখানা ও পোশাক কারখানায় কাজ করার সময় মুখে অবশ্যই মাস্ক পরা।

*বিভিন্ন আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আশপাশে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়মিত পানি ছিটানো। নির্দিষ্ট মাপের জিনিস ব্যবহার করা, যাতে কাটাকাটি কম করতে হয়। ফলে ধুলা কম তৈরি হবে।

লেখক: চিকিৎসক