ঢাকা ০৭:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ৫ আগস্ট ঘিরে নিরাপত্তা শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo ৩০ জুলাই ফেসবুকে‘প্রোফাইল লাল’করে প্রতিবাদ Logo তিস্তার পানি বিপদসীমা ছাড়িয়েছে: বন্যা আতঙ্কে স্থানীয়রা Logo দেশ থেকে পালিয়েছে হাসিনা—কারাগারে মিষ্টি বিক্রেতার মুখে খবর, বাঁধে উল্লাস – উদযাপন Logo বিচার বিভাগের পদ সৃজনের ক্ষমতা এখন সুপ্রিম কোর্টের Logo নাটোরে জুলাই অভ্যুত্থানে বর্ষপূর্তিতে ৫ আগস্ট গণ মিছিল করবে জামায়াত Logo এবার মসজিদের বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সমন্বয়ক আমানের বিরুদ্ধে Logo ৮.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পরই রাশিয়ায় আঘাতহানে সুনামি, ২ দেশে সতর্কতা Logo নওগাঁয় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড ও অর্থদণ্ড Logo যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কহার নিয়ে তৃতীয় দফায় বৈঠক

খালেদা জিয়া এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে: মেডিক্যাল বোর্ড

খালেদা জিয়া এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে: মেডিক্যাল বোর্ড

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তিনি মৃত্যুঝুঁকিতে আছেন বলে মন্তব্য করেছেন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা। আজ সোমবার সকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসক অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকী।

অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকী বলেন, বেগম জিয়া মূল চিকিৎসা পাচ্ছেন না। লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে তার। আমরা যে চিকিৎসা দিচ্ছি তা তাৎক্ষণিক। জরুরি ভিত্তিতে তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। না হলে যে কোনো সময় তিনি মারা যেতে পারেন।

তিনি জানান, লিভারের সংক্রমণের কারণে বারবার পেটে পানি চলে আসছে বেগম জিয়ার। উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হলেও কাজ হচ্ছে না। পেট থেকে পানি হৃদযন্ত্র পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে। এ জন্য ইতোমধ্যে তাকে দুই দুই বার সিসিইউতে নেওয়া হয়েছে।

চিকিৎসক এফ এম সিদ্দিকী বলেন, বেগম জিয়ার শরীরে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হওয়ায় এ পর্যন্ত ৪ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। আমাদের হাতে আর কিছু নেই, যা কিছু করার ছিল করেছি। উন্নত চিকিৎসাই একমাত্র ভরসা। ২ বছর আগে টিপস পদ্ধতিতে চিকিৎসা হলে বেগম জিয়ার পেটে ও হৃদযন্ত্রে রক্তক্ষরণ হতো না।

উনার অবস্থাও এত আশঙ্কাজনক হতো না। তিনি বলেন, বাংলাদেশে টিপস ও লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয় না। ২০০৬ ও ২০০৮ এ বারডেমে পরীক্ষামূলকভাবে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট চালু হলেও সেটি অব্যাহত রাখা যায়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিন আগে পরীক্ষামূলক চালু হয়েও আবার বন্ধ হয়ে গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে সুচনা বক্তব্য রাখেন মেডিক্যাল বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান ও বেগম খালেদা জিয়া ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. নূরউদ্দিন আহমেদ, ডা. এস এম এ জাফর, ডা. আহসানুল আমিন, ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন, ডা. শামসুল আরেফিন, ডা. জিয়াউল হক, ডা. মহসিন, ডা. শেখ ফরিদ আহমেদ, ডা. জাফর ইকবাল, ডা. আতিক, ডা. মামুনুর রশীদ মামুন, বিএনপি স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক, ডা. রফিকুল ইসলাম।

জনপ্রিয় সংবাদ

৫ আগস্ট ঘিরে নিরাপত্তা শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

খালেদা জিয়া এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে: মেডিক্যাল বোর্ড

আপডেট সময় ১১:৩৯:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তিনি মৃত্যুঝুঁকিতে আছেন বলে মন্তব্য করেছেন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা। আজ সোমবার সকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসক অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকী।

অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকী বলেন, বেগম জিয়া মূল চিকিৎসা পাচ্ছেন না। লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে তার। আমরা যে চিকিৎসা দিচ্ছি তা তাৎক্ষণিক। জরুরি ভিত্তিতে তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। না হলে যে কোনো সময় তিনি মারা যেতে পারেন।

তিনি জানান, লিভারের সংক্রমণের কারণে বারবার পেটে পানি চলে আসছে বেগম জিয়ার। উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হলেও কাজ হচ্ছে না। পেট থেকে পানি হৃদযন্ত্র পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে। এ জন্য ইতোমধ্যে তাকে দুই দুই বার সিসিইউতে নেওয়া হয়েছে।

চিকিৎসক এফ এম সিদ্দিকী বলেন, বেগম জিয়ার শরীরে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হওয়ায় এ পর্যন্ত ৪ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। আমাদের হাতে আর কিছু নেই, যা কিছু করার ছিল করেছি। উন্নত চিকিৎসাই একমাত্র ভরসা। ২ বছর আগে টিপস পদ্ধতিতে চিকিৎসা হলে বেগম জিয়ার পেটে ও হৃদযন্ত্রে রক্তক্ষরণ হতো না।

উনার অবস্থাও এত আশঙ্কাজনক হতো না। তিনি বলেন, বাংলাদেশে টিপস ও লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয় না। ২০০৬ ও ২০০৮ এ বারডেমে পরীক্ষামূলকভাবে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট চালু হলেও সেটি অব্যাহত রাখা যায়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিন আগে পরীক্ষামূলক চালু হয়েও আবার বন্ধ হয়ে গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে সুচনা বক্তব্য রাখেন মেডিক্যাল বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান ও বেগম খালেদা জিয়া ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. নূরউদ্দিন আহমেদ, ডা. এস এম এ জাফর, ডা. আহসানুল আমিন, ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন, ডা. শামসুল আরেফিন, ডা. জিয়াউল হক, ডা. মহসিন, ডা. শেখ ফরিদ আহমেদ, ডা. জাফর ইকবাল, ডা. আতিক, ডা. মামুনুর রশীদ মামুন, বিএনপি স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক, ডা. রফিকুল ইসলাম।