ঢাকা ০৪:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এফসিটিসি’র আর্টিকেল ৫.৩ ব্যত্যয় না করার আহবান Logo শপথ নিয়েছেন হাইকোর্টের নবনিযুক্ত ২৫ বিচারপতি Logo বিমানবন্দরে বিদেশি নারীর লাগেজ থেকে ১৩০ কোটি টাকার মাদক জব্দ Logo ডাকসু নির্বাচনে মোতায়েন করা হবে সেনাবাহিনী Logo জুলাই গণহত্যা:আজ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৯ম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ Logo তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে রিভিউ শুনানি চলছে Logo কমেতে শুরু করেছে কাঁচামরিচের দাম Logo হাসনাতকে ‘ফকিন্নির বাচ্চা’বলে ছাত্রলীগ-সংশ্লিষ্টতা তুলে যা শেয়ার করলেন রুমিন ফারহানা Logo গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলছেই একদিনে নিহত আরও ৮৬ ফিলিস্তিনি Logo জবিতে ক্লাস ও পরীক্ষা মনিটরিং সিস্টেম চালু হবে ১ সেপ্টেম্বর

ভারতীয় পত্রিকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির নিউজ

আবারও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিজার্ভ চুরি হয়েছে। এবার ভারতীয় হ্যাকররা ডিজিটাল উপায়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কয়েক বিলিয়ন ডলার চুরি করেছে। গত এক সপ্তাহ আগে রিজার্ভ চুরির এ ঘটনা ঘটেছে। ভারতের ‘নর্থইস্ট নিউজ’ নামের এক পোর্টালে প্রকাশিত এক রিপোর্টে এমন দাবি করা হয়েছে।

তবে বাংলাদেশ ব্যাংক সরাসরি বিষয়টিকে নাকচ করে দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক গণমাধ্যমে বলেছেন, এটি সম্পূর্ণ ভুয়া একটি খবর।

এবিষয়ে মঙ্গলবার (১৪ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নতুন রিজার্ভ চুরি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে ভারতীয় একটি পত্রিকা। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া খবর। আমাদের এখন ফেডের সাথে তিন স্তরের নিশ্চিতকরণ নীতি রয়েছে এবং লেনদেনের নিয়মিত পুনর্মিলন রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) ‘চলতি মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোটি কোটি ডলার চুরির পেছনে কী ভারতীয় হ্যাকাররা জড়িত?’ শীর্ষক শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ‘নর্থইস্ট নিউজ’। এই নিউজেই এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করা হয়। তবে অর্থসূচকের পক্ষ থেকে এই নিউজের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

নর্থইস্ট নিউজের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, অজ্ঞাতপরিচয় সন্দেহভাজন ভারতীয় হ্যাকাররা ডিজিটাল উপায়ে প্রায় এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কয়েক বিলিয়ন ডলার চুরি করেছে। দুই দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো ‘চাঞ্চল্যকর’ চুরির বিষয়ে অবগত এবং তারা নিরবে এ ঘটনার তদন্ত করছে।

এতে আরও বলা হয়, এমন একটি সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটেছে যখন বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে রয়েছে। কিছু কর্মকর্তা সন্দেহ করছেন, রিজার্ভ চুরির সংখ্যাটি ‘একক’ হতে পারে। এটি আমদানি বিল নিষ্পত্তিতে ‘চরম অসুবিধা’ সৃষ্টি করতে পারে।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকে গত ১৩ মে নেট রিজার্ভ ছিলো ১৩ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার। গত দুই সপ্তাহ ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল সদর দফতরে বাংলাদেশ ব্যাংক সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বলেও এই নিউজে উল্লেখ করা হয়েছে।

নর্থইস্ট নিউজের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আট বছরে এই দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেমে হ্যাকাররা ঢুকে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি করেছে। এর আগে ২০১৬ সালে ফিলিপাইনের হ্যাকাররা ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি করেছিলো।

সে সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান এবং সরকারি কর্মকর্তারা সফলভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা গোপন রেখেছিলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এফসিটিসি’র আর্টিকেল ৫.৩ ব্যত্যয় না করার আহবান

ভারতীয় পত্রিকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির নিউজ

আপডেট সময় ১২:৩১:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

আবারও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিজার্ভ চুরি হয়েছে। এবার ভারতীয় হ্যাকররা ডিজিটাল উপায়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কয়েক বিলিয়ন ডলার চুরি করেছে। গত এক সপ্তাহ আগে রিজার্ভ চুরির এ ঘটনা ঘটেছে। ভারতের ‘নর্থইস্ট নিউজ’ নামের এক পোর্টালে প্রকাশিত এক রিপোর্টে এমন দাবি করা হয়েছে।

তবে বাংলাদেশ ব্যাংক সরাসরি বিষয়টিকে নাকচ করে দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক গণমাধ্যমে বলেছেন, এটি সম্পূর্ণ ভুয়া একটি খবর।

এবিষয়ে মঙ্গলবার (১৪ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নতুন রিজার্ভ চুরি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে ভারতীয় একটি পত্রিকা। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া খবর। আমাদের এখন ফেডের সাথে তিন স্তরের নিশ্চিতকরণ নীতি রয়েছে এবং লেনদেনের নিয়মিত পুনর্মিলন রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) ‘চলতি মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোটি কোটি ডলার চুরির পেছনে কী ভারতীয় হ্যাকাররা জড়িত?’ শীর্ষক শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ‘নর্থইস্ট নিউজ’। এই নিউজেই এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করা হয়। তবে অর্থসূচকের পক্ষ থেকে এই নিউজের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

নর্থইস্ট নিউজের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, অজ্ঞাতপরিচয় সন্দেহভাজন ভারতীয় হ্যাকাররা ডিজিটাল উপায়ে প্রায় এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কয়েক বিলিয়ন ডলার চুরি করেছে। দুই দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো ‘চাঞ্চল্যকর’ চুরির বিষয়ে অবগত এবং তারা নিরবে এ ঘটনার তদন্ত করছে।

এতে আরও বলা হয়, এমন একটি সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটেছে যখন বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে রয়েছে। কিছু কর্মকর্তা সন্দেহ করছেন, রিজার্ভ চুরির সংখ্যাটি ‘একক’ হতে পারে। এটি আমদানি বিল নিষ্পত্তিতে ‘চরম অসুবিধা’ সৃষ্টি করতে পারে।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকে গত ১৩ মে নেট রিজার্ভ ছিলো ১৩ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার। গত দুই সপ্তাহ ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল সদর দফতরে বাংলাদেশ ব্যাংক সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বলেও এই নিউজে উল্লেখ করা হয়েছে।

নর্থইস্ট নিউজের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আট বছরে এই দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেমে হ্যাকাররা ঢুকে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি করেছে। এর আগে ২০১৬ সালে ফিলিপাইনের হ্যাকাররা ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি করেছিলো।

সে সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান এবং সরকারি কর্মকর্তারা সফলভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা গোপন রেখেছিলেন।