ঢাকা ১২:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo তুরস্কে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প, ধসে পড়েছে অনেক ভবন Logo পুলিশের বিশেষ অভিযানে মামা বাহিনীর সদস্য ও কুখ্যাত সন্ত্রাসী সিরাজ গ্রেপ্তার Logo র‍্যাগিংয়ের দায়ে জবির ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার,৪ জনের ক্লাস নিষেধাজ্ঞা Logo তুরস্কে ভয়াভহ ভূমিকম্পের আঘাত, ধসে পড়েছে বহু ভবন Logo চানখারপুল আনাসসহ ৬ হত্যা মামলা: হাবিবুরসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ আজ Logo জবিতে নারী নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের অভিযোগ যার বিরুদ্ধে, ছাত্রদলের প্যাডে তিনিই পাঠালেন বিবৃতি Logo আজ তিন দিনের সফরে মালয়েশিয়া যাবে প্রধান উপদেষ্টা Logo জামায়াত আমিরকে দেখতে গিয়েছিলেন হাসপাতালে নিরাপত্তা উপদেষ্টা Logo আল জাজিরার ৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরায়েল Logo লক্ষ্মীপুরে অস্ত্র-মাদকসহ যুবদল নেতা আটক

পাকিস্তানি বলে গুলিস্তানের ড্রেস বিক্রি করতো ‘সানভিস বাই তনি’

‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পাকিস্তানি কাপড়ের পোশাকের বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতার কাছে বিক্রি করা হয়েছে দেশি কাপড়ের পোশাক’ এমন অভিযোগ তুলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন একজন ভোক্তা। অভিযোগ আমলে নিয়ে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে তথ্য প্রমাণাদিসহ স্ব-শরীরে ভোক্তা অধিদপ্তরে উপস্থিত হয়ে শুনানিতে অংশগ্রহণের জন্য নোটিশ পাঠানো হয়। ভোক্তা অধিদপ্তর কর্তৃক প্রেরিত নোটিশ গ্রহণ করলেও শুনানিতে অংশ নিতে আসেনি অভিযুক্ত কাপড়ের ব্যবসায়ী।

যথাসময়ে যোগাযোগ না করা এবং শুনানীতে উপস্থিত না হওয়ায় সোমবার দুপুরে গুলশানের পুলিশ প্লাজায় ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযুক্ত সানভিস বাই তনি’র কাপড়ের দোকানে অভিযান চালায়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল এবং ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ফাহমিনা আক্তার এবং সহকারী পরিচালক ইন্দ্রানী রায়।

অভিযানের শুরুতে অভিযোগকৃত পোশাক পাকিস্তানি না দেশি কাপড় দিয়ে তৈরি সে বিষয়ে প্রমাণ চাওয়া হয়। তবে সানভিস বাই তনি’র দোকানে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা তাল বাহানা শুরু করেন। একজন আরেকজনের উপর দায়িত্ব দিয়ে সটকে পড়তে থাকেন। পরে একজন সহকারী ম্যানেজারকে পাওয়া গেলেও তিনি যথাযথ প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হয়। এমন পরিস্থিতিতে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দোকান বন্ধ করে দেওয়া সিদ্ধান্ত নেয়। তবে পুলিশ প্লাজা শপিং মলের সাধারণ সম্পাদক নিজে জামিনদার হয়ে লিখিত দিয়ে সমিতির পক্ষ থেকে দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এবং লিখিত দেন, যে ভোক্তা অধিকারের পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দোকান বন্ধ থাকবে।

অভিযানের বিষয়ে আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, এই প্রতিষ্টানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল- তারা ফেসবুকে পাকিস্তানি ড্রেসের কথা বলে বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতার কাছে দেশি ড্রেস পাঠিয়েছে। এবং শত শত ক্রেতা এভাবে প্রতারিত হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শুনানিতে অংশ নিতে নোটিশ জারি করা হয়। কিন্তু নোটিশ পাবার পরেও তারা কোনো রেসপন্স করেনি। যেহেতু নোটিশ পাবার পরেও শুনানিতে অংশ নেয়নি সেহেতু মনে হয়েছে অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে আমরা সরাসরি এই দোকানে তদন্ত করার জন্য এসেছিলাম। কিন্তু দোকানের সহকারী ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা এটি যে পাকিস্তানি ড্রেস তার স্বপক্ষে কোনো ডকুমেন্ট দেখাতে পারেনি। তাদের কাগজপত্র নাকি হেড অফিসে রয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

তুরস্কে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প, ধসে পড়েছে অনেক ভবন

পাকিস্তানি বলে গুলিস্তানের ড্রেস বিক্রি করতো ‘সানভিস বাই তনি’

আপডেট সময় ০৩:০৮:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পাকিস্তানি কাপড়ের পোশাকের বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতার কাছে বিক্রি করা হয়েছে দেশি কাপড়ের পোশাক’ এমন অভিযোগ তুলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন একজন ভোক্তা। অভিযোগ আমলে নিয়ে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে তথ্য প্রমাণাদিসহ স্ব-শরীরে ভোক্তা অধিদপ্তরে উপস্থিত হয়ে শুনানিতে অংশগ্রহণের জন্য নোটিশ পাঠানো হয়। ভোক্তা অধিদপ্তর কর্তৃক প্রেরিত নোটিশ গ্রহণ করলেও শুনানিতে অংশ নিতে আসেনি অভিযুক্ত কাপড়ের ব্যবসায়ী।

যথাসময়ে যোগাযোগ না করা এবং শুনানীতে উপস্থিত না হওয়ায় সোমবার দুপুরে গুলশানের পুলিশ প্লাজায় ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযুক্ত সানভিস বাই তনি’র কাপড়ের দোকানে অভিযান চালায়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল এবং ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ফাহমিনা আক্তার এবং সহকারী পরিচালক ইন্দ্রানী রায়।

অভিযানের শুরুতে অভিযোগকৃত পোশাক পাকিস্তানি না দেশি কাপড় দিয়ে তৈরি সে বিষয়ে প্রমাণ চাওয়া হয়। তবে সানভিস বাই তনি’র দোকানে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা তাল বাহানা শুরু করেন। একজন আরেকজনের উপর দায়িত্ব দিয়ে সটকে পড়তে থাকেন। পরে একজন সহকারী ম্যানেজারকে পাওয়া গেলেও তিনি যথাযথ প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হয়। এমন পরিস্থিতিতে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দোকান বন্ধ করে দেওয়া সিদ্ধান্ত নেয়। তবে পুলিশ প্লাজা শপিং মলের সাধারণ সম্পাদক নিজে জামিনদার হয়ে লিখিত দিয়ে সমিতির পক্ষ থেকে দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এবং লিখিত দেন, যে ভোক্তা অধিকারের পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দোকান বন্ধ থাকবে।

অভিযানের বিষয়ে আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, এই প্রতিষ্টানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল- তারা ফেসবুকে পাকিস্তানি ড্রেসের কথা বলে বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতার কাছে দেশি ড্রেস পাঠিয়েছে। এবং শত শত ক্রেতা এভাবে প্রতারিত হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শুনানিতে অংশ নিতে নোটিশ জারি করা হয়। কিন্তু নোটিশ পাবার পরেও তারা কোনো রেসপন্স করেনি। যেহেতু নোটিশ পাবার পরেও শুনানিতে অংশ নেয়নি সেহেতু মনে হয়েছে অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে আমরা সরাসরি এই দোকানে তদন্ত করার জন্য এসেছিলাম। কিন্তু দোকানের সহকারী ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা এটি যে পাকিস্তানি ড্রেস তার স্বপক্ষে কোনো ডকুমেন্ট দেখাতে পারেনি। তাদের কাগজপত্র নাকি হেড অফিসে রয়েছে।