ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, “মেধাবীরা আমাদের সম্পদ। মেধাবীরা আগামী দিনে দেশ পরিচালনায় নেতৃত্ব দিবে। তাই মেধাবীদের মেধা ও মননের যথাযথ পরিচর্যা করতে হবে। মেধার সাথে নৈতিকতার সমন্বয় ঘটাতে পারলেই তারা প্রকৃত সম্পদে পরিণত হবে। না হলে মেধাবীরাই দেশকে অধঃপতনের দিকে নিয়ে যাবে। নৈতিকতার প্রকৃত শিক্ষা আসে ওহির জ্ঞান থেকে। ছাত্রশিবির ওহির জ্ঞানের ভিত্তিতে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। মেধা, মনন, উন্নত নৈতিক চরিত্র ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে গড়ে ওঠে একটি সভ্য জাতি বা রাষ্ট্র।
ছাত্রশিবির মেধা, মনন ও উত্তম চরিত্রের মাধ্যমে একটি ইনসাফপূর্ণ রাষ্ট্র গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ। সত্যপন্থি মেধাবীরাই হবে আমদের এ অগ্রযাত্রার প্রধান সারথি। আজ যারা শিক্ষাজীবনের গুরুত্বপূর্ণ স্তরে মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন, দুনিয়াবি জীবনের প্রতিটি স্তরে সেইসাথে পরকালীন জীবনেও স্বাক্ষর রাখতে হবে।”
গতকাল রবিবার (১২ মে) ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা কর্তৃক আয়োজিত এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তাৎক্ষণিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “মেধাবীদের সচেতন মন নিয়ে বাংলাদেশের দিকে তাকাতে হবে। বাংলাদেশের তরুণসমাজ মাদকের কাছে হেরে যাচ্ছে। অশ্লীল সাংস্কৃতিক আগ্রাসন আমাদের মেধাবীদের অসভ্যে পরিণত করছে। সুশিক্ষার অভাবে জাতীয় জীবনে যারা মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন, তাদের অধিকাংশই পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থার চাকচিক্যময় সাময়িক সুখের কাছে নিজেদের বিবেক বিক্রি করে দিচ্ছে। মেধাকে তারা ভোগের হাতিয়ারে পরিণত করেছে। কখনো কখনো আল্লাহপ্রদত্ত মেধাকে আল্লাহদ্রোহিতার কাজেও ব্যবহার করছে। আর এসবের মূল কারণ হলো ইসলামী মূল্যবোধ ও নৈতিক শিক্ষার অভাব।
দুঃখজনক হলেও সত্য, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশেও ইসলামের নৈতিক শিক্ষা থেকে মুসলমানের সন্তানরা আজ বঞ্চিত। তাই ছাত্রশিবির একটা স্বতন্ত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে দুনিয়াবি ও নৈতিক শিক্ষার সমন্বয়ে মেধাবীদের গড়ে তুলতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।”
অন্যদিকে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা আয়োজিত এসএসসি দাখিল ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তাৎক্ষণিক সংবর্ধনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, “আজ যারা এসএসসি, দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছ, তোমাদের এ কথা ভুলে গেলে চলবে না যে, এটা চূড়ান্ত ফলাফল নয়। তোমাদের আরও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। মেধা বিকাশে পরিশ্রমের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। শুধুমাত্র মুখস্থবিদ্যা নয়; বরং উদ্ভাবনী দক্ষতা বৃদ্ধিতে সচেষ্ট হতে হবে। সর্বোপরি দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ নিশ্চিতে সৃষ্টিকর্তার সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে হবে।”
এছাড়াও সারা দেশের সকল মহানগর, শহর এবং জেলা শাখাসমূহ এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখা শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে এবং এসএসসি পরবর্তী সঠিক পথে নিজেদের পরিচালিত করার দিকনির্দেশনা দিতে নানান আয়োজন করা হয়েছে।