ঢাকা ০৮:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এমপিদের ‘ট্রাম্পকার্ড’ ইউপি চেয়ারম্যানরা

আজকের পত্রিকা গুলোর প্রধান প্রধান খবর:

কালবেলা:

এমপিদের ‘ট্রাম্পকার্ড’ ইউপি চেয়ারম্যানরা
আগামী ২১ মে অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে প্রার্থী হয়েছেন অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ। তিনি স্থানীয় এমপি অ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়নের ভগ্নিপতি। এ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় সবকটির চেয়ারম্যানকে নিজের ভগ্নিপতির পক্ষে ঐক্যবদ্ধ করেছেন এমপি। মাত্র দুজন চেয়ারম্যান এমপির নির্দেশনার বাইরে গিয়ে অন্য প্রার্থীর হয়ে কাজ করছেন।

এভাবে সারা দেশে নিজেদের আত্মীয়স্বজন ও অনুগত প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত করতে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানদের ‘ট্রাম্পকার্ড’ হিসেবে ব্যবহার করছেন মন্ত্রী ও স্থানীয় এমপিরা। এসব ক্ষেত্রে ইউপি চেয়ারম্যানদের টিআর, কাবিখা, কাবিটা, বিভিন্ন ভাতাসহ স্থানীয় নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অঙ্গীকার ও প্রলোভন দিচ্ছেন মন্ত্রী-এমপিরা। তাদের কথার বাইরে গেলে সরকারি এসব সুযোগ-সুবিধা বন্ধের হুমকিও দিয়েছেন অনেকে। ফলে ইউপি চেয়ারম্যানরা পছন্দের বাইরে হলেও একরকম চাপের মুখেই মন্ত্রী-এমপিদের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে কোথাও কোথাও মন্ত্রী-এমপিদের চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত ও হুমকি উপেক্ষা করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন কোনো কোনো ইউপি চেয়ারম্যান।

নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের নির্বাচনী প্রচার ও হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। কিন্তু তারা সেটির কোনো তোয়াক্কা করছেন না। নির্বাচন কমিশন ও দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে এ ব্যাপারে বারবার নিষেধ করা হলেও, তারা এ নির্বাচনে সরাসরি এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে অন্তরালে হস্তক্ষেপ করে চলেছেন। নির্বাচন কমিশন সব কিছু জানলেও তারা কঠিন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এতে মন্ত্রী-এমপিরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। ভোটারদের পাশাপাশি তারা উন্নয়ন বরাদ্দের প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদেরও জিম্মি করে রাখছেন। এ ব্যাপারে কমিশনকে শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।

স্থানীয় সরকার (উপজেলা) নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় কোনো বাধানিষেধ নেই। ফলে চেয়ারম্যানরা এমপির প্রার্থীর পক্ষে সংশ্লিষ্ট ইউপিগুলোয় ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে থাকেন। তা ছাড়া ইউপি চেয়ারম্যানদের এমপির বাইরে যাওয়ারও তেমন সুযোগ নেই। কারণ, সংশ্লিষ্ট সংসদীয় আসনের অভিভাবক এবং সবকিছুর নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় থাকেন এমপিরাই। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, আগামী বছরের শেষে অথবা ২০২৬ সালে ইউপি নির্বাচন শুরু হবে। ওই নির্বাচনে ইউপি চেয়ারম্যানদের ভাগ্য নির্ধারণের দায়িত্বেও থাকবেন এসব এমপি। দলীয় মনোনয়ন না থাকলেও প্রভাব প্রতিপত্তির কারণে বেশিরভাগ ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী এমপিদের শরণাপন্ন হবেন। এমন সুযোগে এমপি-মন্ত্রীদের ভোটের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তারা সুকৌশলে ইউপি চেয়ারম্যানদের ভোটের মাঠে নামিয়েছেন। ওই ইউপি চেয়ারম্যানরা আবার মেম্বারদের সঙ্গে নিয়ে এমপির প্রার্থীর পক্ষের হয়ে কাজ করছেন বা করবেন।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের নির্বাচনে পাংশা উপজেলায় পরাজিত প্রার্থী অধ্যাপক ফরিদ হাসান ওদুদ অভিযোগ করে বলেছেন, ‘পাংশার ১০টি ইউনিয়ন রয়েছে। এর মধ্যে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের নিয়ন্ত্রণ ছিলেন আটজন চেয়ারম্যান। এই আট ইউনিয়নের মধ্যে চারটি ইউপিতেই ব্যালটে ব্যাপক সিল মেরে আমাকে পরাজিত করা হয়।’ এরকম অভিযোগ পরাজিত অন্য প্রায় সব প্রার্থীরই।

মানবজমিন:

ডলারের চাপ সর্বত্র
দেশের বাজারে ডলারের বিপরীতে টাকার বড় ধরনের অবমূল্যায়নের পরই আলোচনায় মূল্যস্ফীতি। এর প্রভাবে দেশের বাজারে ভোগ্যপণ্য থেকে বিলাসী পণ্য সবকিছুতে দাম বাড়বে। দাম বাড়বে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসহ সেবাখাতেও। এমন পরিস্থিতিতে চাপে পড়বে সাধারণ মানুষ। কারণ অতিরিক্ত মূল্যস্ফীতির কারণে হিমশিম অবস্থা দেখা দেবে জনজীবনে। অন্যদিকে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদনশীল পণ্যেরও দাম বাড়বে। কারণ কাঁচামাল ও মধ্যবর্তী পণ্য আমদানিতে খরচ বাড়বে। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় পোশাকসহ রপ্তানিমুখী পণ্যকে নতুন করে প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হবে। তবে স্বল্প মেয়াদে এর প্রভাব বেশি হলেও দীর্ঘ মেয়াদে ভালো ফল আসতে পারে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। তাই দেশের অর্থনীতি ঠিক রাখতে রপ্তানি বৃদ্ধি ও বৈধ পথে রেমিট্যান্স আহরণে প্রবাসীদের উৎসাহিত করতে বলেন তারা।

ডাল, তেল, আটা, চাল, গম, চিনি, পিয়াজ, রসুন, মসলাসহ অনেক ভোগ্যপণ্যই আমদানিনির্ভর।

ডলারের দাম বৃদ্ধির ফলে দেশের বাজারে এসব পণ্যের দাম বেড়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ভুগতে হবে ভোক্তাদের। বিশেষ করে নিম্নআয়ের মানুষকে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে বেশি। বেসরকারি চাকরিজীবী আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ভোগ্যপণ্যের দাম এখনই লাগামছাড়া। ডলারের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাবে আমদানি খরচ বেড়ে গেলে বাজারেও এর প্রভাব পড়বে। তখন আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলানো কঠিন হয়ে যাবে। তাই দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগী হতে হবে।
ডলারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে পারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতে। কারণ দেশের জ্বালানির প্রায় পুরোটাই আমদানিনির্ভর। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদও স্বীকার করেছেন এটি। তিনি বলেন, ডলারের দাম বাড়িয়ে দেয়ায় বিদ্যুৎ-জ্বালানিতে বাড়তি চাপ তৈরি হবে। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় কয়লা, গ্যাস, জ্বালানি তেলের মতো আমদানি পণ্যের ব্যয় বাড়বে। তখন এসব পণ্যের দাম বাড়বে। এছাড়াও এসব ব্যবহার করে যেসব পণ্য উৎপাদন করা হয় সেগুলোরও দাম বাড়বে। তখন এর প্রভাব পড়বে বাজারে। অন্যদিকে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বিলের বড় অংশই পরিশোধ করা হয় ডলারে। এছাড়াও এসব খাতে বকেয়া রয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। এমতাবস্থায় বকেয়া পরিশোধে খরচ আরও বেড়ে যাবে। অন্যদিকে সরকার ভর্তুকি দেয়া থেকে যেহেতু বেরিয়ে আসছে সেহেতু বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়বে আবারও। দেখা দিতে পারে বিদ্যুতের ঘাটতি। এলএনজি আমদানিতেও খরচ বাড়বে। এছাড়াও এলপি গ্যাসের কাঁচামাল বিউটেন ও প্রোপেন পুরোটাই আমদানি করতে হয়। তাই দাম বৃদ্ধি পাবে এলপি গ্যাসেরও। ডলারের দাম বৃদ্ধিতে ডিজেল, অকটেন ও পেট্রোলের দামও বাড়তে পারে লিটারে ৬ থেকে ৭ টাকা।

যুগান্তর:

কাগজেই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ
আগামী তিন অর্থবছরে গড়ে ৬% রাখার পরিকল্পনা * বাস্তবতার সঙ্গে মিল নেই বর্তমান ও সাবেক অর্থমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কাগজেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী দায়িত্ব গ্রহণের চার মাসের মাথায় গত এপ্রিলে দাবি করেন-মূল্যস্ফীতি পর্যায়ক্রমে নেমে আসছে।

এর আগে সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গেল ডিসেম্বর ৮ শতাংশের ঘরে নেমে আসবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন।

সর্বশেষ দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণসংক্রান্ত বৈঠকে বলা হয়- ‘আর্থিক মুদ্রা ও মুদ্রা বিনিময় হার’সংক্রান্ত কো-অডিনেশন কাউন্সিল বৈঠকে অর্থ বিভাগ বলেছে, সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ সাধন ও পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখায় পর্যায়ক্রমে কমে আসবে মূল্যস্ফীতি।

একইভাবে সরকারের নথিপত্রে আগামী তিন অর্থবছরের (২০২৪-২৫, ২০২৫-২৬ এবং ২০২৬-২৭) মূল্যস্ফীতির গড় লক্ষ্যমাত্রা ৬ শতাংশের উপরে অতিক্রম করবে না-এমন প্রাক্কলন করা হয়েছে।

তবে বিশ্লেষকদের অভিমত-নীতিনির্ধারকদের আশার বাণী এবং নথিপত্রে প্রাক্কলনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। কিন্তু বাস্তবে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৫ শতাংশে উঠেছে বলে বিআইডিএস’র গবেষণায় উঠে আসছে।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে গত মার্চে গড় মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ। যার মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

অর্থনীতিবিদগণের শঙ্কা-আগামীতে মূল্যস্ফীতির হার আরও ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। কারণ ডলারের মূল্য একলাফে ৭ টাকা বৃদ্ধির কারণে মূল্যস্ফীতিতে চাপ থেকেই যাচ্ছে। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের জুনের মধ্যে সরকারের সংশোধিত মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ৮ শতাংশে নামিয়ে আনা অত্যন্ত কঠিন।

সূত্র মতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। বিশ্ববাজারে পণ ও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে অনেক দেশে মূল্যস্ফীতি ঘটে। আবার আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক ও মূল্য হ্রাসের কারণে অনেক দেশে পর্যায়ক্রমে নেমে আসে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি উলটো আরও বাড়তে থাকে।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৮ শতাংশে নেওয়া হয়। যদিও বিবিএসের হিসাবে এই মুহূর্তে মূল্যস্ফীতি সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি।

এদিকে সরকারের ‘আর্থিক মুদ্রা ও মুদ্রা বিনিময় হারসংক্রান্ত কো-অডিনেশন কাউন্সিল’ বৈঠকে আগামী তিন অর্থবছরের মূল্যস্ফীতির প্রাক্কলিত লক্ষ্যমাত্রার অনুমোদন দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। সেখানে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। এটি আগামী বাজেটে ঘোষণা দেওয়া হবে। এর বাইরে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৬ শতাংশ এবং ২০২৬-২৭ অর্থবছরের ক্ষেত্রে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, মূল্যস্ফীতি কমানোর কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু কী করলে সেটি কমবে, সেভাবে নীতি গ্রহণ করলে বিশ্বাসযোগ্যতা থাকবে। ফিসক্যাল পলিসিতে মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য কী পরিবর্তন হবে, বাজেট ঘাটতি কমানোর কী উদ্যোগ থাকছে সেটি বলতে হবে।

এছাড়া টাকা ছাপিয়ে অর্থায়ন এবং ঘাটতি বাজেট পূরণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বিশেষ বন্ড ইস্যু করে টাকা না নেওয়ার প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত আসলে বুঝতে সুবিধা হবে যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের যে প্রাক্কলন করা হয়েছে সেদিকে যাবে কিনা। এই অর্থনীতিবিদ মনে করেন, লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে দেখতে হবে সরকারের সামষ্টিক অর্থনীতির ব্যবস্থাপনা রূপরেখার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা।

আমাদের মূল্যস্ফীতি নির্ভর করে আংশিক আন্তর্জাতিক মূল্য ও আংশিক অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ওপর। বিগত দুবছরে বিশ্ববাজারে পণ্যের মূল্য বেড়েছে, ওই সময় দেশেও বেড়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক কমলেও আমাদের মূল্যস্ফীতি বেড়েই চলছে। ফলে বিশ্ববাজারে দাম কমলেই দেশে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মূল্যস্ফীতি কমবে সেটি ধরে নেওয়া যায় না। এখন কতটা পণ্য আমদানি করতে পারছি, ডলারের মজুদ কেমন, ঘাটতি বাজেটের জন্য কতটা টাকা ছাপানো হচ্ছে, মুদ্রানীতি সংকোচন না সম্প্রসারণ দেওয়া হচ্ছে, রাজস্বনীতি এসবের ওপর নির্ভর করছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ।

কালের কন্ঠ:

সৌরবিদ্যুতে ব্যয় ৩ গুণ বেশি
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সৌরবিদ্যুৎসহ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন বৃদ্ধির তাগিদ বাড়ছে। বছরের বেশির ভাগ সময় সূর্যালোক থাকায় বাংলাদেশে সৌরবিদ্যুতের ভালো সম্ভাবনার কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা। অথচ এ দেশে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের তুলনায় তিন-চার গুণ বেশি। বিশ্বজুড়ে গত এক দশকে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ ক্রমে হ্রাস পেলেও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন।

বাড়তি উৎপাদন ব্যয়ের চাপ পড়ছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডসহ (বিপিডিবি) পুরো বিদ্যুৎ খাতে।
বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রতি ইউনিটে খরচ হচ্ছে ১৪ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ২২ টাকা ৩৮ পয়সা পর্যন্ত। অন্যদিকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের তথ্য মতে, ভারতে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ পড়ছে বাংলাদেশি মুদ্রায় গড়ে পাঁচ টাকা ৮১ পয়সা এবং পাকিস্তানে তিন টাকা ৫১ পয়সা। বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বিশ্ববাজারে সোলার প্যানেলসহ সব ধরনের যন্ত্রাংশের দাম কমে আসায় সৌরবিদ্যুতের ক্রয় চুক্তিগুলো আগের তুলনায় অনেকটাই কম মূল্যে করা হচ্ছে।

নয়াদিগন্ত:

সারা দেশেই বজ্রপাত কালবৈশাখী ও বৃষ্টি
সারা দেশেই বয়ে গেছে কালবৈশাখী ঝড়। একই সাথে বজ্রপাত ও বৃষ্টিতো ছিলই। ব্রজপাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আজ রোববারও সারা দেশেই কম-বেশি একই রকমের বজ্রপাত, কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। কালবৈশাখী ঝড় ও ব্রজপাতের কারণে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হলেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে বৃষ্টি বেশ উপকারী হয়েছে ফসলের জন্য। আবহাওয়া ঠাণ্ডা হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন মানুষ। গত এক সপ্তাহের বৃষ্টিতে তরমুজের আকার বড় হয়েছে, কিছু কিছু সবজিও বেশ হৃষ্টপুষ্ট হয়েছে এবং যে আমগুলো তাপপ্রবাহে ঝড়ে না গিয়ে গাছে রয়ে গেছে সেগুলোর জন্য বেশ উপকারী হবে বলে আমচাষিরা বলছেন। তা ছাড়া দীর্ঘ অনাবৃষ্টির ফলে শীতের শেষ থেকে প্রকৃতিতে রুক্ষতার সৃষ্টি হয়েছিল। কয়েক দিনের প্রতিদিনের বৃষ্টিতে সেই রুক্ষতা দূর হয়েছে, প্রকৃতি সবুজ-শ্যামল হয়ে উঠেছে। গাছে গাছে সবুজ পাতার সমারোহ লক্ষ করা যাচ্ছে।
তবে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, তাদের কাছে যে পূর্বাভাস রয়েছে তাতে আগামী মঙ্গলবার থেকেই তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। শুধু যে তাপ বাড়বে তাই নয়, বৃষ্টিও কমে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। আগামী মঙ্গলবার থেকে গতকালের মতো এতো বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা। মঙ্গলবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সে দিন কেবল রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে কিন্তু এই তিন বিভাগের সর্বত্র নয়। অন্য দিকে বাকি যে ৫ বিভাগ রয়েছে সে বিভাগের জেলাগুলোতে বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। অন্য দিকে আগামী ১৬ মে থেকে বৃষ্টি কমে গিয়ে দেশের সার্বিক তাপমাত্রা উপরে উঠতে থাকবে। আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, পূর্বাভাস অনুসারে সামনের সপ্তাহ থেকে দেশের সার্বিক তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ দিকে কানাডা প্রবাসী আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন, আজ রোববার সকালে খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে। গতকাল শনিবার রাতে পদ্মা নদীর পশ্চিম পাশের সব জেলার উপর দিয়ে তীব্র বজ্রপাতসহ মাঝারি থেকে ভারী মানের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রথম আলো:

চীনা মুদ্রায় ঋণ দিতে চায় চীন, আগ্রহী বাংলাদেশও
ডলার–সংকটে থাকা বাংলাদেশকে নিজস্ব মুদ্রা ইউয়ানে বিপুল পরিমাণ ঋণ দিতে আগ্রহ দেখিয়েছে চীন। বেইজিংয়ের এই আগ্রহ প্রকাশের পর চীনকে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিতে আলোচনা শুরু হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের বিল ইউয়ানে নেওয়া ঋণ দিয়ে পরিশোধ করতে আগ্রহী। চীনের সঙ্গে আমদানি–রপ্তানি কার্যক্রমে এখন মার্কিন মুদ্রা ডলার ব্যবহার করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের জন্য পণ্য আমদানির সবচেয়ে বড় উৎস এখন চীন। ডলার–সংকট মোকাবিলা এবং ক্ষয়িষ্ণু বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ঠেকাতে ইউয়ানে দেওয়া চীনের ঋণ বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে কর্মকর্তারা মনে করছেন। চীন চাইছে ইউয়ানে ৫০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ ঋণ বাণিজ্য–সহায়তা (ট্রেড ফ্যাসিলিটি) হিসেবে দিতে। চীনা মুদ্রায় এর পরিমাণ ৩ হাজার ৬০০ কোটি ইউয়ানের বেশি।

তবে এ ধরনের ঋণের শর্ত সাধারণত কঠিন হওয়ায় বাংলাদেশ বাণিজ্য–সহায়তার পরিবর্তে সহজ শর্তে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নিতে আগ্রহী। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চীনের আগ্রহের বিষয়টি নিয়ে এখন চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে। এরপর বাংলাদেশ এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের কাছে প্রস্তাব দেবে।

চীনের কাছ থেকে ইউয়ানে ঋণ দেওয়ার আগ্রহ এমন সময় প্রকাশ করা হয়েছে, যখন বেইজিং তার মুদ্রা ইউয়ানকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং লেনদেনে

জনপ্রিয় সংবাদ

একদিনে ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৮৮৬

এমপিদের ‘ট্রাম্পকার্ড’ ইউপি চেয়ারম্যানরা

আপডেট সময় ০৮:১১:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪

আজকের পত্রিকা গুলোর প্রধান প্রধান খবর:

কালবেলা:

এমপিদের ‘ট্রাম্পকার্ড’ ইউপি চেয়ারম্যানরা
আগামী ২১ মে অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে প্রার্থী হয়েছেন অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ। তিনি স্থানীয় এমপি অ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়নের ভগ্নিপতি। এ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় সবকটির চেয়ারম্যানকে নিজের ভগ্নিপতির পক্ষে ঐক্যবদ্ধ করেছেন এমপি। মাত্র দুজন চেয়ারম্যান এমপির নির্দেশনার বাইরে গিয়ে অন্য প্রার্থীর হয়ে কাজ করছেন।

এভাবে সারা দেশে নিজেদের আত্মীয়স্বজন ও অনুগত প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত করতে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানদের ‘ট্রাম্পকার্ড’ হিসেবে ব্যবহার করছেন মন্ত্রী ও স্থানীয় এমপিরা। এসব ক্ষেত্রে ইউপি চেয়ারম্যানদের টিআর, কাবিখা, কাবিটা, বিভিন্ন ভাতাসহ স্থানীয় নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অঙ্গীকার ও প্রলোভন দিচ্ছেন মন্ত্রী-এমপিরা। তাদের কথার বাইরে গেলে সরকারি এসব সুযোগ-সুবিধা বন্ধের হুমকিও দিয়েছেন অনেকে। ফলে ইউপি চেয়ারম্যানরা পছন্দের বাইরে হলেও একরকম চাপের মুখেই মন্ত্রী-এমপিদের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে কোথাও কোথাও মন্ত্রী-এমপিদের চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত ও হুমকি উপেক্ষা করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন কোনো কোনো ইউপি চেয়ারম্যান।

নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের নির্বাচনী প্রচার ও হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। কিন্তু তারা সেটির কোনো তোয়াক্কা করছেন না। নির্বাচন কমিশন ও দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে এ ব্যাপারে বারবার নিষেধ করা হলেও, তারা এ নির্বাচনে সরাসরি এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে অন্তরালে হস্তক্ষেপ করে চলেছেন। নির্বাচন কমিশন সব কিছু জানলেও তারা কঠিন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এতে মন্ত্রী-এমপিরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। ভোটারদের পাশাপাশি তারা উন্নয়ন বরাদ্দের প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদেরও জিম্মি করে রাখছেন। এ ব্যাপারে কমিশনকে শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।

স্থানীয় সরকার (উপজেলা) নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় কোনো বাধানিষেধ নেই। ফলে চেয়ারম্যানরা এমপির প্রার্থীর পক্ষে সংশ্লিষ্ট ইউপিগুলোয় ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে থাকেন। তা ছাড়া ইউপি চেয়ারম্যানদের এমপির বাইরে যাওয়ারও তেমন সুযোগ নেই। কারণ, সংশ্লিষ্ট সংসদীয় আসনের অভিভাবক এবং সবকিছুর নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় থাকেন এমপিরাই। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, আগামী বছরের শেষে অথবা ২০২৬ সালে ইউপি নির্বাচন শুরু হবে। ওই নির্বাচনে ইউপি চেয়ারম্যানদের ভাগ্য নির্ধারণের দায়িত্বেও থাকবেন এসব এমপি। দলীয় মনোনয়ন না থাকলেও প্রভাব প্রতিপত্তির কারণে বেশিরভাগ ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী এমপিদের শরণাপন্ন হবেন। এমন সুযোগে এমপি-মন্ত্রীদের ভোটের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তারা সুকৌশলে ইউপি চেয়ারম্যানদের ভোটের মাঠে নামিয়েছেন। ওই ইউপি চেয়ারম্যানরা আবার মেম্বারদের সঙ্গে নিয়ে এমপির প্রার্থীর পক্ষের হয়ে কাজ করছেন বা করবেন।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের নির্বাচনে পাংশা উপজেলায় পরাজিত প্রার্থী অধ্যাপক ফরিদ হাসান ওদুদ অভিযোগ করে বলেছেন, ‘পাংশার ১০টি ইউনিয়ন রয়েছে। এর মধ্যে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের নিয়ন্ত্রণ ছিলেন আটজন চেয়ারম্যান। এই আট ইউনিয়নের মধ্যে চারটি ইউপিতেই ব্যালটে ব্যাপক সিল মেরে আমাকে পরাজিত করা হয়।’ এরকম অভিযোগ পরাজিত অন্য প্রায় সব প্রার্থীরই।

মানবজমিন:

ডলারের চাপ সর্বত্র
দেশের বাজারে ডলারের বিপরীতে টাকার বড় ধরনের অবমূল্যায়নের পরই আলোচনায় মূল্যস্ফীতি। এর প্রভাবে দেশের বাজারে ভোগ্যপণ্য থেকে বিলাসী পণ্য সবকিছুতে দাম বাড়বে। দাম বাড়বে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসহ সেবাখাতেও। এমন পরিস্থিতিতে চাপে পড়বে সাধারণ মানুষ। কারণ অতিরিক্ত মূল্যস্ফীতির কারণে হিমশিম অবস্থা দেখা দেবে জনজীবনে। অন্যদিকে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদনশীল পণ্যেরও দাম বাড়বে। কারণ কাঁচামাল ও মধ্যবর্তী পণ্য আমদানিতে খরচ বাড়বে। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় পোশাকসহ রপ্তানিমুখী পণ্যকে নতুন করে প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হবে। তবে স্বল্প মেয়াদে এর প্রভাব বেশি হলেও দীর্ঘ মেয়াদে ভালো ফল আসতে পারে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। তাই দেশের অর্থনীতি ঠিক রাখতে রপ্তানি বৃদ্ধি ও বৈধ পথে রেমিট্যান্স আহরণে প্রবাসীদের উৎসাহিত করতে বলেন তারা।

ডাল, তেল, আটা, চাল, গম, চিনি, পিয়াজ, রসুন, মসলাসহ অনেক ভোগ্যপণ্যই আমদানিনির্ভর।

ডলারের দাম বৃদ্ধির ফলে দেশের বাজারে এসব পণ্যের দাম বেড়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ভুগতে হবে ভোক্তাদের। বিশেষ করে নিম্নআয়ের মানুষকে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে বেশি। বেসরকারি চাকরিজীবী আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ভোগ্যপণ্যের দাম এখনই লাগামছাড়া। ডলারের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাবে আমদানি খরচ বেড়ে গেলে বাজারেও এর প্রভাব পড়বে। তখন আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলানো কঠিন হয়ে যাবে। তাই দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগী হতে হবে।
ডলারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে পারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতে। কারণ দেশের জ্বালানির প্রায় পুরোটাই আমদানিনির্ভর। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদও স্বীকার করেছেন এটি। তিনি বলেন, ডলারের দাম বাড়িয়ে দেয়ায় বিদ্যুৎ-জ্বালানিতে বাড়তি চাপ তৈরি হবে। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় কয়লা, গ্যাস, জ্বালানি তেলের মতো আমদানি পণ্যের ব্যয় বাড়বে। তখন এসব পণ্যের দাম বাড়বে। এছাড়াও এসব ব্যবহার করে যেসব পণ্য উৎপাদন করা হয় সেগুলোরও দাম বাড়বে। তখন এর প্রভাব পড়বে বাজারে। অন্যদিকে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বিলের বড় অংশই পরিশোধ করা হয় ডলারে। এছাড়াও এসব খাতে বকেয়া রয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। এমতাবস্থায় বকেয়া পরিশোধে খরচ আরও বেড়ে যাবে। অন্যদিকে সরকার ভর্তুকি দেয়া থেকে যেহেতু বেরিয়ে আসছে সেহেতু বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়বে আবারও। দেখা দিতে পারে বিদ্যুতের ঘাটতি। এলএনজি আমদানিতেও খরচ বাড়বে। এছাড়াও এলপি গ্যাসের কাঁচামাল বিউটেন ও প্রোপেন পুরোটাই আমদানি করতে হয়। তাই দাম বৃদ্ধি পাবে এলপি গ্যাসেরও। ডলারের দাম বৃদ্ধিতে ডিজেল, অকটেন ও পেট্রোলের দামও বাড়তে পারে লিটারে ৬ থেকে ৭ টাকা।

যুগান্তর:

কাগজেই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ
আগামী তিন অর্থবছরে গড়ে ৬% রাখার পরিকল্পনা * বাস্তবতার সঙ্গে মিল নেই বর্তমান ও সাবেক অর্থমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কাগজেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী দায়িত্ব গ্রহণের চার মাসের মাথায় গত এপ্রিলে দাবি করেন-মূল্যস্ফীতি পর্যায়ক্রমে নেমে আসছে।

এর আগে সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গেল ডিসেম্বর ৮ শতাংশের ঘরে নেমে আসবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন।

সর্বশেষ দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণসংক্রান্ত বৈঠকে বলা হয়- ‘আর্থিক মুদ্রা ও মুদ্রা বিনিময় হার’সংক্রান্ত কো-অডিনেশন কাউন্সিল বৈঠকে অর্থ বিভাগ বলেছে, সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ সাধন ও পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখায় পর্যায়ক্রমে কমে আসবে মূল্যস্ফীতি।

একইভাবে সরকারের নথিপত্রে আগামী তিন অর্থবছরের (২০২৪-২৫, ২০২৫-২৬ এবং ২০২৬-২৭) মূল্যস্ফীতির গড় লক্ষ্যমাত্রা ৬ শতাংশের উপরে অতিক্রম করবে না-এমন প্রাক্কলন করা হয়েছে।

তবে বিশ্লেষকদের অভিমত-নীতিনির্ধারকদের আশার বাণী এবং নথিপত্রে প্রাক্কলনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। কিন্তু বাস্তবে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৫ শতাংশে উঠেছে বলে বিআইডিএস’র গবেষণায় উঠে আসছে।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে গত মার্চে গড় মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ। যার মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

অর্থনীতিবিদগণের শঙ্কা-আগামীতে মূল্যস্ফীতির হার আরও ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। কারণ ডলারের মূল্য একলাফে ৭ টাকা বৃদ্ধির কারণে মূল্যস্ফীতিতে চাপ থেকেই যাচ্ছে। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের জুনের মধ্যে সরকারের সংশোধিত মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ৮ শতাংশে নামিয়ে আনা অত্যন্ত কঠিন।

সূত্র মতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। বিশ্ববাজারে পণ ও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে অনেক দেশে মূল্যস্ফীতি ঘটে। আবার আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক ও মূল্য হ্রাসের কারণে অনেক দেশে পর্যায়ক্রমে নেমে আসে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি উলটো আরও বাড়তে থাকে।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৮ শতাংশে নেওয়া হয়। যদিও বিবিএসের হিসাবে এই মুহূর্তে মূল্যস্ফীতি সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি।

এদিকে সরকারের ‘আর্থিক মুদ্রা ও মুদ্রা বিনিময় হারসংক্রান্ত কো-অডিনেশন কাউন্সিল’ বৈঠকে আগামী তিন অর্থবছরের মূল্যস্ফীতির প্রাক্কলিত লক্ষ্যমাত্রার অনুমোদন দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। সেখানে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। এটি আগামী বাজেটে ঘোষণা দেওয়া হবে। এর বাইরে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৬ শতাংশ এবং ২০২৬-২৭ অর্থবছরের ক্ষেত্রে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, মূল্যস্ফীতি কমানোর কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু কী করলে সেটি কমবে, সেভাবে নীতি গ্রহণ করলে বিশ্বাসযোগ্যতা থাকবে। ফিসক্যাল পলিসিতে মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য কী পরিবর্তন হবে, বাজেট ঘাটতি কমানোর কী উদ্যোগ থাকছে সেটি বলতে হবে।

এছাড়া টাকা ছাপিয়ে অর্থায়ন এবং ঘাটতি বাজেট পূরণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বিশেষ বন্ড ইস্যু করে টাকা না নেওয়ার প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত আসলে বুঝতে সুবিধা হবে যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের যে প্রাক্কলন করা হয়েছে সেদিকে যাবে কিনা। এই অর্থনীতিবিদ মনে করেন, লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে দেখতে হবে সরকারের সামষ্টিক অর্থনীতির ব্যবস্থাপনা রূপরেখার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা।

আমাদের মূল্যস্ফীতি নির্ভর করে আংশিক আন্তর্জাতিক মূল্য ও আংশিক অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ওপর। বিগত দুবছরে বিশ্ববাজারে পণ্যের মূল্য বেড়েছে, ওই সময় দেশেও বেড়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক কমলেও আমাদের মূল্যস্ফীতি বেড়েই চলছে। ফলে বিশ্ববাজারে দাম কমলেই দেশে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মূল্যস্ফীতি কমবে সেটি ধরে নেওয়া যায় না। এখন কতটা পণ্য আমদানি করতে পারছি, ডলারের মজুদ কেমন, ঘাটতি বাজেটের জন্য কতটা টাকা ছাপানো হচ্ছে, মুদ্রানীতি সংকোচন না সম্প্রসারণ দেওয়া হচ্ছে, রাজস্বনীতি এসবের ওপর নির্ভর করছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ।

কালের কন্ঠ:

সৌরবিদ্যুতে ব্যয় ৩ গুণ বেশি
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সৌরবিদ্যুৎসহ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন বৃদ্ধির তাগিদ বাড়ছে। বছরের বেশির ভাগ সময় সূর্যালোক থাকায় বাংলাদেশে সৌরবিদ্যুতের ভালো সম্ভাবনার কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা। অথচ এ দেশে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের তুলনায় তিন-চার গুণ বেশি। বিশ্বজুড়ে গত এক দশকে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ ক্রমে হ্রাস পেলেও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন।

বাড়তি উৎপাদন ব্যয়ের চাপ পড়ছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডসহ (বিপিডিবি) পুরো বিদ্যুৎ খাতে।
বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রতি ইউনিটে খরচ হচ্ছে ১৪ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ২২ টাকা ৩৮ পয়সা পর্যন্ত। অন্যদিকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের তথ্য মতে, ভারতে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ পড়ছে বাংলাদেশি মুদ্রায় গড়ে পাঁচ টাকা ৮১ পয়সা এবং পাকিস্তানে তিন টাকা ৫১ পয়সা। বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বিশ্ববাজারে সোলার প্যানেলসহ সব ধরনের যন্ত্রাংশের দাম কমে আসায় সৌরবিদ্যুতের ক্রয় চুক্তিগুলো আগের তুলনায় অনেকটাই কম মূল্যে করা হচ্ছে।

নয়াদিগন্ত:

সারা দেশেই বজ্রপাত কালবৈশাখী ও বৃষ্টি
সারা দেশেই বয়ে গেছে কালবৈশাখী ঝড়। একই সাথে বজ্রপাত ও বৃষ্টিতো ছিলই। ব্রজপাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আজ রোববারও সারা দেশেই কম-বেশি একই রকমের বজ্রপাত, কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। কালবৈশাখী ঝড় ও ব্রজপাতের কারণে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হলেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে বৃষ্টি বেশ উপকারী হয়েছে ফসলের জন্য। আবহাওয়া ঠাণ্ডা হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন মানুষ। গত এক সপ্তাহের বৃষ্টিতে তরমুজের আকার বড় হয়েছে, কিছু কিছু সবজিও বেশ হৃষ্টপুষ্ট হয়েছে এবং যে আমগুলো তাপপ্রবাহে ঝড়ে না গিয়ে গাছে রয়ে গেছে সেগুলোর জন্য বেশ উপকারী হবে বলে আমচাষিরা বলছেন। তা ছাড়া দীর্ঘ অনাবৃষ্টির ফলে শীতের শেষ থেকে প্রকৃতিতে রুক্ষতার সৃষ্টি হয়েছিল। কয়েক দিনের প্রতিদিনের বৃষ্টিতে সেই রুক্ষতা দূর হয়েছে, প্রকৃতি সবুজ-শ্যামল হয়ে উঠেছে। গাছে গাছে সবুজ পাতার সমারোহ লক্ষ করা যাচ্ছে।
তবে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, তাদের কাছে যে পূর্বাভাস রয়েছে তাতে আগামী মঙ্গলবার থেকেই তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। শুধু যে তাপ বাড়বে তাই নয়, বৃষ্টিও কমে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। আগামী মঙ্গলবার থেকে গতকালের মতো এতো বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা। মঙ্গলবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সে দিন কেবল রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে কিন্তু এই তিন বিভাগের সর্বত্র নয়। অন্য দিকে বাকি যে ৫ বিভাগ রয়েছে সে বিভাগের জেলাগুলোতে বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। অন্য দিকে আগামী ১৬ মে থেকে বৃষ্টি কমে গিয়ে দেশের সার্বিক তাপমাত্রা উপরে উঠতে থাকবে। আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, পূর্বাভাস অনুসারে সামনের সপ্তাহ থেকে দেশের সার্বিক তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ দিকে কানাডা প্রবাসী আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন, আজ রোববার সকালে খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে। গতকাল শনিবার রাতে পদ্মা নদীর পশ্চিম পাশের সব জেলার উপর দিয়ে তীব্র বজ্রপাতসহ মাঝারি থেকে ভারী মানের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রথম আলো:

চীনা মুদ্রায় ঋণ দিতে চায় চীন, আগ্রহী বাংলাদেশও
ডলার–সংকটে থাকা বাংলাদেশকে নিজস্ব মুদ্রা ইউয়ানে বিপুল পরিমাণ ঋণ দিতে আগ্রহ দেখিয়েছে চীন। বেইজিংয়ের এই আগ্রহ প্রকাশের পর চীনকে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিতে আলোচনা শুরু হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের বিল ইউয়ানে নেওয়া ঋণ দিয়ে পরিশোধ করতে আগ্রহী। চীনের সঙ্গে আমদানি–রপ্তানি কার্যক্রমে এখন মার্কিন মুদ্রা ডলার ব্যবহার করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের জন্য পণ্য আমদানির সবচেয়ে বড় উৎস এখন চীন। ডলার–সংকট মোকাবিলা এবং ক্ষয়িষ্ণু বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ঠেকাতে ইউয়ানে দেওয়া চীনের ঋণ বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে কর্মকর্তারা মনে করছেন। চীন চাইছে ইউয়ানে ৫০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ ঋণ বাণিজ্য–সহায়তা (ট্রেড ফ্যাসিলিটি) হিসেবে দিতে। চীনা মুদ্রায় এর পরিমাণ ৩ হাজার ৬০০ কোটি ইউয়ানের বেশি।

তবে এ ধরনের ঋণের শর্ত সাধারণত কঠিন হওয়ায় বাংলাদেশ বাণিজ্য–সহায়তার পরিবর্তে সহজ শর্তে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নিতে আগ্রহী। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চীনের আগ্রহের বিষয়টি নিয়ে এখন চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে। এরপর বাংলাদেশ এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের কাছে প্রস্তাব দেবে।

চীনের কাছ থেকে ইউয়ানে ঋণ দেওয়ার আগ্রহ এমন সময় প্রকাশ করা হয়েছে, যখন বেইজিং তার মুদ্রা ইউয়ানকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং লেনদেনে