ঢাকা ০৭:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo “অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, পাকিস্তানের সব উপকার ভুলে গেছে আফগানিস্তান” Logo বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ডে সকল ফ্লাইট বাতিল, ভোগান্তিতে যাত্রীরা Logo ‘শাহজালাল বিমানবন্দরের আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে’ Logo বিলুপ্তির পথ থেকে জৌলুস ফিরে পাচ্ছে ৩শ বছর পুরনো জামালপুরে ঔতিহ্যবাহী শুটকির বাজার Logo জুলাই যোদ্ধাদের অবরোধ কর্মসূচি আজ Logo আগামীকাল রিয়া মনিকে তালাকের পর দুধ দিয়ে গোসল করব: হিরো আলম Logo কুমিল্লা বিভাগের দাবিতে মহাসড়কে হাজারো মোটরসাইকেল নিয়ে শোভাযাত্রা Logo রায়পুরের দুই বোনের বিস্ময়কর সাফল্য: একসঙ্গে হাফেজা, একসঙ্গে জিপিএ-৫ Logo এনসিপির বিচক্ষণতার অভাব রয়েছে: মির্জা ফখরুল Logo ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বিলম্ব হলে তা জাতির সঙ্গে গাদ্দারি’

উত্তাল ইসরায়েল-ফিলিস্তিন, নিহত বেড়ে ৯০০

উত্তাল ইসরায়েল-ফিলিস্তিন, নিহত বেড়ে ৯০০

বেশ কয়েকটি ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলে হামাসের বিস্তৃত আক্রমণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬০০ হয়েছে। কান পাবলিক ব্রডকাস্টার এবং চ্যানেল১২, সেই সঙ্গে হারেৎজ ও টাইমস অব ইসরায়েল সংবাদপত্র রবিবার এ পরিসংখ্যান জানিয়েছে। শনিবারের প্রথম দিকে লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি পক্ষের কোনো আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা গাজায় যোদ্ধা ও বেসামরিকদের মধ্যে পার্থক্য না করেই বলেছেন, ৩০০ জনের বেশি মানুষ নিহত এবং দুই হাজারেরও বেশি আহত হয়েছে।

এদিকে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী হামলার শিকার হওয়ার এক দিন পর ইসরায়েল রবিবার গাজাকে আঘাত করেছে। হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলি শহরগুলোতে তাণ্ডব চালিয়েছে, শত শত লোককে হত্যা এবং অজানাসংখ্যক মানুষকে অপহরণ করেছে। এ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে একটি বড় নতুন যুদ্ধের হুমকি তৈরি হয়েছে। এ ছাড়াও ইসরায়েল ও ইরান সমর্থিত লেবাননের হিজবুল্লাহ কামান ও রকেট দিয়ে পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে।

আক্রমণ প্রতিরোধে ব্যর্থতার জন্য প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়া ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা অধিকাংশ অনুপ্রবেশ পয়েন্টের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করেছে। সেই সঙ্গে শত শত আক্রমণকারীকে হত্যা করেছে এবং আরো কয়েক ডজনকে বন্দি করেছে। তবে এখনো কিছু জায়গায় লড়াই চলছে। সেনাবাহিনী বলেছে, তারা গাজার আশপাশের অঞ্চলে কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন করেছে।

ফিলিস্তিনিদের আবাসস্থল ও ভূখণ্ডের সীমান্তের চারপাশে বসবাসকারী সব ইসরায়েলিকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।

একজন সামরিক মুখপাত্র সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমরা হামাসকে কঠোরভাবে আক্রমণ করতে যাচ্ছি এবং এটি একটি দীর্ঘ, দীর্ঘ পথ হতে চলেছে।’

গাজায় হামাসের মুখপাত্র আবদেল-লতিফ আল-কানোয়া বলেছেন, আক্রমণটি ছিল ‘আমাদের জনগণের প্রতিরক্ষার জন্য’। তার গোষ্ঠীর যোদ্ধারা রকেট হামলা অব্যাহত রেখেছে এবং এখনো অভিযান পরিচালনা করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ৫০ বছর আগে ইসরায়েলের ওপর আকস্মিক আক্রমণ চালিয়েছিল মিসর ও সিরিয়া। যা ইওম কিপুর যুদ্ধ নামে পরিচিতি পায়। এই আক্রমণটি সেই যুদ্ধের কথা স্বরণ করিয়ে দিচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

“অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, পাকিস্তানের সব উপকার ভুলে গেছে আফগানিস্তান”

উত্তাল ইসরায়েল-ফিলিস্তিন, নিহত বেড়ে ৯০০

আপডেট সময় ০৭:৪৩:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩

বেশ কয়েকটি ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলে হামাসের বিস্তৃত আক্রমণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬০০ হয়েছে। কান পাবলিক ব্রডকাস্টার এবং চ্যানেল১২, সেই সঙ্গে হারেৎজ ও টাইমস অব ইসরায়েল সংবাদপত্র রবিবার এ পরিসংখ্যান জানিয়েছে। শনিবারের প্রথম দিকে লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি পক্ষের কোনো আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা গাজায় যোদ্ধা ও বেসামরিকদের মধ্যে পার্থক্য না করেই বলেছেন, ৩০০ জনের বেশি মানুষ নিহত এবং দুই হাজারেরও বেশি আহত হয়েছে।

এদিকে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী হামলার শিকার হওয়ার এক দিন পর ইসরায়েল রবিবার গাজাকে আঘাত করেছে। হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলি শহরগুলোতে তাণ্ডব চালিয়েছে, শত শত লোককে হত্যা এবং অজানাসংখ্যক মানুষকে অপহরণ করেছে। এ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে একটি বড় নতুন যুদ্ধের হুমকি তৈরি হয়েছে। এ ছাড়াও ইসরায়েল ও ইরান সমর্থিত লেবাননের হিজবুল্লাহ কামান ও রকেট দিয়ে পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে।

আক্রমণ প্রতিরোধে ব্যর্থতার জন্য প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়া ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা অধিকাংশ অনুপ্রবেশ পয়েন্টের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করেছে। সেই সঙ্গে শত শত আক্রমণকারীকে হত্যা করেছে এবং আরো কয়েক ডজনকে বন্দি করেছে। তবে এখনো কিছু জায়গায় লড়াই চলছে। সেনাবাহিনী বলেছে, তারা গাজার আশপাশের অঞ্চলে কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন করেছে।

ফিলিস্তিনিদের আবাসস্থল ও ভূখণ্ডের সীমান্তের চারপাশে বসবাসকারী সব ইসরায়েলিকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।

একজন সামরিক মুখপাত্র সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমরা হামাসকে কঠোরভাবে আক্রমণ করতে যাচ্ছি এবং এটি একটি দীর্ঘ, দীর্ঘ পথ হতে চলেছে।’

গাজায় হামাসের মুখপাত্র আবদেল-লতিফ আল-কানোয়া বলেছেন, আক্রমণটি ছিল ‘আমাদের জনগণের প্রতিরক্ষার জন্য’। তার গোষ্ঠীর যোদ্ধারা রকেট হামলা অব্যাহত রেখেছে এবং এখনো অভিযান পরিচালনা করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ৫০ বছর আগে ইসরায়েলের ওপর আকস্মিক আক্রমণ চালিয়েছিল মিসর ও সিরিয়া। যা ইওম কিপুর যুদ্ধ নামে পরিচিতি পায়। এই আক্রমণটি সেই যুদ্ধের কথা স্বরণ করিয়ে দিচ্ছে।