ঢাকা ০৮:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ময়মনসিংহে যৌথ তল্লাশি: বাস থেকে মাথার খুলি-হাড় উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩ Logo কাতারের পথে প্রধান উপদেষ্টা Logo উপাচার্যকে অপসারণের দাবিতে আমরণ অনশনে কুয়েট শিক্ষার্থীরা Logo চানখারপুলে গণহত্যায় সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন Logo জামায়াত নেতা আজহারের আপিল শুনানি মঙ্গলবার Logo নেত্রকোনায় ভাই-ভাতিজার পিটুনিতে আ. লীগ নেতার মৃত্যু Logo ঢাকা বিভাগে আজ প্রাণঘাতী বজ্রপাতের আশঙ্কা Logo প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩ Logo প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র পারভেজ হত্যায় গ্রেপ্তার ৩ Logo সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য হলো ফ্যাসীবাদ যেন প্রতিষ্ঠা না পায়: আলী রিয়াজ

পিএসজিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড

বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠে প্রথম লেগটা পিএসজি হেরেছিল ১-০ গোলে। প্যারিসে আজ চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে সেই গোল শোধ করা তো হলোই না, উল্টো আরও একটা গোল খেয়ে বসল পিএসজি। নিজেদের মাঠেও তাই হারতে হলো ১-০ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে ২-০ ব্যবধানে জিতে ১১ বছর পর আবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে জায়গা করে নিল ডর্টমুন্ড।

গত সপ্তাহে সিগনাল ইদুনা পার্কে ডর্টমুন্ডের জয়ের নায়ক ছিলেন জার্মান স্ট্রাইকার নিকলাস ফুলক্রুগ। আজ পার্ক দে প্রিন্সেসে ডর্টমুন্ডকে আরেকটি জয় এনে দিয়েছেন সেন্টার ব্যাক ম্যাটস হুমেলস। ৫০ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোলটি তার। দুর্দান্ত খেলেছেন অন্য সেন্টার ব্যাক নিকো স্ক্লোটারব্যাকও।

অথচ ম্যাচে গোলের সুযোগ কম পায়নি পিএসজি। কিন্তু ভাগ্য বোধহয় আজ লুইস এনরিকের দলের সঙ্গে ছিল না। দুই অর্ধ মিলিয়ে মোট চারবার পোস্ট ও ক্রসবারে লেগেছে পিএসজির শট।

পিএসজির সবচেয়ে বড় আশা ছিল যাকে নিয়ে, সেই কিলিয়ান এমবাপ্পেও জাদুকরী কিছু করতে পারেননি। ৮১ মিনিটে কাছ থেকে নেওয়া তার একটি শট ঠেকাতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি ডর্টমুন্ড গোলরক্ষক গ্রেগর কোবেলের। ৮৭ মিনিটে তার আরেকটি শট কোবেলের হাত ছুঁয়ে লাগে ক্রসবারে। এ ছাড়া বাকিটা সময় এমবাপ্পেকে খুব একটা বিপজ্জনক মনে হতেই দেননি ডর্টমুন্ড ডিফেন্ডাররা।

এই মৌসুম শেষেই পিএসজি ছেড়ে যাচ্ছেন ফরাসি এই ফরোয়ার্ড। নিজের শহরের প্রিয় ক্লাবের হয়ে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় এটাই তাই আপাতত তার শেষ ম্যাচ। হতাশাতেই শেষ হলো পিএসজির হয়ে এমবাপ্পের ইউরোপিয়ান-অধ্যায়।

প্যারিসে পিএসজির এই হতাশার রাতটা ডর্টমুন্ডের জন্য এসেছে বিশাল এক আনন্দের উপলক্ষ হয়ে। ম্যাচ শেষেই পার্ক দে প্রিন্সেসে অতিথি হয়ে যাওয়া অল্প কিছু ডর্টমুন্ড সমর্থকদের সঙ্গে সেই আনন্দ উদযাপন করেছেন হামেলসরা। বিশেষ করে ডর্টমুন্ড কোচ এদিন তেরজিচের জন্য তো এ এক ভীষণ আবেগের মুহূর্ত। ছোটবেলা থেকেই যে ক্লাবের সমর্থক হিসেবে বেড়ে উঠেছেন, সেই ক্লাবের কোচ হয়ে তাদের ১১ বছর নিয়ে গেলেন চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ময়মনসিংহে যৌথ তল্লাশি: বাস থেকে মাথার খুলি-হাড় উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩

পিএসজিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড

আপডেট সময় ১২:১২:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০২৪

বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠে প্রথম লেগটা পিএসজি হেরেছিল ১-০ গোলে। প্যারিসে আজ চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে সেই গোল শোধ করা তো হলোই না, উল্টো আরও একটা গোল খেয়ে বসল পিএসজি। নিজেদের মাঠেও তাই হারতে হলো ১-০ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে ২-০ ব্যবধানে জিতে ১১ বছর পর আবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে জায়গা করে নিল ডর্টমুন্ড।

গত সপ্তাহে সিগনাল ইদুনা পার্কে ডর্টমুন্ডের জয়ের নায়ক ছিলেন জার্মান স্ট্রাইকার নিকলাস ফুলক্রুগ। আজ পার্ক দে প্রিন্সেসে ডর্টমুন্ডকে আরেকটি জয় এনে দিয়েছেন সেন্টার ব্যাক ম্যাটস হুমেলস। ৫০ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোলটি তার। দুর্দান্ত খেলেছেন অন্য সেন্টার ব্যাক নিকো স্ক্লোটারব্যাকও।

অথচ ম্যাচে গোলের সুযোগ কম পায়নি পিএসজি। কিন্তু ভাগ্য বোধহয় আজ লুইস এনরিকের দলের সঙ্গে ছিল না। দুই অর্ধ মিলিয়ে মোট চারবার পোস্ট ও ক্রসবারে লেগেছে পিএসজির শট।

পিএসজির সবচেয়ে বড় আশা ছিল যাকে নিয়ে, সেই কিলিয়ান এমবাপ্পেও জাদুকরী কিছু করতে পারেননি। ৮১ মিনিটে কাছ থেকে নেওয়া তার একটি শট ঠেকাতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি ডর্টমুন্ড গোলরক্ষক গ্রেগর কোবেলের। ৮৭ মিনিটে তার আরেকটি শট কোবেলের হাত ছুঁয়ে লাগে ক্রসবারে। এ ছাড়া বাকিটা সময় এমবাপ্পেকে খুব একটা বিপজ্জনক মনে হতেই দেননি ডর্টমুন্ড ডিফেন্ডাররা।

এই মৌসুম শেষেই পিএসজি ছেড়ে যাচ্ছেন ফরাসি এই ফরোয়ার্ড। নিজের শহরের প্রিয় ক্লাবের হয়ে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় এটাই তাই আপাতত তার শেষ ম্যাচ। হতাশাতেই শেষ হলো পিএসজির হয়ে এমবাপ্পের ইউরোপিয়ান-অধ্যায়।

প্যারিসে পিএসজির এই হতাশার রাতটা ডর্টমুন্ডের জন্য এসেছে বিশাল এক আনন্দের উপলক্ষ হয়ে। ম্যাচ শেষেই পার্ক দে প্রিন্সেসে অতিথি হয়ে যাওয়া অল্প কিছু ডর্টমুন্ড সমর্থকদের সঙ্গে সেই আনন্দ উদযাপন করেছেন হামেলসরা। বিশেষ করে ডর্টমুন্ড কোচ এদিন তেরজিচের জন্য তো এ এক ভীষণ আবেগের মুহূর্ত। ছোটবেলা থেকেই যে ক্লাবের সমর্থক হিসেবে বেড়ে উঠেছেন, সেই ক্লাবের কোচ হয়ে তাদের ১১ বছর নিয়ে গেলেন চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে।