সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় নির্বাচনের বিষয়ে সোমবার দিনভর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও এদের মাষ্টার মাইন্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুর ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে কোনো প্রার্থীর পক্ষে গোপন বৈঠক করা হচ্ছিল সে বিষয়টি আরো তদন্তের পর জানানো হবে বলে জানান তিনি।
সোমবার (৬ মে) রাত সাড়ে ৯টায় সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের হল রুমে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলার যমুনা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, এস,বি রেলওয়ে কলোনী হাই স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক আবু সামা, বাহুকা কলেজের প্রভাষক বাচ্চু কুমার ঘোষ, জনতা ব্যাংক সিরাজগঞ্জ জোনাল অফিসের প্রিন্সিপাল অফিসার ইয়াসিন আরাফাত এবং এদের সমন্বয়ক শিয়ালকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আমিনুর ইসলাম।
জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি রোববার রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার কাদাই এলাকার গার্ডেন প্যালেস রিসোর্টের অভ্যন্তরে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার তালিকাভুক্ত কতিপয় প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের জন্য গোপন বৈঠক করছেন। সংবাদ পাওয়ার পরই সেখানে পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও নির্বাচন অফিসের সমন্বয়ে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে তাদের পাওয়া যায়নি। অভিযানকালে ঘটনাস্থল থেকে সিসি টিভির ফুটেজ ও ওই প্রতিষ্ঠানের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়।
সংবাদ সন্মেলনে রিটারিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।