ঢাকা ০২:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তত্ত্বাবধায়কের কথা বলতে হয় না, ওটা বোঝা যায় : ফখরুল

তত্ত্বাবধায়কের কথা বলতে হয় না, ওটা বোঝা যায় : ফখরুল

বিদেশিরা কেউ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলেনি- গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সমালোচনা করেছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এটা বলতে হয় না, ওটা বোঝা যায় যে বাংলাদেশে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। এর প্রমাণ ২০১৪ ও ২০১৮ সাল। আজ শনিবার দুপুরে শিক্ষকদের এক মহাসম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এই আহ্বান জানান।

রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের উদ্যোগে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে ও শিক্ষক-কর্মচারীর হয়রানি-নির্যাতনের প্রতিবাদে এই মহাসম্মেলন হয়। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমাদের নির্বাচন নিয়ে এতো কথা আমি বুঝতে পারি না। নির্বাচন তো আমরা করছি সুন্দর নির্বাচন, অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করছি। এই কথা শুনলে ঘোড়াও হাসে।

তাদের সুষ্ঠু নির্বাচন বিস্ময়কর বিষয়। বিএনপি মহাসচিব বলেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কিংবা ভিসা নীতির ওপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না। বিএনপির কাজ অন্য কেউ করে দিয়ে যাবে না। এখন সরকার পতনে যা কিছু করা দরকার তাই করতে হবে। এ জন্য বলে সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকার দাবি মেনে নেয়নি অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী। এ জন্য এখন করতে হবে? শোনাতে হবে এবং শোনানোর জন্য যা কিছু করা দরকার তাই করতে হবে। সে জন্য আজকে সমগ্র জাতিকে এগিয়ে আসতে হবে এই ভয়াবহ দানবীয় সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষার জন্য, সকল মানুষকে এই সরকারকে সরাতে রাজপথে সোচ্চার হতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল, একদিন সব অপকর্মের জবাবদিহি করতে হবে।

তার আগে সসম্মানে বিদায় হতে চাইলে এখনই সময়, আপনি বিদায় হন। ভিসা নীতিতে সরকারের সবাই আতঙ্কিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। বিএনপি মহাসচিব বলেন, যারা দুর্নীতি, বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ড করেছে, বিচারকরা দলীয়ভাবে বিচার করছে, ব্যবসায়ীরা চুরি করছে। তাই সবাই আতঙ্কিত হয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি আতঙ্কের ছাপ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার মুখে দেখা যাচ্ছে। এমনভাবে কথাবার্তা বলছেন যে মনে হয় যে…। তিনি বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, রাজনৈতিকভাবে আপনার সময় হয়ে গেছে। দয়া করে মানে মানে কেটে পড়েন। তা না হলে জনগণ আপনাকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামাবে।’

আগামীতে ক্ষমতায় গেলে বেগম খালেদা জিয়ার অঙ্গীকার শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণের ঘোষণা বাস্তবায়ন করা হবে বলে অঙ্গীকার করেন মির্জা ফখরুল। একই সঙ্গে শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত করাসহ তাদের ওপরে নিপীড়ন-নির্যাতন ও কারগারে পাঠানোর সমালোচনা করেন তিনি। শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্ব ও শিক্ষক সমিতির মহাসচিব জাকির হোসেনের পরিচালনায় সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইকুয়েডরকে ৭ গোল দিল আর্জেন্টিনা

তত্ত্বাবধায়কের কথা বলতে হয় না, ওটা বোঝা যায় : ফখরুল

আপডেট সময় ১১:০৭:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩

বিদেশিরা কেউ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলেনি- গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সমালোচনা করেছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এটা বলতে হয় না, ওটা বোঝা যায় যে বাংলাদেশে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। এর প্রমাণ ২০১৪ ও ২০১৮ সাল। আজ শনিবার দুপুরে শিক্ষকদের এক মহাসম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এই আহ্বান জানান।

রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের উদ্যোগে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে ও শিক্ষক-কর্মচারীর হয়রানি-নির্যাতনের প্রতিবাদে এই মহাসম্মেলন হয়। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমাদের নির্বাচন নিয়ে এতো কথা আমি বুঝতে পারি না। নির্বাচন তো আমরা করছি সুন্দর নির্বাচন, অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করছি। এই কথা শুনলে ঘোড়াও হাসে।

তাদের সুষ্ঠু নির্বাচন বিস্ময়কর বিষয়। বিএনপি মহাসচিব বলেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কিংবা ভিসা নীতির ওপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না। বিএনপির কাজ অন্য কেউ করে দিয়ে যাবে না। এখন সরকার পতনে যা কিছু করা দরকার তাই করতে হবে। এ জন্য বলে সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকার দাবি মেনে নেয়নি অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী। এ জন্য এখন করতে হবে? শোনাতে হবে এবং শোনানোর জন্য যা কিছু করা দরকার তাই করতে হবে। সে জন্য আজকে সমগ্র জাতিকে এগিয়ে আসতে হবে এই ভয়াবহ দানবীয় সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষার জন্য, সকল মানুষকে এই সরকারকে সরাতে রাজপথে সোচ্চার হতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল, একদিন সব অপকর্মের জবাবদিহি করতে হবে।

তার আগে সসম্মানে বিদায় হতে চাইলে এখনই সময়, আপনি বিদায় হন। ভিসা নীতিতে সরকারের সবাই আতঙ্কিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। বিএনপি মহাসচিব বলেন, যারা দুর্নীতি, বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ড করেছে, বিচারকরা দলীয়ভাবে বিচার করছে, ব্যবসায়ীরা চুরি করছে। তাই সবাই আতঙ্কিত হয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি আতঙ্কের ছাপ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার মুখে দেখা যাচ্ছে। এমনভাবে কথাবার্তা বলছেন যে মনে হয় যে…। তিনি বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, রাজনৈতিকভাবে আপনার সময় হয়ে গেছে। দয়া করে মানে মানে কেটে পড়েন। তা না হলে জনগণ আপনাকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামাবে।’

আগামীতে ক্ষমতায় গেলে বেগম খালেদা জিয়ার অঙ্গীকার শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণের ঘোষণা বাস্তবায়ন করা হবে বলে অঙ্গীকার করেন মির্জা ফখরুল। একই সঙ্গে শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত করাসহ তাদের ওপরে নিপীড়ন-নির্যাতন ও কারগারে পাঠানোর সমালোচনা করেন তিনি। শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্ব ও শিক্ষক সমিতির মহাসচিব জাকির হোসেনের পরিচালনায় সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।