ঢাকা ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বছরে চারবার বাড়বে বিদ্যুতের দাম

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর:
প্রথম আলো: বছরে চারবার বাড়বে বিদ্যুতের দাম
আইএমএফের সঙ্গে বৈঠক
আইএমএফের পরামর্শ, বাংলাদেশ বিদ্যুতের ভর্তুকি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনুক। সরকার তিন বছরের মধ্যে এ শর্ত পূরণ করবে বলে জানিয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে বৈঠক
মনে করি না যে আইএমএফের চাওয়া অনুযায়ী পুরোপুরিভাবে ভর্তুকি কমানো সম্ভব হবে। ভালো দিক যে তেল-গ্যাসে এখন ভর্তুকি নেই। তবে আমাদের মতো দেশে বিদ্যুতে ৩০ থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকিকে বেশিই বলব। তারপরও গ্রামপর্যায়ে বিদ্যুতে ভর্তুকি দিতেই হবে।

ভর্তুকির চাপ সামলাতে বছরে চারবার বিদ্যুতের মূল্য সমন্বয় করবে সরকার। আগামী তিন বছর এই প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ খাতে মোট ভর্তুকি কমিয়ে আনা হবে। এই সময়ে মোট ১২ দফায় বিদ্যুতের দাম নিয়ে আসা হবে উৎপাদন খরচের সমান বা কাছাকাছি।

সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগ ঢাকা সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদলকে এ কথা জানিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আইএমএফের প্রতিনিধিদল বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করে। ভর্তুকি কমাতে বিদ্যুতের দাম সমন্বয়ের বিষয়টি বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।

অবশ্য বিদ্যুৎ খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি দিয়ে আসছে। তাই দাম সমন্বয়ের নামে ভর্তুকি কমানোর মানে হলো বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি। তবে খরচ কমিয়েও সরকার ভর্তুকি সমন্বয় করতে পারে। অনিয়ম, দুর্নীতি, অপচয় রোধ করে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কমানোর দিকে সরকারের মনোযোগ নেই। বরং চাহিদা না থাকলেও দরপত্র ছাড়া একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে এ খাতের খরচ আরও বাড়াচ্ছে।

আইএমএফের প্রতিনিধিদল গতকাল জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পেট্রোবাংলা, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সঙ্গেও আলাদা বৈঠক করেছে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, পেট্রোবাংলা ও বিপিসি প্রায় একইভাবে আইএমএফকে জানিয়েছে, গ্যাস ও জ্বালানি তেলে নতুন করে ভর্তুকির চাপ নেই। তেলের দাম নিয়ে স্বয়ংক্রিয় যে পদ্ধতি (আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়লে দেশে বাড়বে, কমলে কমবে) চালু করার কথা আইএমএফ বলেছিল, তা হয়েছে। প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হচ্ছে। এতে জ্বালানি তেলে আর কখনো ভর্তুকি দিতে হবে না। প্রথম দুই দফায় দাম কিছুটা কমানো হলেও শেষ দফায় দাম বেড়েছে। তিন মাস ধরে এ চর্চা করা হচ্ছে।

আইএমএফ ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচি অনুমোদন করে। এ সময় অন্য অনেক শর্তের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনা, জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক রীতিনীতি অনুসরণ করা হচ্ছে অন্যতম। ঋণ কর্মসূচি শুরুর পর দুই কিস্তিতে ১০০ কোটি ডলারের বেশি বাংলাদেশ পেয়েছে। তৃতীয় কিস্তিতে ৭০ কোটি ডলার পাওয়ার কথা চলতি মে মাসে। আইএমএফের বর্তমান দলটি ২৪ এপ্রিল থেকে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করছে, যা শেষ হবে ৮ মে।

কালের কন্ঠ:

ঢাকাসহ তিন বিভাগে বৃষ্টি বজ্রপাতে নিহত ১১

দেশজুড়ে তীব্র দাবদাহের মধ্যে অবশেষে গতকাল বৃহস্পতিবার দেখা গেল বৈশাখের রুদ্ররূপের অন্য দিকটা। গতকাল তীব্র ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে তুমুল বজ্রপাতে পাঁচ জেলায় অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা বিভাগের কিছু জেলা এবং সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের বেশির ভাগ অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে। ফলে তিন বিভাগে তাপমাত্রা কিছুটা কমে স্বস্তি নামে জনজীবনে।
বৃষ্টির পানিতে সিলেটের জৈন্তাপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিতও হয়েছে। তবে তার পরও দেশের পাঁচটি অঞ্চলের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির ওপরে ছিল।
ঢাকাসহ তিন বিভাগে বৃষ্টি বজ্রপাতে নিহত ১১বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে কক্সবাজার, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, কুমিল্লা ও সিলেটে। এতে নিহতের পাশাপাশি আহত হয়েছে আরো প্রায় ১০ জন।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, গতকাল সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের বেশির ভাগ জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল রাতে এবং আজ শুক্রবারও চট্টগ্রাম ও সিলেটের পাশাপাশি ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের কিছু জায়গায় বৃষ্টি বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

কালবেলা:

৯০০ মরদেহ আদালতে হয়ে গেল ১৩৫!
আদালতে সুর পাল্টেছেন মিল্টন সমাদ্দার। তিনি এতদিন একাধিক গণমাধ্যমে ৯০০ মরদেহ দাফনের দাবি করেছিলেন। কালবেলাকে তিনি বলেছিলেন, ৬০০ মানুষ তার আশ্রমে মারা গেছেন এবং বাকি ৩০০ মানুষের মরদেহ রাস্তা থেকে কুড়িয়ে দাফন করেছেন। তবে আদালতে মিল্টন সেই সংখ্যা কমিয়ে বলেছেন, তার আশ্রমে ১৩৫ জন মারা গেছেন। তাদের কবরের রসিদ রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। যদিও এর আগে তিনি বলেছিলেন, নাম-পরিচয়হীন মরদেহ কবরস্থানে দাফন করা না যাওয়ায় তিনি ঘুষ দিয়ে রাতের অন্ধকারে দাফন করেছেন। এ কারণে সব মরদেহ দাফনের রসিদ তার কাছে নেই।

গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে মিল্টন সমাদ্দার বলেন, চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রম ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠা করি। পরের বছর সমাজসেবা অধিদপ্তরে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করি। আমাদের কার্যক্রম দেখে অধিদপ্তর ২০১৮ সালে নিবন্ধন দেয়। এখানে শুধু পরিচয়হীন ছিন্নমূল মানুষকে এনে আশ্রয় ও চিকিৎসা দিই। আশ্রম সাধারণ মানুষের অনুদানে পরিচালিত হয়। ২০১৭ সাল থেকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে আয়-ব্যয়ের অডিট রিপোর্ট সংরক্ষণ করি। বর্তমানে এখানে ২৫৬ জন আশ্রিত মানুষ আছেন। এ পর্যন্ত ১৩৫ জন আশ্রমে থাকা অবস্থায় মারা গেছেন। তাদের সমাহিতকরণের জন্য আমরা নিজস্ব চিকিৎসক দ্বারা নিশ্চিত হয়ে মৃত্যুর কারণ সংবলিত প্রত্যয়নপত্র দিই। এটা শুধু দাফনের কাজে ব্যবহৃত

হয়। এসব মানুষকে দাফনের দায়িত্ব নিতে আমরা সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করি। এমনকি হাইকোর্টেও আবেদন করেছিলাম। কিন্তু কেউ তাদের দায়িত্ব না নেওয়ায় নিজস্বভাবে তালিকা করে প্রত্যয়নপত্র দিয়ে দাফনের ব্যবস্থা করি।

এদিকে মিল্টন সমাদ্দারের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, কালবেলার প্রতিবেদকের সঙ্গে সামসুদ্দিন নামের কোনো এক ব্যক্তির সঙ্গে সখ্য রয়েছে। এর সূত্র ধরে কালবেলা পক্ষপাতিত্বমূলক সংবাদ প্রকাশ করেছে। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস কুমার পাল বলেন, কালবেলার কারণেই কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে আশ্রমের সাপ বের হয়ে গেছে। সামসুদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে কোনো ব্যক্তিগত সম্পর্ক নেই কালবেলা কর্তৃপক্ষের। সংবাদে প্রকাশিত অন্য সব ভুক্তভোগীর মতোই সামসুদ্দিনও মিল্টন সমাদ্দারের হাতে নির্যাতিত একজন ভুক্তভোগী। এই সংবাদের আগে কারও সঙ্গে কারও কখনো দেখা হয়নি, কথাও হয়নি, এমনকি কেউ কাউকে চিনতেনও না। সংবাদের বাইরে তাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই

দেশরুপান্তর:

বাইরে বিক্ষোভ তিনি দিচ্ছিলেন নিয়োগ
তিন বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করে বিদায় নেন অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। এ সময়ে দুই হাজারের বেশি লোককে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি।

শুধু তাই নয়, নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হকের নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার তিন দিন পর তড়িঘড়ি করে এক দিনে ১ হাজার ১ জন কর্মচারীর চাকরি স্থায়ী করেন শারফুদ্দিন আহমেদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক হাফিজুর রহমান গত ২০ মার্চ এ প্রজ্ঞাপন জারি করেন। ওই প্রজ্ঞাপনের কপি এ প্রতিবেদকের কাছে আছে।

সাবেক উপাচার্য ১ হাজার ১ জনের চাকরি এমন এক সময়ে স্থায়ী করেন যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব ধরনের নিয়োগ, পদোন্নতি ও চাকরি স্থায়ীকরণ বন্ধ রাখার জন্য আন্দোলন করছিলেন।

এ নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে সাবেক উপাচার্যপন্থিদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আন্দোলনকারীরা সাবেক উপাচার্য শারফুদ্দিনকে ঘেরাও করেন এবং নতুন উপাচার্য নিযুক্ত হওয়ায় তাকে নিয়ম অনুযায়ী শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করার কথা বলেন।

তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিএসএমএমইউতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা ছিল। বিদায়ের আগের শেষ দুই সপ্তাহ উপাচার্য ডা. শারফুদ্দিন পুলিশ পাহারায় অফিস করেছেন। তখন বিরোধী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বাধার কারণে অনেক চেষ্টা করেও সিন্ডিকেট সভা করতে পারেননি তিনি। তবে সিন্ডিকেট সভা করতে ব্যর্থ হলেও এবং বাইরে আন্দোলন চললেও উপাচার্য ও তার অনুগতরা পুলিশ পাহারায় এক দিনে ৪৭টি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ১ হাজার ১ জনের চাকরি স্থায়ী করেন।

অভিযোগ রয়েছে, চাকরি স্থায়ী হওয়া এ কর্মচারীরা অধ্যাপক শারফুদ্দিনের আমলে বিভিন্ন সময়ে নিয়োগ পান। নিয়োগের সময় তাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১০-১৮ লাখ টাকা নেওয়া হয়। আবার তাদের চাকরি স্থায়ী করতেও জনপ্রতি ১-২ লাখ টাকা নেয় উপাচার্য শারফুদ্দিনের ঘনিষ্ঠ লোকেরা। চাকরি স্থায়ীকরণে ১০-১৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। ঘুষ নিয়ে কর্মচারীদের চাকরি দেওয়া ও চাকরি স্থায়ীকরণে অধ্যাপক শারফুদ্দিন বেশ চাপে ছিলেন। তিনি ভেবে রেখেছিলেন আবার উপাচার্যের দায়িত্ব পেলে ধাপে ধাপে চাকরি স্থায়ী করবেন।

উপাচার্য হিসেবে আবার নিয়োগ পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা যখন দেখলেন না তখন তিনি চাকরি স্থায়ীকরণে মরিয়া হয়ে ওঠেন। দেশের ইতিহাসে এক দিনে হাজারের বেশি চাকরি স্থায়ী করার ঘটনা নজিরবিহীন।

বিএসএমএমইউর উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হকের নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি হয় গত ১১ মার্চ। এরপরই বিদায়ী উপাচার্য তড়িঘড়ি করে ১ হাজার ১ জনের চাকরি স্থায়ী করার প্রজ্ঞাপন জারি করান।

নয়াদিগন্ত:

বিদ্যুতের ভর্তুকি ও ক্যাপাসিটি চার্জে আইএমএফের উদ্বেগ
গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ পরিশোধ করতে হয়েছে ২৬ হাজার কোটি টাকা। আগের অর্থবছরে ক্যাপাসিটি চার্জ ছিল ১৬ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। এক বছরে ক্যাপাসিটি চার্জ বেড়েছে ৫৬ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে ক্যাপাসিটি চার্জ বেড়ে ৩০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এমনি পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের ভর্তুকি ও বসে থাকা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর ক্যাপাসিটি চার্জ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ। সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল বিদ্যুৎ বিভাগ, জ্বালানি বিভাগ ও পেট্রোবাংলার সাথে গতকাল পৃথক পৃথক বৈঠকে এ উদ্বেগ জানিয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত এমন এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গতকাল সকাল ১০টার পরে প্রথমে বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে বৈঠক করে আইএমএফ প্রতিনিধিদল। এ সময় আইএমএফ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির গবেষণা বিভাগের উন্নয়ন সামষ্টিক অর্থনীতি শাখার প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওয়। আর বিদ্যুৎ বিভাগের নেতৃত্বে ছিলেন সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমান। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আইএমএফ প্রতিনিধিদল বর্তমানে বিদ্যুৎ খাতের ভর্তুকির বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে। এ সময় তারা বিদ্যুতের ক্যাপাসিটি চার্জ নিয়েও জানতে চায়। বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে এই দুটি বিষয় নিয়ে জানানোর পর আইএমএফ প্রতিনিধিরা উদ্বেগ জানায়। পরে জ্বালানি বিভাগের সাথে পৃথক বৈঠক করে আইএমএফ প্রতিনিধিদল। তবে বৈঠকে জ্বালানি সচিব উপস্থিত ছিলেন না। বৈঠকে অংশ নেয়া এক কর্মকর্তা জানান, বৈঠকে আগেই জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করে মূল্য সমন্বয় করায় সরকারের প্রশংসা করে আইএমএফ প্রতিনিধিদল।
এ দিকে, বিকেলে পেট্রোবাংলার সাথে বৈঠকে সম্প্রতি জ্বালানি বিশেষ করে এলএনজি আমদানি এবং দেশের ভেতর কাজ করা আন্তর্জাতিক তেল-গ্যাস কোম্পানির বকেয়া পরিশোধ করতে না পারার কারণ জানতে চায় আইএমএফ। পেট্রোবাংলা থেকে ডলার সঙ্কটের কথা জানানো হয়। বৈঠকে পেট্রোবাংলা প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান।

বছরে ক্যাপাসিটি চার্জ আসলে কত : বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতিবেদন অনুসারে বিদায়ী গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ৮৭ হাজার ২৪ মিলিয়ন কিলোওয়াট ঘণ্টা। সরকারি, বেসরকারি ও ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো থেকে এ পরিমাণ বিদ্যুৎ কিনতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) ব্যয় হয়েছে প্রায় ৯৫ হাজার ৩২ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ পরিশোধ করতে হয়েছে ২৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে বিদ্যুতের উৎপাদন ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় বেড়েছে প্রায় ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। এ সময় ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ ব্যয় বেড়েছে ৫৬ শতাংশ। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতায় যুক্ত হতে যাচ্ছে আরো অন্তত প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মেগাওয়াট। এর মধ্যে কয়লা ও গ্যাসভিত্তিক বৃহৎ বিদ্যুৎ কেন্দ্রও রয়েছে। মোট সক্ষমতায় এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র যুক্ত হলে চলতি অর্থবছরে ক্যাপাসিটি চার্জ বেড়ে ৩০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা খাতসংশ্লিষ্টদের। বিদ্যুৎ বিভাগ ও বিপিডিবি সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎ ক্রয়ে গত অর্থবছর বিপিডিবির ব্যয় ছিল ৯৫ হাজার ৩১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভাড়া বা ক্যাপাসিটি চার্জ ছিল ২৬ হাজার ২০০ কোটি টাকার মতো (প্রাক্কলিত)। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিদ্যুৎ ক্রয়ে বিপিডিবির ব্যয় হয়েছিল ৭১ হাজার ৪৯৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা। ওই অর্থবছরে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জ ছিল ১৬ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক অর্থবছরের ব্যবধানে সংস্থাটির ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ ব্যয় বেড়েছে ৫৬ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে বেসরকারি ও ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পেছনে সবচেয়ে বেশি অর্থ গুনতে হয়েছে বিপিডিবিকে। গত অর্থবছরে বিপিডিবি বেসরকারি (আইপিপি) ও ভাড়াভিত্তিক কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনেছে ৩৪ হাজার ২৫৩ মিলিয়ন কিলোওয়াট ঘণ্টা। এতে সংস্থাটির অর্থ ব্যয় হয়েছে ৬২ হাজার ৭৬৭ কোটি টাকা। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে এ বিদ্যুৎ কেনার পরিমাণ ছিল ৪০ হাজার ১৭৪ মিলিয়ন কিলোওয়াট ঘণ্টা। আর অর্থ ব্যয় হয়েছিল ৫২ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। অর্থাৎ এক অর্থবছরের ব্যবধানে আইপিপি ও ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছ থেকে প্রায় ১৫ শতাংশ বিদ্যুৎ কম কেনা হলেও ব্যয় বেড়েছে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি। আইপিপি ও ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো থেকে বিপিডিবির বিদ্যুৎ ক্রয়ে ব্যয় বাড়ায় বিপিডিবির গড় উৎপাদন ব্যয়ও ৮ টাকা ৮৪ পয়সা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৩৩ পয়সায়।

যুগান্তর:

কুরবানি ঈদের দেড় মাস আগেই অস্থির মসলার বাজার
কুরবানির ঈদ আরও দেড় মাস পর। কিন্তু এখনই অসাধু সিন্ডিকেট মসলাপণ্যের দাম বাড়াতে শুরু করেছে। এক মাস আগে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি রসুন ১৩০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ২০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। ৩০০ টাকা কেজি দেশি আদার দাম ৪৫০ টাকা হয়েছে।

এলাচের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০০ টাকা। আর বাজারে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টিতে দেশের শতাধিক ব্যবসায়ীর হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি ‘মার্কেট প্রাইস’ বিক্রি উৎসবে ঈদের আড়াই মাস আগেই মসলা পণ্য কিনতে ঠকছেন প্রায় ১৭ কোটি ভোক্তা। মসলা পণ্যের বাজারে কারা অস্থিরতা সৃষ্টি করে তার একটি প্রতিবেদন গত বছর মন্ত্রণালয়ে যায়।

সেখানে ঢাকা, চট্টগ্রামের ও দু-একটি অঞ্চলের শতাধিক ব্যবসায়ীকে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ কারণে তারা যা খুশি তাই করছে।

সূত্র জানায়, রসুনের শীর্ষ আমদানিকারক ২০টি প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়া পেঁয়াজের শীর্ষ আমদানিকারক একে ট্রেডিং, সুরমা টেপ, মক্কা এন্টারপ্রাইজ, জেনি এন্টারপ্রাইজ ও এনএন এন্টারপ্রাইজ। সবচেয়ে বেশি আদা আমদানি করা চার প্রতিষ্ঠান হচ্ছে-বগুড়ার মিশু ট্রেডিং, ঢাকার ট্রেইটি ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং, বগুড়ার বিকে ট্রেডার্স ও ঢাকার ভাই ভাই বাণিজ্যালয়।

সবচেয়ে বেশি এলাচ আমদানি করে চট্টগ্রামের তিনটি প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি জিরা, দারচিনি, হলুদ, মরিচ ও জয়ত্রী আমদানি করা হয়। এসব পণ্যেরও নিয়ন্ত্রক ঘুরেফিরে ৩০ থেকে ৪০ জন। এছাড়া চট্টগ্রাম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের মার্কেট প্রাইস বিক্রি উৎসবে মসলা পণ্যের দাম আরেক ধাপ বেড়ে যাচ্ছে। পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি পণ্যের যৌক্তিক দাম যা হওয়ার কথা, বাজার নিয়ন্ত্রকরা দুই থেকে তিনগুণ এমনকি চারগুণ বেশি দামে বিক্রি করছেন। ফলে বাজারে অন্য বিক্রেতারাও সেই দাম অনুসরণ করে পণ্য মূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছেন।

চট্টগ্রামের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের বারবার বলার পরও তারা অভিযানকালে রসিদ দেখান না। অভিযানকালে এমনও বিষয় দেখা গেছে, এলাচ আমদানির তথ্য বিশ্লেষণ করলে প্রতি কেজি এলাচ ১৫ শতাংশ মুনাফাসহ বিক্রয়মূল্য হওয়ার কথা ১৬০০-১৭০০ টাকা। কিন্তু বাজারে ২২০০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়।

এতে স্বাভাবিকভাবেই বাজার অস্থির হয়ে ওঠে। বেশি দামে বিক্রির কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা অজুহাত দেন, পণ্যটি এক বছর আগে আনা হয়েছে; গোডাউনে ছিল। এক বছর বিক্রি হয়নি। সেই হিসাব ধরে লাভ করতে দাম বাড়ানো হয়। এছাড়া ‘মার্কেট প্রাইস’ যে দামে থাকে সবাই সেই দামে বিক্রি করে। এটা ভোক্তাদের সঙ্গে তাদের এক ধরনের প্রতারণা। এমন পরিস্থিতিতে আমরা জড়িত ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনছি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর খুচরা বাজারা ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এদিন প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা। যা ১ মাস আগেও ৬০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। যা ১ মাস আগে ১৩০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি শুকনামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ টাকা। যা এক মাস আগে ৩৭০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি হলুদ বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকা; যা এক মাস আগে ৩২০-৩৩০ টাকা ছিল।

খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি আদা ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে; যা এক মাস আগে ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আমদানি করা আদা বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৫০ টাকা; যা এক মাস আগে ২২০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি দারুচিনি ৬২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে; যা এক মাস আগে ৫২০ টাকা ছিল। ছোট দানার এলাচের কেজি সর্বোচ্চ ৩৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে; যা এক মাস আগে ৩৫০০ টাকা ছিল।

এ প্রসঙ্গে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, প্রতিবছর কুরবানির ঈদ আসার আগেই অসাধুরা মসলা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। কারণ কুরবানির ঈদ ঘিরে এই পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে। কয়েকবার অসাধুদের চিহ্নিত করলেও পদক্ষেপ নেওয়া হওয়নি। তাই এখনই পদক্ষেপ না নিলে ঈদের আগেই মূল্য ক্রেতার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।

কাওরান বাজারে মসলা বিক্রেতা মো. ইউনুস বলেন, কুরবানির ঈদ আসলেই আমদানিকারকরা মসলা পণ্যের দাম বাড়াতে থাকে। এবারও তাই হয়েছে। আমরা পাইকারি কিনে খুচরায় বিক্রি করি। পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়লে খুচরায় দাম বাড়ে। তিনি বলেন, দেশে সব ধরনের মসলাপণ্য আমদানি নির্ভর। আর এই বাজার গুটিকয়েক ব্যবসায়ী নিয়ন্ত্রণ করেন। কারা নিয়ন্ত্রণ করেন তা সরকারের সব বিভাগ জানে। তাই সেখানে অভিযান পরিচালনা করলে ক্রেতার স্বস্তি ফিরবে।

দৈনিক সংগ্রাম:

সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার কারণেই আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক বৈঠক সংগঠনের আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নিম্নোক্ত প্রস্তাব গৃহীত হয়।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে, দেশব্যাপী আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। মানুষের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই। প্রশাসনের ছত্রছায়ায় আওয়ামী দলীয় লোকেরা হত্যা, গুম-খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, জমি ও ঘর-বাড়ি দখল, ছিনতাই, ঘুষ-দুর্নীতিসহ হেন কোনো অপরাধ নেই, যা তারা সংঘটিত করছে না। দেশের নাগরিকগণ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। সরকার পুলিশ প্রশাসনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার কারণে পুলিশ অপরাধ নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে রাজনৈতিক কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়ছে।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ গভীর উদ্বেগের সাথে আরও লক্ষ্য করছে যে, দেশে সুশাসন না থাকায় এবং অপরাধের বিচার না হওয়ায় অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি ফরিদপুরের মধুখালীতে একটি মন্দিরে আগুন লাগাকে কেন্দ্র করে কোনো রকম তদন্ত ও প্রমাণ ছাড়াই দুই মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ঘটনার প্রতিবাদে ফরিদপুরে সর্বস্তরের মানুষ মানববন্ধন কর্মসূচি পালনকালে পুলিশ তাদের উপর গুলীবর্ষণ করে। ফলে বহু লোক আহত হয়।

সরকার ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে পুনরায় ক্ষমতা দখল করে নতুন স্টাইলে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করছে। গত এপ্রিল মাসে রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর মহানগরী, নীলফামারী ও রাজশাহী মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৩৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। রাজশাহীর আদালতে জামায়াত নেতৃবৃন্দ হাজিরা দিতে গেলে রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারীসহ ১০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। আদালত অঙ্গন থেকে এ ধরনের গ্রেফতার নজিরবিহীন, ন্যক্কারজনক এবং আদালত অবমাননার শামিল।

মানবজমিন:

ওদের ঘামে রাষ্ট্র বদলায় সংসার বদলায়

মাদারীপুরের চরলক্ষ্মীপুরের মাহাবুবুল ইসলাম। পরিবার নিয়ে টিনের ঘরে বসবাস করতেন। কৃষক বাবার আয়েই চলতো পুরো পরিবার। দারিদ্র্যতার কারণে লেখাপড়ায় বেশিদূর যেতে পারেননি মাহাবুবুল। স্বপ্ন দেখেছিলেন ভাগ্যের চাকা ঘুরানোর। স্বপ্ন পূরণে জীবনকে ঠেলে দিয়েছিলেন এক অজানা গন্তব্যে। গোছানো অর্থ আর জমিজমা বিক্রি করে ইউরোপ যেতে বেছে নিয়েছিলেন ভূমধ্যসাগারের ভয়ঙ্কর পথ। মাহাবুবুল জানিয়েছেন, শুরুতে ভিসা করে ঢাকা থেকে লিবিয়া গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে সাগর পথে ইতালির জন্য রওনা দেন। যাত্রাপথে ধরা পড়েছেন পুলিশের হাতে।

একমাস জেলও খেটেছেন। হয়েছেন নির্যাতনের শিকার। পরে দালালের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা খরচ করে জেল থেকে ছাড়া পান। একবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দেশে ফেরার। কিন্তু পরিবারের দিকে তাকিয়ে পারেননি। ফের সাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যান। বর্তমানে মাহাবুবুলের কর্মসংস্থান দেশটির আরবিনো শহরে। তীব্র গরমে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করছেন তিনি। মা-বাবার মুখে হাসি দেখার জন্যই তার এই পরিশ্রম।

ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রতিমাসে এক থেকে দেড় লাখ টাকা রেমিট্যান্স পাঠান মাহাবুবুল। সেই টাকায় দেশে স্বাচ্ছন্দে চলে তার পরিবার। মাহাবুবুলের মতো লাখ লাখ মানুষ কর্মসংস্থানের জন্য প্রবাস জীবন বেছে নিয়েছেন। দেশে পাঠাচ্ছেন মিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স। দেশের পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রাখছেন এই রেমিট্যান্স যোদ্ধারা।

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, গত দুই দশকে বিদেশে মোট কর্মসংস্থান হয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ ২৪ হাজার মানুষের। তাদের মাধ্যমে এই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে ২ লাখ ৬৯ হাজার ২৮ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিএমইটি’র তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০০৪ সাল থেকে বিদেশে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থান বাড়তে শুরু করে। একই সময় থেকে বাড়তে থাকে প্রবাসী আয়ও। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিদেশে কর্মসংস্থানের নজির ভিন্নমাত্রায় নিয়ে যায়। ২০০৭ ও ২০০৮ সালে আগের বছরগুলোর চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি মানুষের বিদেশে কর্মসংস্থান হয়। বছর দু’টিতে যথাক্রমে ৮ লাখ ৩২ হাজার ৬০৯ জন ও ৮ লাখ ৭৫ হাজার ৫৫ জনের কর্মসংস্থান হয় বিভিন্ন দেশে। এরপরের দুই বছর আবার অর্ধেকের নিচে নামে বিদেশে কর্মসংস্থানের সংখ্যা। ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে বিদেশে কর্মসংস্থানে বড় ধাক্কা খায়। বছরটিতে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৬৯ জনের বিদেশে কর্মসংস্থান হয়। তবে এরপরের বছরগুলোতে ফের ধারাবাহিক বাড়তে থাকে বিদেশে কর্মসংস্থানের সংখ্যা। বিশেষ করে গেল দু’বছর অর্থাৎ ২০২২ ও ২০২৩ সালে বিদেশে যথাক্রমে ১১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৭৩ জন ও ১৩ লাখ ৫ হাজার ৪৫৩ জন বাংলাদেশির বিদেশে কর্মসংস্থান হয়।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নতিতে বিদেশে কর্মসংস্থান নেয়া রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা রয়েছে। তাদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রায় ভর করে সরকারের আমদানি ব্যয় মেটানো ও বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে বড় ভূমিকা রাখে। অবশ্য ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স আসায় এই ভূমিকা বিস্তারের ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা হিসেবেও দেখছেন অর্থনীতিবিদরা।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

রহস্যঘেরা মিল্টন সমাদ্দার
বের হচ্ছে ভয়ংকর সব তথ্য, কিডনি-অঙ্গ পাচারের অভিযোগ, রাতের আঁধারে দাফন, হদিস নেই ৮৩৫ লাশের, মৃত্যুসনদ বানাতেন নিজেইমানবিক মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর সব অপকর্মের অভিযোগ ওঠায় মিল্টন সমাদ্দারকে ঘিরে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। অসহায় মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার নামে তাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি করা, ৮৩৫টি লাশের কোনো হদিস না পাওয়া, আশ্রমে টর্চার সেলের সন্ধানসহ গা শিউরে ওঠার মতো আরও সব অপরাধের খবরে হতবাক পুলিশ ও গোয়েন্দারা।

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান এই মিল্টন সমাদ্দারের সব রহস্য উদঘাটনে গোয়েন্দারা এখন মাঠে। মিল্টনকে গতকাল তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। এর আগে গত বুধবার রাতে রাজধানীর মিরপুর থেকে মিল্টনকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করে। রাতেই তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়।

গোয়েন্দা পুলিশ প্রধান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অজস্র অভিযোগ। রাতের আঁধারে লাশ দাফন করতেন। সিটি করপোরেশনের মৃত্যুসনদও নিজেই তৈরি করতেন। এভাবে রাতের আঁধারে প্রায় ৯০০ লাশ দাফনের ভুয়া মৃত্যুসনদ নিজেই তৈরি করেছেন। এমন ভুয়া সিলসহ কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মিল্টন কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তার স্ত্রীকেও ডাকা হবে। কেউ যদি তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করে তাহলে তাকেও গ্রেফতার করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, তার বাড়ি বরিশালের উজিরপুরে। তিনি তার বাবাকে পেটানোর কারণে এলাকাবাসী তাকে এলাকাছাড়া করে। এরপর ঢাকায় চলে আসেন। তিনি বলেন, মিল্টন ঢাকায় এসে শাহবাগের একটি ফার্মেসিতে কাজ শুরু করেন। সেখানে ওষুধ চুরি করে বিক্রির কারণে মিল্টনকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর একজন নার্সকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ স্থাপনের জন্য স্ত্রীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেন।

দাগনভূঞায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক চাই দিবস পালন

বছরে চারবার বাড়বে বিদ্যুতের দাম

আপডেট সময় ০৯:০৩:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর:
প্রথম আলো: বছরে চারবার বাড়বে বিদ্যুতের দাম
আইএমএফের সঙ্গে বৈঠক
আইএমএফের পরামর্শ, বাংলাদেশ বিদ্যুতের ভর্তুকি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনুক। সরকার তিন বছরের মধ্যে এ শর্ত পূরণ করবে বলে জানিয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে বৈঠক
মনে করি না যে আইএমএফের চাওয়া অনুযায়ী পুরোপুরিভাবে ভর্তুকি কমানো সম্ভব হবে। ভালো দিক যে তেল-গ্যাসে এখন ভর্তুকি নেই। তবে আমাদের মতো দেশে বিদ্যুতে ৩০ থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকিকে বেশিই বলব। তারপরও গ্রামপর্যায়ে বিদ্যুতে ভর্তুকি দিতেই হবে।

ভর্তুকির চাপ সামলাতে বছরে চারবার বিদ্যুতের মূল্য সমন্বয় করবে সরকার। আগামী তিন বছর এই প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ খাতে মোট ভর্তুকি কমিয়ে আনা হবে। এই সময়ে মোট ১২ দফায় বিদ্যুতের দাম নিয়ে আসা হবে উৎপাদন খরচের সমান বা কাছাকাছি।

সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগ ঢাকা সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদলকে এ কথা জানিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আইএমএফের প্রতিনিধিদল বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করে। ভর্তুকি কমাতে বিদ্যুতের দাম সমন্বয়ের বিষয়টি বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।

অবশ্য বিদ্যুৎ খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি দিয়ে আসছে। তাই দাম সমন্বয়ের নামে ভর্তুকি কমানোর মানে হলো বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি। তবে খরচ কমিয়েও সরকার ভর্তুকি সমন্বয় করতে পারে। অনিয়ম, দুর্নীতি, অপচয় রোধ করে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কমানোর দিকে সরকারের মনোযোগ নেই। বরং চাহিদা না থাকলেও দরপত্র ছাড়া একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে এ খাতের খরচ আরও বাড়াচ্ছে।

আইএমএফের প্রতিনিধিদল গতকাল জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পেট্রোবাংলা, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সঙ্গেও আলাদা বৈঠক করেছে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, পেট্রোবাংলা ও বিপিসি প্রায় একইভাবে আইএমএফকে জানিয়েছে, গ্যাস ও জ্বালানি তেলে নতুন করে ভর্তুকির চাপ নেই। তেলের দাম নিয়ে স্বয়ংক্রিয় যে পদ্ধতি (আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়লে দেশে বাড়বে, কমলে কমবে) চালু করার কথা আইএমএফ বলেছিল, তা হয়েছে। প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হচ্ছে। এতে জ্বালানি তেলে আর কখনো ভর্তুকি দিতে হবে না। প্রথম দুই দফায় দাম কিছুটা কমানো হলেও শেষ দফায় দাম বেড়েছে। তিন মাস ধরে এ চর্চা করা হচ্ছে।

আইএমএফ ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচি অনুমোদন করে। এ সময় অন্য অনেক শর্তের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনা, জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক রীতিনীতি অনুসরণ করা হচ্ছে অন্যতম। ঋণ কর্মসূচি শুরুর পর দুই কিস্তিতে ১০০ কোটি ডলারের বেশি বাংলাদেশ পেয়েছে। তৃতীয় কিস্তিতে ৭০ কোটি ডলার পাওয়ার কথা চলতি মে মাসে। আইএমএফের বর্তমান দলটি ২৪ এপ্রিল থেকে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করছে, যা শেষ হবে ৮ মে।

কালের কন্ঠ:

ঢাকাসহ তিন বিভাগে বৃষ্টি বজ্রপাতে নিহত ১১

দেশজুড়ে তীব্র দাবদাহের মধ্যে অবশেষে গতকাল বৃহস্পতিবার দেখা গেল বৈশাখের রুদ্ররূপের অন্য দিকটা। গতকাল তীব্র ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে তুমুল বজ্রপাতে পাঁচ জেলায় অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা বিভাগের কিছু জেলা এবং সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের বেশির ভাগ অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে। ফলে তিন বিভাগে তাপমাত্রা কিছুটা কমে স্বস্তি নামে জনজীবনে।
বৃষ্টির পানিতে সিলেটের জৈন্তাপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিতও হয়েছে। তবে তার পরও দেশের পাঁচটি অঞ্চলের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির ওপরে ছিল।
ঢাকাসহ তিন বিভাগে বৃষ্টি বজ্রপাতে নিহত ১১বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে কক্সবাজার, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, কুমিল্লা ও সিলেটে। এতে নিহতের পাশাপাশি আহত হয়েছে আরো প্রায় ১০ জন।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, গতকাল সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের বেশির ভাগ জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল রাতে এবং আজ শুক্রবারও চট্টগ্রাম ও সিলেটের পাশাপাশি ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের কিছু জায়গায় বৃষ্টি বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

কালবেলা:

৯০০ মরদেহ আদালতে হয়ে গেল ১৩৫!
আদালতে সুর পাল্টেছেন মিল্টন সমাদ্দার। তিনি এতদিন একাধিক গণমাধ্যমে ৯০০ মরদেহ দাফনের দাবি করেছিলেন। কালবেলাকে তিনি বলেছিলেন, ৬০০ মানুষ তার আশ্রমে মারা গেছেন এবং বাকি ৩০০ মানুষের মরদেহ রাস্তা থেকে কুড়িয়ে দাফন করেছেন। তবে আদালতে মিল্টন সেই সংখ্যা কমিয়ে বলেছেন, তার আশ্রমে ১৩৫ জন মারা গেছেন। তাদের কবরের রসিদ রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। যদিও এর আগে তিনি বলেছিলেন, নাম-পরিচয়হীন মরদেহ কবরস্থানে দাফন করা না যাওয়ায় তিনি ঘুষ দিয়ে রাতের অন্ধকারে দাফন করেছেন। এ কারণে সব মরদেহ দাফনের রসিদ তার কাছে নেই।

গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে মিল্টন সমাদ্দার বলেন, চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রম ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠা করি। পরের বছর সমাজসেবা অধিদপ্তরে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করি। আমাদের কার্যক্রম দেখে অধিদপ্তর ২০১৮ সালে নিবন্ধন দেয়। এখানে শুধু পরিচয়হীন ছিন্নমূল মানুষকে এনে আশ্রয় ও চিকিৎসা দিই। আশ্রম সাধারণ মানুষের অনুদানে পরিচালিত হয়। ২০১৭ সাল থেকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে আয়-ব্যয়ের অডিট রিপোর্ট সংরক্ষণ করি। বর্তমানে এখানে ২৫৬ জন আশ্রিত মানুষ আছেন। এ পর্যন্ত ১৩৫ জন আশ্রমে থাকা অবস্থায় মারা গেছেন। তাদের সমাহিতকরণের জন্য আমরা নিজস্ব চিকিৎসক দ্বারা নিশ্চিত হয়ে মৃত্যুর কারণ সংবলিত প্রত্যয়নপত্র দিই। এটা শুধু দাফনের কাজে ব্যবহৃত

হয়। এসব মানুষকে দাফনের দায়িত্ব নিতে আমরা সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করি। এমনকি হাইকোর্টেও আবেদন করেছিলাম। কিন্তু কেউ তাদের দায়িত্ব না নেওয়ায় নিজস্বভাবে তালিকা করে প্রত্যয়নপত্র দিয়ে দাফনের ব্যবস্থা করি।

এদিকে মিল্টন সমাদ্দারের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, কালবেলার প্রতিবেদকের সঙ্গে সামসুদ্দিন নামের কোনো এক ব্যক্তির সঙ্গে সখ্য রয়েছে। এর সূত্র ধরে কালবেলা পক্ষপাতিত্বমূলক সংবাদ প্রকাশ করেছে। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস কুমার পাল বলেন, কালবেলার কারণেই কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে আশ্রমের সাপ বের হয়ে গেছে। সামসুদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে কোনো ব্যক্তিগত সম্পর্ক নেই কালবেলা কর্তৃপক্ষের। সংবাদে প্রকাশিত অন্য সব ভুক্তভোগীর মতোই সামসুদ্দিনও মিল্টন সমাদ্দারের হাতে নির্যাতিত একজন ভুক্তভোগী। এই সংবাদের আগে কারও সঙ্গে কারও কখনো দেখা হয়নি, কথাও হয়নি, এমনকি কেউ কাউকে চিনতেনও না। সংবাদের বাইরে তাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই

দেশরুপান্তর:

বাইরে বিক্ষোভ তিনি দিচ্ছিলেন নিয়োগ
তিন বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করে বিদায় নেন অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। এ সময়ে দুই হাজারের বেশি লোককে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি।

শুধু তাই নয়, নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হকের নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার তিন দিন পর তড়িঘড়ি করে এক দিনে ১ হাজার ১ জন কর্মচারীর চাকরি স্থায়ী করেন শারফুদ্দিন আহমেদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক হাফিজুর রহমান গত ২০ মার্চ এ প্রজ্ঞাপন জারি করেন। ওই প্রজ্ঞাপনের কপি এ প্রতিবেদকের কাছে আছে।

সাবেক উপাচার্য ১ হাজার ১ জনের চাকরি এমন এক সময়ে স্থায়ী করেন যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব ধরনের নিয়োগ, পদোন্নতি ও চাকরি স্থায়ীকরণ বন্ধ রাখার জন্য আন্দোলন করছিলেন।

এ নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে সাবেক উপাচার্যপন্থিদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আন্দোলনকারীরা সাবেক উপাচার্য শারফুদ্দিনকে ঘেরাও করেন এবং নতুন উপাচার্য নিযুক্ত হওয়ায় তাকে নিয়ম অনুযায়ী শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করার কথা বলেন।

তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিএসএমএমইউতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা ছিল। বিদায়ের আগের শেষ দুই সপ্তাহ উপাচার্য ডা. শারফুদ্দিন পুলিশ পাহারায় অফিস করেছেন। তখন বিরোধী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বাধার কারণে অনেক চেষ্টা করেও সিন্ডিকেট সভা করতে পারেননি তিনি। তবে সিন্ডিকেট সভা করতে ব্যর্থ হলেও এবং বাইরে আন্দোলন চললেও উপাচার্য ও তার অনুগতরা পুলিশ পাহারায় এক দিনে ৪৭টি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ১ হাজার ১ জনের চাকরি স্থায়ী করেন।

অভিযোগ রয়েছে, চাকরি স্থায়ী হওয়া এ কর্মচারীরা অধ্যাপক শারফুদ্দিনের আমলে বিভিন্ন সময়ে নিয়োগ পান। নিয়োগের সময় তাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১০-১৮ লাখ টাকা নেওয়া হয়। আবার তাদের চাকরি স্থায়ী করতেও জনপ্রতি ১-২ লাখ টাকা নেয় উপাচার্য শারফুদ্দিনের ঘনিষ্ঠ লোকেরা। চাকরি স্থায়ীকরণে ১০-১৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। ঘুষ নিয়ে কর্মচারীদের চাকরি দেওয়া ও চাকরি স্থায়ীকরণে অধ্যাপক শারফুদ্দিন বেশ চাপে ছিলেন। তিনি ভেবে রেখেছিলেন আবার উপাচার্যের দায়িত্ব পেলে ধাপে ধাপে চাকরি স্থায়ী করবেন।

উপাচার্য হিসেবে আবার নিয়োগ পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা যখন দেখলেন না তখন তিনি চাকরি স্থায়ীকরণে মরিয়া হয়ে ওঠেন। দেশের ইতিহাসে এক দিনে হাজারের বেশি চাকরি স্থায়ী করার ঘটনা নজিরবিহীন।

বিএসএমএমইউর উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হকের নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি হয় গত ১১ মার্চ। এরপরই বিদায়ী উপাচার্য তড়িঘড়ি করে ১ হাজার ১ জনের চাকরি স্থায়ী করার প্রজ্ঞাপন জারি করান।

নয়াদিগন্ত:

বিদ্যুতের ভর্তুকি ও ক্যাপাসিটি চার্জে আইএমএফের উদ্বেগ
গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ পরিশোধ করতে হয়েছে ২৬ হাজার কোটি টাকা। আগের অর্থবছরে ক্যাপাসিটি চার্জ ছিল ১৬ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। এক বছরে ক্যাপাসিটি চার্জ বেড়েছে ৫৬ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে ক্যাপাসিটি চার্জ বেড়ে ৩০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এমনি পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের ভর্তুকি ও বসে থাকা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর ক্যাপাসিটি চার্জ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ। সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল বিদ্যুৎ বিভাগ, জ্বালানি বিভাগ ও পেট্রোবাংলার সাথে গতকাল পৃথক পৃথক বৈঠকে এ উদ্বেগ জানিয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত এমন এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গতকাল সকাল ১০টার পরে প্রথমে বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে বৈঠক করে আইএমএফ প্রতিনিধিদল। এ সময় আইএমএফ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির গবেষণা বিভাগের উন্নয়ন সামষ্টিক অর্থনীতি শাখার প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওয়। আর বিদ্যুৎ বিভাগের নেতৃত্বে ছিলেন সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমান। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আইএমএফ প্রতিনিধিদল বর্তমানে বিদ্যুৎ খাতের ভর্তুকির বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে। এ সময় তারা বিদ্যুতের ক্যাপাসিটি চার্জ নিয়েও জানতে চায়। বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে এই দুটি বিষয় নিয়ে জানানোর পর আইএমএফ প্রতিনিধিরা উদ্বেগ জানায়। পরে জ্বালানি বিভাগের সাথে পৃথক বৈঠক করে আইএমএফ প্রতিনিধিদল। তবে বৈঠকে জ্বালানি সচিব উপস্থিত ছিলেন না। বৈঠকে অংশ নেয়া এক কর্মকর্তা জানান, বৈঠকে আগেই জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করে মূল্য সমন্বয় করায় সরকারের প্রশংসা করে আইএমএফ প্রতিনিধিদল।
এ দিকে, বিকেলে পেট্রোবাংলার সাথে বৈঠকে সম্প্রতি জ্বালানি বিশেষ করে এলএনজি আমদানি এবং দেশের ভেতর কাজ করা আন্তর্জাতিক তেল-গ্যাস কোম্পানির বকেয়া পরিশোধ করতে না পারার কারণ জানতে চায় আইএমএফ। পেট্রোবাংলা থেকে ডলার সঙ্কটের কথা জানানো হয়। বৈঠকে পেট্রোবাংলা প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান।

বছরে ক্যাপাসিটি চার্জ আসলে কত : বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতিবেদন অনুসারে বিদায়ী গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ৮৭ হাজার ২৪ মিলিয়ন কিলোওয়াট ঘণ্টা। সরকারি, বেসরকারি ও ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো থেকে এ পরিমাণ বিদ্যুৎ কিনতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) ব্যয় হয়েছে প্রায় ৯৫ হাজার ৩২ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ পরিশোধ করতে হয়েছে ২৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে বিদ্যুতের উৎপাদন ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় বেড়েছে প্রায় ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। এ সময় ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ ব্যয় বেড়েছে ৫৬ শতাংশ। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতায় যুক্ত হতে যাচ্ছে আরো অন্তত প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মেগাওয়াট। এর মধ্যে কয়লা ও গ্যাসভিত্তিক বৃহৎ বিদ্যুৎ কেন্দ্রও রয়েছে। মোট সক্ষমতায় এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র যুক্ত হলে চলতি অর্থবছরে ক্যাপাসিটি চার্জ বেড়ে ৩০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা খাতসংশ্লিষ্টদের। বিদ্যুৎ বিভাগ ও বিপিডিবি সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎ ক্রয়ে গত অর্থবছর বিপিডিবির ব্যয় ছিল ৯৫ হাজার ৩১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভাড়া বা ক্যাপাসিটি চার্জ ছিল ২৬ হাজার ২০০ কোটি টাকার মতো (প্রাক্কলিত)। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিদ্যুৎ ক্রয়ে বিপিডিবির ব্যয় হয়েছিল ৭১ হাজার ৪৯৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা। ওই অর্থবছরে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জ ছিল ১৬ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক অর্থবছরের ব্যবধানে সংস্থাটির ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ ব্যয় বেড়েছে ৫৬ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে বেসরকারি ও ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পেছনে সবচেয়ে বেশি অর্থ গুনতে হয়েছে বিপিডিবিকে। গত অর্থবছরে বিপিডিবি বেসরকারি (আইপিপি) ও ভাড়াভিত্তিক কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনেছে ৩৪ হাজার ২৫৩ মিলিয়ন কিলোওয়াট ঘণ্টা। এতে সংস্থাটির অর্থ ব্যয় হয়েছে ৬২ হাজার ৭৬৭ কোটি টাকা। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে এ বিদ্যুৎ কেনার পরিমাণ ছিল ৪০ হাজার ১৭৪ মিলিয়ন কিলোওয়াট ঘণ্টা। আর অর্থ ব্যয় হয়েছিল ৫২ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। অর্থাৎ এক অর্থবছরের ব্যবধানে আইপিপি ও ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছ থেকে প্রায় ১৫ শতাংশ বিদ্যুৎ কম কেনা হলেও ব্যয় বেড়েছে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি। আইপিপি ও ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো থেকে বিপিডিবির বিদ্যুৎ ক্রয়ে ব্যয় বাড়ায় বিপিডিবির গড় উৎপাদন ব্যয়ও ৮ টাকা ৮৪ পয়সা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৩৩ পয়সায়।

যুগান্তর:

কুরবানি ঈদের দেড় মাস আগেই অস্থির মসলার বাজার
কুরবানির ঈদ আরও দেড় মাস পর। কিন্তু এখনই অসাধু সিন্ডিকেট মসলাপণ্যের দাম বাড়াতে শুরু করেছে। এক মাস আগে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি রসুন ১৩০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ২০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। ৩০০ টাকা কেজি দেশি আদার দাম ৪৫০ টাকা হয়েছে।

এলাচের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০০ টাকা। আর বাজারে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টিতে দেশের শতাধিক ব্যবসায়ীর হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি ‘মার্কেট প্রাইস’ বিক্রি উৎসবে ঈদের আড়াই মাস আগেই মসলা পণ্য কিনতে ঠকছেন প্রায় ১৭ কোটি ভোক্তা। মসলা পণ্যের বাজারে কারা অস্থিরতা সৃষ্টি করে তার একটি প্রতিবেদন গত বছর মন্ত্রণালয়ে যায়।

সেখানে ঢাকা, চট্টগ্রামের ও দু-একটি অঞ্চলের শতাধিক ব্যবসায়ীকে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ কারণে তারা যা খুশি তাই করছে।

সূত্র জানায়, রসুনের শীর্ষ আমদানিকারক ২০টি প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়া পেঁয়াজের শীর্ষ আমদানিকারক একে ট্রেডিং, সুরমা টেপ, মক্কা এন্টারপ্রাইজ, জেনি এন্টারপ্রাইজ ও এনএন এন্টারপ্রাইজ। সবচেয়ে বেশি আদা আমদানি করা চার প্রতিষ্ঠান হচ্ছে-বগুড়ার মিশু ট্রেডিং, ঢাকার ট্রেইটি ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং, বগুড়ার বিকে ট্রেডার্স ও ঢাকার ভাই ভাই বাণিজ্যালয়।

সবচেয়ে বেশি এলাচ আমদানি করে চট্টগ্রামের তিনটি প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি জিরা, দারচিনি, হলুদ, মরিচ ও জয়ত্রী আমদানি করা হয়। এসব পণ্যেরও নিয়ন্ত্রক ঘুরেফিরে ৩০ থেকে ৪০ জন। এছাড়া চট্টগ্রাম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের মার্কেট প্রাইস বিক্রি উৎসবে মসলা পণ্যের দাম আরেক ধাপ বেড়ে যাচ্ছে। পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি পণ্যের যৌক্তিক দাম যা হওয়ার কথা, বাজার নিয়ন্ত্রকরা দুই থেকে তিনগুণ এমনকি চারগুণ বেশি দামে বিক্রি করছেন। ফলে বাজারে অন্য বিক্রেতারাও সেই দাম অনুসরণ করে পণ্য মূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছেন।

চট্টগ্রামের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের বারবার বলার পরও তারা অভিযানকালে রসিদ দেখান না। অভিযানকালে এমনও বিষয় দেখা গেছে, এলাচ আমদানির তথ্য বিশ্লেষণ করলে প্রতি কেজি এলাচ ১৫ শতাংশ মুনাফাসহ বিক্রয়মূল্য হওয়ার কথা ১৬০০-১৭০০ টাকা। কিন্তু বাজারে ২২০০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়।

এতে স্বাভাবিকভাবেই বাজার অস্থির হয়ে ওঠে। বেশি দামে বিক্রির কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা অজুহাত দেন, পণ্যটি এক বছর আগে আনা হয়েছে; গোডাউনে ছিল। এক বছর বিক্রি হয়নি। সেই হিসাব ধরে লাভ করতে দাম বাড়ানো হয়। এছাড়া ‘মার্কেট প্রাইস’ যে দামে থাকে সবাই সেই দামে বিক্রি করে। এটা ভোক্তাদের সঙ্গে তাদের এক ধরনের প্রতারণা। এমন পরিস্থিতিতে আমরা জড়িত ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনছি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর খুচরা বাজারা ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এদিন প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা। যা ১ মাস আগেও ৬০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। যা ১ মাস আগে ১৩০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি শুকনামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ টাকা। যা এক মাস আগে ৩৭০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি হলুদ বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকা; যা এক মাস আগে ৩২০-৩৩০ টাকা ছিল।

খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি আদা ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে; যা এক মাস আগে ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আমদানি করা আদা বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৫০ টাকা; যা এক মাস আগে ২২০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি দারুচিনি ৬২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে; যা এক মাস আগে ৫২০ টাকা ছিল। ছোট দানার এলাচের কেজি সর্বোচ্চ ৩৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে; যা এক মাস আগে ৩৫০০ টাকা ছিল।

এ প্রসঙ্গে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, প্রতিবছর কুরবানির ঈদ আসার আগেই অসাধুরা মসলা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। কারণ কুরবানির ঈদ ঘিরে এই পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে। কয়েকবার অসাধুদের চিহ্নিত করলেও পদক্ষেপ নেওয়া হওয়নি। তাই এখনই পদক্ষেপ না নিলে ঈদের আগেই মূল্য ক্রেতার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।

কাওরান বাজারে মসলা বিক্রেতা মো. ইউনুস বলেন, কুরবানির ঈদ আসলেই আমদানিকারকরা মসলা পণ্যের দাম বাড়াতে থাকে। এবারও তাই হয়েছে। আমরা পাইকারি কিনে খুচরায় বিক্রি করি। পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়লে খুচরায় দাম বাড়ে। তিনি বলেন, দেশে সব ধরনের মসলাপণ্য আমদানি নির্ভর। আর এই বাজার গুটিকয়েক ব্যবসায়ী নিয়ন্ত্রণ করেন। কারা নিয়ন্ত্রণ করেন তা সরকারের সব বিভাগ জানে। তাই সেখানে অভিযান পরিচালনা করলে ক্রেতার স্বস্তি ফিরবে।

দৈনিক সংগ্রাম:

সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার কারণেই আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক বৈঠক সংগঠনের আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নিম্নোক্ত প্রস্তাব গৃহীত হয়।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে, দেশব্যাপী আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। মানুষের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই। প্রশাসনের ছত্রছায়ায় আওয়ামী দলীয় লোকেরা হত্যা, গুম-খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, জমি ও ঘর-বাড়ি দখল, ছিনতাই, ঘুষ-দুর্নীতিসহ হেন কোনো অপরাধ নেই, যা তারা সংঘটিত করছে না। দেশের নাগরিকগণ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। সরকার পুলিশ প্রশাসনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার কারণে পুলিশ অপরাধ নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে রাজনৈতিক কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়ছে।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ গভীর উদ্বেগের সাথে আরও লক্ষ্য করছে যে, দেশে সুশাসন না থাকায় এবং অপরাধের বিচার না হওয়ায় অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি ফরিদপুরের মধুখালীতে একটি মন্দিরে আগুন লাগাকে কেন্দ্র করে কোনো রকম তদন্ত ও প্রমাণ ছাড়াই দুই মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ঘটনার প্রতিবাদে ফরিদপুরে সর্বস্তরের মানুষ মানববন্ধন কর্মসূচি পালনকালে পুলিশ তাদের উপর গুলীবর্ষণ করে। ফলে বহু লোক আহত হয়।

সরকার ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে পুনরায় ক্ষমতা দখল করে নতুন স্টাইলে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করছে। গত এপ্রিল মাসে রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর মহানগরী, নীলফামারী ও রাজশাহী মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৩৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। রাজশাহীর আদালতে জামায়াত নেতৃবৃন্দ হাজিরা দিতে গেলে রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারীসহ ১০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। আদালত অঙ্গন থেকে এ ধরনের গ্রেফতার নজিরবিহীন, ন্যক্কারজনক এবং আদালত অবমাননার শামিল।

মানবজমিন:

ওদের ঘামে রাষ্ট্র বদলায় সংসার বদলায়

মাদারীপুরের চরলক্ষ্মীপুরের মাহাবুবুল ইসলাম। পরিবার নিয়ে টিনের ঘরে বসবাস করতেন। কৃষক বাবার আয়েই চলতো পুরো পরিবার। দারিদ্র্যতার কারণে লেখাপড়ায় বেশিদূর যেতে পারেননি মাহাবুবুল। স্বপ্ন দেখেছিলেন ভাগ্যের চাকা ঘুরানোর। স্বপ্ন পূরণে জীবনকে ঠেলে দিয়েছিলেন এক অজানা গন্তব্যে। গোছানো অর্থ আর জমিজমা বিক্রি করে ইউরোপ যেতে বেছে নিয়েছিলেন ভূমধ্যসাগারের ভয়ঙ্কর পথ। মাহাবুবুল জানিয়েছেন, শুরুতে ভিসা করে ঢাকা থেকে লিবিয়া গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে সাগর পথে ইতালির জন্য রওনা দেন। যাত্রাপথে ধরা পড়েছেন পুলিশের হাতে।

একমাস জেলও খেটেছেন। হয়েছেন নির্যাতনের শিকার। পরে দালালের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা খরচ করে জেল থেকে ছাড়া পান। একবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দেশে ফেরার। কিন্তু পরিবারের দিকে তাকিয়ে পারেননি। ফের সাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যান। বর্তমানে মাহাবুবুলের কর্মসংস্থান দেশটির আরবিনো শহরে। তীব্র গরমে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করছেন তিনি। মা-বাবার মুখে হাসি দেখার জন্যই তার এই পরিশ্রম।

ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রতিমাসে এক থেকে দেড় লাখ টাকা রেমিট্যান্স পাঠান মাহাবুবুল। সেই টাকায় দেশে স্বাচ্ছন্দে চলে তার পরিবার। মাহাবুবুলের মতো লাখ লাখ মানুষ কর্মসংস্থানের জন্য প্রবাস জীবন বেছে নিয়েছেন। দেশে পাঠাচ্ছেন মিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স। দেশের পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রাখছেন এই রেমিট্যান্স যোদ্ধারা।

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, গত দুই দশকে বিদেশে মোট কর্মসংস্থান হয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ ২৪ হাজার মানুষের। তাদের মাধ্যমে এই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে ২ লাখ ৬৯ হাজার ২৮ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিএমইটি’র তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০০৪ সাল থেকে বিদেশে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থান বাড়তে শুরু করে। একই সময় থেকে বাড়তে থাকে প্রবাসী আয়ও। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিদেশে কর্মসংস্থানের নজির ভিন্নমাত্রায় নিয়ে যায়। ২০০৭ ও ২০০৮ সালে আগের বছরগুলোর চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি মানুষের বিদেশে কর্মসংস্থান হয়। বছর দু’টিতে যথাক্রমে ৮ লাখ ৩২ হাজার ৬০৯ জন ও ৮ লাখ ৭৫ হাজার ৫৫ জনের কর্মসংস্থান হয় বিভিন্ন দেশে। এরপরের দুই বছর আবার অর্ধেকের নিচে নামে বিদেশে কর্মসংস্থানের সংখ্যা। ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে বিদেশে কর্মসংস্থানে বড় ধাক্কা খায়। বছরটিতে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৬৯ জনের বিদেশে কর্মসংস্থান হয়। তবে এরপরের বছরগুলোতে ফের ধারাবাহিক বাড়তে থাকে বিদেশে কর্মসংস্থানের সংখ্যা। বিশেষ করে গেল দু’বছর অর্থাৎ ২০২২ ও ২০২৩ সালে বিদেশে যথাক্রমে ১১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৭৩ জন ও ১৩ লাখ ৫ হাজার ৪৫৩ জন বাংলাদেশির বিদেশে কর্মসংস্থান হয়।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নতিতে বিদেশে কর্মসংস্থান নেয়া রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা রয়েছে। তাদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রায় ভর করে সরকারের আমদানি ব্যয় মেটানো ও বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে বড় ভূমিকা রাখে। অবশ্য ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স আসায় এই ভূমিকা বিস্তারের ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা হিসেবেও দেখছেন অর্থনীতিবিদরা।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

রহস্যঘেরা মিল্টন সমাদ্দার
বের হচ্ছে ভয়ংকর সব তথ্য, কিডনি-অঙ্গ পাচারের অভিযোগ, রাতের আঁধারে দাফন, হদিস নেই ৮৩৫ লাশের, মৃত্যুসনদ বানাতেন নিজেইমানবিক মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর সব অপকর্মের অভিযোগ ওঠায় মিল্টন সমাদ্দারকে ঘিরে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। অসহায় মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার নামে তাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি করা, ৮৩৫টি লাশের কোনো হদিস না পাওয়া, আশ্রমে টর্চার সেলের সন্ধানসহ গা শিউরে ওঠার মতো আরও সব অপরাধের খবরে হতবাক পুলিশ ও গোয়েন্দারা।

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান এই মিল্টন সমাদ্দারের সব রহস্য উদঘাটনে গোয়েন্দারা এখন মাঠে। মিল্টনকে গতকাল তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। এর আগে গত বুধবার রাতে রাজধানীর মিরপুর থেকে মিল্টনকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করে। রাতেই তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়।

গোয়েন্দা পুলিশ প্রধান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অজস্র অভিযোগ। রাতের আঁধারে লাশ দাফন করতেন। সিটি করপোরেশনের মৃত্যুসনদও নিজেই তৈরি করতেন। এভাবে রাতের আঁধারে প্রায় ৯০০ লাশ দাফনের ভুয়া মৃত্যুসনদ নিজেই তৈরি করেছেন। এমন ভুয়া সিলসহ কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মিল্টন কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তার স্ত্রীকেও ডাকা হবে। কেউ যদি তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করে তাহলে তাকেও গ্রেফতার করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, তার বাড়ি বরিশালের উজিরপুরে। তিনি তার বাবাকে পেটানোর কারণে এলাকাবাসী তাকে এলাকাছাড়া করে। এরপর ঢাকায় চলে আসেন। তিনি বলেন, মিল্টন ঢাকায় এসে শাহবাগের একটি ফার্মেসিতে কাজ শুরু করেন। সেখানে ওষুধ চুরি করে বিক্রির কারণে মিল্টনকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর একজন নার্সকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ স্থাপনের জন্য স্ত্রীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেন।