আজ ৭ অক্টোবর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ৭১ তম জন্মদিন। ৭ অক্টোবর ১৯৫২ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের লেনিনগ্রাদে জন্মগ্রহণ করেন পুতিন। ভ্লাদিমির স্পিরিডোনোভিচ পুতিন এবং মারিয়া ইভানোভনা পুতিনার তিন সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে ছোট তিনি।
আইন শাস্ত্র পড়াশুনা করা পুতিন বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করেই তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবিতে যোগ দেন। তিনি তৎকালীন পূর্ব জার্মানিতে কেজিবির গোয়েন্দা হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৯৭ সালে বরিস ইয়েলেৎসিন যখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট তখন ভ্লাদিমির পুতিন ক্রেমলিনে আসেন এবং তাকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সার্ভিসের প্রধান হিসেবে নিয়োগ করা করা হয়। কেজিবির পরবর্তী সময়ে এ সংস্থাটি গঠন করা হয়েছিল। ১৯৯৯ সালে নতুন বছরের প্রাক্কালে ইয়েলেৎসিন প্রেসিডেন্টের পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং ভ্লাদিমির পুতিনকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেন। ২০০০ সালের মার্চ মাসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুতিন জয়লাভ করেন। ২০০৪ সালেও তিনি দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয়লাভ করেন। কিন্তু রাশিয়ার সংবিধান অনুযায়ী কোন ব্যক্তি পরপর তৃতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল।
তখন পুতিন প্রেসিডেন্ট পদে অংশগ্রহণ না করে প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচন করেন। ২০১২ সালে তিনি তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করেন। ২০১৩ সালে পুতিনের সঙ্গে তার স্ত্রীর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তাদের ৩০ বছরের দাম্পত্য জীবন ছিল। তার স্ত্রীর অভিযোগ ছিল, পুতিন শুধুই কাজের মধ্যে ডুবে থাকতেন।
কাজই ছিল তার নেশা। তার ছোট মেয়ে মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রশাসনে উচ্চপদে চাকরী করেন। অন্যদিকে বড় মেয়ে একজন শিক্ষাবিদ। এ বছর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবেও ২০তম জন্মদিন পালন করবেন পুতিন। রাশিয়ায় ৭ অক্টোবর সাপ্তাহিক ছুটির দিন। তবে পুতিনরে জন্য আজ কার্যদিবস। কারণ আজ কাজাখস্তান হয়ে উজবেকিস্তানে রুশ গ্যাস সরবরাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে যোগ দেবেন। গতকার শুক্রবার পুতিন বলেন, ‘দেশের ইতিহাসে প্রথম গ্যাস পাইপলাইণের মাধ্যমে গ্যাস রপ্তানি করা হবে। কারণ রাশিয়ান গ্যাস কখনও মধ্য এশিয়ার দিকে পাম্প করা হয়নি।’