ঢাকা ০৩:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo তারেক রহমান যেদিন দেশে আসবেন, জনতার ভূমিকম্প হবে: বরকতউল্লাহ বুলু Logo মানসিক ভারসাম্য হারিয়েও ভুলেনি কুরআনের আয়াত Logo কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির অভিযোগ বাক্সে ১০দিনে ৯ অভিযোগ Logo ভোলাগঞ্জ থেকে লুট হওয়া ২৫ লাখ ঘনফুট সাদা পাথর উদ্ধার Logo রোহিঙ্গাদের সমস্যা সমাধানের জন্য ৭ দফা প্রস্তাব ঘোষণা ড. ইউনূসের Logo কুষ্টিয়া শহর জামায়াতের উদ্যোগে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রদান Logo মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে হোস্টেল ফি কমানোর দাবিতে ছাত্রশিবিরের স্মারকলিপি Logo টানা ৮ ঘণ্টা অবরুদ্ধ জবি ভিসি , দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে শিক্ষার্থীরা Logo চট্টগ্রাম বন্দরে ৪১ শতাংশ মাশুল বৃদ্ধি Logo টঙ্গীতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ

যুক্তরাষ্ট্রকে একগুচ্ছ প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে জবাব চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৯:৪৬:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
  • 210

যুক্তরাষ্ট্রকে একগুচ্ছ প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে জবাব চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর প্রতিবেদন প্রকাশ করে, কিন্তু তারা নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে দেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো উল্লেখ করে তিনি মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কাছে এর জবাব চেয়েছেন। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকের আগে দেওয়া বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনে গণহত্যার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। এখানে আন্দোলন করার সময়ে একজন মহিলা প্রফেসর বলছেন, আমি ভার্সিটির প্রফেসর। পুলিশ যেভাবে তাকে ধরে হাতমোড়া দিয়ে মাটিতে ফেলে হাঁটু দিয়ে চেপে তাকে অ্যারেস্ট করেছে! সেখানে ছাত্র-শিক্ষকদের হাতে লাঠিও ছিল না, আগুনও ছিল না। তারা কিন্তু পুলিশের বিরুদ্ধে মারমুখীও ছিল না। তারপরও আমেরিকার পুলিশ যে আক্রমণ করেছে, এতে সেই দেশে মানবাধিকার যে কতটুকু আছে, সেটি প্রশ্ন? কথা বলার স্বাধীনতা কতটুকু আছে, সেটি প্রশ্ন? অন্যায়ের প্রতিবাদ করার অধিকার কতটুকু আছে, সেটি আমাদের প্রশ্ন?

‘বাংলাদেশের ওপর মানবাধিকারের রিপোর্ট লেখে, কিন্তু নিজেদের চেহারাটা আয়নায় দেখে না। তারা যেভাবে আচরণ করে, আমাদের পুলিশ তো সেভাবে করেনি। ধৈর্যের পরিচয় দিতে গিয়ে উল্টো পুলিশ বিএনপির হাতে মার খেয়েছে। উল্টো তারা পুলিশকে যেভাবে মাটিতে ফেলে পিটিয়েছে, এভাবে আমেরিকায় যদি একটা পুলিশের গায়ে কোনো দলের লোক হাত দিতো, তারা কী করত?’

আমেরিকায় বাঙালি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলো উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বাঙালি পরপর কতজন মারা গেছে। সেদিনও দুজন বাঙালিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। তারা সেখানে গেছে জীবিকার জন্য। তাদেরকে এভাবে কেন হত্যা করা হবে? তারা তো কোনো অপরাধ করেনি। ছোট বাচ্চা ছেলেরা পর্যন্ত তাদের হাত থেকে রেহাই পায় না।

‘ছোট একটা শিশু, সে প্রেসিডেন্টকে কী বলেছে, এজন্য তাকে ঘরে ঢুকে গুলি করে মেরেছে। বাড়ির ভেতর ঢুকে সেই বাচ্চাকে গুলি করে মেরেছে। কী জবাব দেবে? আমাদের যারা মানবাধিকারের গীত গায় এবং বাংলাদেশে মানবাধিকার খুঁজে বেড়ায়, তারা এর কী জবাব দেবে? আমি জবাব চাই, সেই মানবাধিকার সংস্থা, জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট এবং যারা আমাদের ওপর খবরদারি করে, তাদের কাছে। আমি জবাব চাই যে, আমার বাঙালি কেন মারা যাবে?’

তিনি বলেন, ‘অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু মায়ের কোল থেকে নিয়ে তাকে হত্যা করা, প্রফেসরদের ওপর জুলুম করা, পুলিশ মহিলা প্রফেসরকে যেভাবে মাটিতে ফেলে হাতকড়া পরিয়েছে, এর জবাব আমরা চাই। এটা তো সম্পূর্ণ মানবাধিকার লঙ্ঘন।

জনপ্রিয় সংবাদ

তারেক রহমান যেদিন দেশে আসবেন, জনতার ভূমিকম্প হবে: বরকতউল্লাহ বুলু

যুক্তরাষ্ট্রকে একগুচ্ছ প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে জবাব চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৯:৪৬:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর প্রতিবেদন প্রকাশ করে, কিন্তু তারা নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে দেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো উল্লেখ করে তিনি মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কাছে এর জবাব চেয়েছেন। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকের আগে দেওয়া বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনে গণহত্যার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। এখানে আন্দোলন করার সময়ে একজন মহিলা প্রফেসর বলছেন, আমি ভার্সিটির প্রফেসর। পুলিশ যেভাবে তাকে ধরে হাতমোড়া দিয়ে মাটিতে ফেলে হাঁটু দিয়ে চেপে তাকে অ্যারেস্ট করেছে! সেখানে ছাত্র-শিক্ষকদের হাতে লাঠিও ছিল না, আগুনও ছিল না। তারা কিন্তু পুলিশের বিরুদ্ধে মারমুখীও ছিল না। তারপরও আমেরিকার পুলিশ যে আক্রমণ করেছে, এতে সেই দেশে মানবাধিকার যে কতটুকু আছে, সেটি প্রশ্ন? কথা বলার স্বাধীনতা কতটুকু আছে, সেটি প্রশ্ন? অন্যায়ের প্রতিবাদ করার অধিকার কতটুকু আছে, সেটি আমাদের প্রশ্ন?

‘বাংলাদেশের ওপর মানবাধিকারের রিপোর্ট লেখে, কিন্তু নিজেদের চেহারাটা আয়নায় দেখে না। তারা যেভাবে আচরণ করে, আমাদের পুলিশ তো সেভাবে করেনি। ধৈর্যের পরিচয় দিতে গিয়ে উল্টো পুলিশ বিএনপির হাতে মার খেয়েছে। উল্টো তারা পুলিশকে যেভাবে মাটিতে ফেলে পিটিয়েছে, এভাবে আমেরিকায় যদি একটা পুলিশের গায়ে কোনো দলের লোক হাত দিতো, তারা কী করত?’

আমেরিকায় বাঙালি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলো উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বাঙালি পরপর কতজন মারা গেছে। সেদিনও দুজন বাঙালিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। তারা সেখানে গেছে জীবিকার জন্য। তাদেরকে এভাবে কেন হত্যা করা হবে? তারা তো কোনো অপরাধ করেনি। ছোট বাচ্চা ছেলেরা পর্যন্ত তাদের হাত থেকে রেহাই পায় না।

‘ছোট একটা শিশু, সে প্রেসিডেন্টকে কী বলেছে, এজন্য তাকে ঘরে ঢুকে গুলি করে মেরেছে। বাড়ির ভেতর ঢুকে সেই বাচ্চাকে গুলি করে মেরেছে। কী জবাব দেবে? আমাদের যারা মানবাধিকারের গীত গায় এবং বাংলাদেশে মানবাধিকার খুঁজে বেড়ায়, তারা এর কী জবাব দেবে? আমি জবাব চাই, সেই মানবাধিকার সংস্থা, জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট এবং যারা আমাদের ওপর খবরদারি করে, তাদের কাছে। আমি জবাব চাই যে, আমার বাঙালি কেন মারা যাবে?’

তিনি বলেন, ‘অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু মায়ের কোল থেকে নিয়ে তাকে হত্যা করা, প্রফেসরদের ওপর জুলুম করা, পুলিশ মহিলা প্রফেসরকে যেভাবে মাটিতে ফেলে হাতকড়া পরিয়েছে, এর জবাব আমরা চাই। এটা তো সম্পূর্ণ মানবাধিকার লঙ্ঘন।