ঢাকা ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিসকা’র অনুমতি দেয়নি ঢাবি কর্তৃপক্ষ

তীব্র দাবদাহে ঢাকাসহ সারা দেশের মানুষ অস্বস্তিতে রয়েছে। বিশেষত ঢাকায় প্রায় প্রতিদিনই তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি স্পর্শ করছে। আর তা থেকে মুক্তি পেতে ‘বৃষ্টির জন্য নামাজ’ বা ‘সালাতুল ইসতিসকা’র মাধ্যমে দোয়ার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের একদল শিক্ষার্থী। তবে খোলা মাঠে তীব্র গরমের মধ্যে নামাজের অনুমতি দেয়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক মো. ইমাউল হক সরকার টিটু তাদের নামাজ পড়তে নিষেধ করেন।

এ বিষয়ে সালাতুল ইসতিসকার আয়োজক ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী এ বি জোবায়ের বলেন, আমরা তীব্র গরমে আল্লাহর কাছে নামাজের মাধ্যমে বৃষ্টি প্রাপ্তির জন্য ‘সালাতুল ইসতিসকা’র আয়োজন করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু তখনও আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অনুমতি নিইনি। পরে রাতে আমাকে সহকারী প্রক্টর স্যার কল দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে ডেকে নেন এবং অনুমতি ছাড়া নামাজের ব্যবস্থার বিষয়ে জানতে চান। এসময় আমরা স্যারকে বলি, স্যার আমরা যেহেতু আয়োজন করেই ফেলেছি আমাদের অনুমতি দেন প্লিজ। তবে অনুমতি ছাড়া এ আয়োজনের প্রচার করায় স্যার আমাদের অনুমতি দেননি।

তিনি বলেন, স্যার আমাদের বলেন, তীব্র দাবদাহ চলছে। তীব্র গরমের জন্য ক্লাস অনলাইনে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে খোলা মাঠে নামাজ পড়া যাবে না। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের অনুমতি দেয়নি, তাই আমরা বিষয়টি থেকে সরে আসি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক মো. ইমাউল হক সরকার টিটু বলেন, এমন একটা জমায়েত করতে চাইলে সাধারণত প্রক্টরিয়াল বডির কাছে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তা না করেই প্রচার-প্রচারণা চালাতে থাকে। এজন্য আমি তাদের ডেকে বলি তোমরা নিয়ম মেনে অনুমতিপত্র জমা দিয়ে অনুমতি পেলে তারপর নামাজ পড়তে পার। পরে তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে কর্মসূচি স্থগিত করেছে।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে এ বি জোবায়ের এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, বৃষ্টি প্রার্থনায় সালাতুল ইসতিসকা আদায় করা সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। তীব্র দাবদাহ থেকে বাঁচতে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বুধবার বেলা ১১টায় মুহসিন হলের মাঠে সালাতুল ইসতিসকা আদায় করা হবে ইনশাআল্লাহ। সবাইকে অংশগ্রহণ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

পরে রাত ১২টার দিকে আরেকটি ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, সালাতুল ইসতিসকা আদায় সাময়িক স্থগিত করা হলো। আগামীকালের (বুধবার) অনুষ্ঠাতব্য সালাতুল ইসতিসকার ব্যাপারে কথা বলার জন্য কিছুক্ষণ আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আমাদের ডেকে পাঠায়। তীব্র দাবদাহ চলমান থাকায় এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের খোলা মাঠে সালাতুল ইসতিসকা আদায়ের অনুমতি দেয়নি। পরবর্তীতে সময়সূচি জানিয়ে দেওয়া হবে। সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত, ধন্যবাদ।

জনপ্রিয় সংবাদ

বগুড়ায় কনসার্ট দেখতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিসকা’র অনুমতি দেয়নি ঢাবি কর্তৃপক্ষ

আপডেট সময় ০২:৩২:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

তীব্র দাবদাহে ঢাকাসহ সারা দেশের মানুষ অস্বস্তিতে রয়েছে। বিশেষত ঢাকায় প্রায় প্রতিদিনই তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি স্পর্শ করছে। আর তা থেকে মুক্তি পেতে ‘বৃষ্টির জন্য নামাজ’ বা ‘সালাতুল ইসতিসকা’র মাধ্যমে দোয়ার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের একদল শিক্ষার্থী। তবে খোলা মাঠে তীব্র গরমের মধ্যে নামাজের অনুমতি দেয়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক মো. ইমাউল হক সরকার টিটু তাদের নামাজ পড়তে নিষেধ করেন।

এ বিষয়ে সালাতুল ইসতিসকার আয়োজক ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী এ বি জোবায়ের বলেন, আমরা তীব্র গরমে আল্লাহর কাছে নামাজের মাধ্যমে বৃষ্টি প্রাপ্তির জন্য ‘সালাতুল ইসতিসকা’র আয়োজন করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু তখনও আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অনুমতি নিইনি। পরে রাতে আমাকে সহকারী প্রক্টর স্যার কল দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে ডেকে নেন এবং অনুমতি ছাড়া নামাজের ব্যবস্থার বিষয়ে জানতে চান। এসময় আমরা স্যারকে বলি, স্যার আমরা যেহেতু আয়োজন করেই ফেলেছি আমাদের অনুমতি দেন প্লিজ। তবে অনুমতি ছাড়া এ আয়োজনের প্রচার করায় স্যার আমাদের অনুমতি দেননি।

তিনি বলেন, স্যার আমাদের বলেন, তীব্র দাবদাহ চলছে। তীব্র গরমের জন্য ক্লাস অনলাইনে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে খোলা মাঠে নামাজ পড়া যাবে না। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের অনুমতি দেয়নি, তাই আমরা বিষয়টি থেকে সরে আসি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক মো. ইমাউল হক সরকার টিটু বলেন, এমন একটা জমায়েত করতে চাইলে সাধারণত প্রক্টরিয়াল বডির কাছে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তা না করেই প্রচার-প্রচারণা চালাতে থাকে। এজন্য আমি তাদের ডেকে বলি তোমরা নিয়ম মেনে অনুমতিপত্র জমা দিয়ে অনুমতি পেলে তারপর নামাজ পড়তে পার। পরে তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে কর্মসূচি স্থগিত করেছে।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে এ বি জোবায়ের এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, বৃষ্টি প্রার্থনায় সালাতুল ইসতিসকা আদায় করা সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। তীব্র দাবদাহ থেকে বাঁচতে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বুধবার বেলা ১১টায় মুহসিন হলের মাঠে সালাতুল ইসতিসকা আদায় করা হবে ইনশাআল্লাহ। সবাইকে অংশগ্রহণ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

পরে রাত ১২টার দিকে আরেকটি ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, সালাতুল ইসতিসকা আদায় সাময়িক স্থগিত করা হলো। আগামীকালের (বুধবার) অনুষ্ঠাতব্য সালাতুল ইসতিসকার ব্যাপারে কথা বলার জন্য কিছুক্ষণ আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আমাদের ডেকে পাঠায়। তীব্র দাবদাহ চলমান থাকায় এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের খোলা মাঠে সালাতুল ইসতিসকা আদায়ের অনুমতি দেয়নি। পরবর্তীতে সময়সূচি জানিয়ে দেওয়া হবে। সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত, ধন্যবাদ।