এতদিন মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক সংঘাতের বিষয়টি ছিল কেবল ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া বনাম ইসরায়েল ও তাদের পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে ‘টিট-ফর ট্যাট’ হামলা। তবে ইসরায়েলে ইরানের নজিরবিহীন হামলার পর এবারে তা রূপ নিলো বড় আকারের যুদ্ধে।
বলা হচ্ছে, ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ’ নামের এই অভিযানের মাধ্যমে ইরান কী করতে পারে, তার সামান্য নমুনা দেখালো মাত্র। শুধু তাই নয়, ইসরায়েলের পাল্টা হামলা মোকাবিলারও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে তারা।
এদিকে, ইসরায়েলের হয়ে হামলা মোকাবিলায় ঢাল হয়ে দাঁড়ানোর ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের। যাতে প্রক্সি খেলার খোলস ছেড়ে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান, এমন শঙ্কা বিশ্লেষকদের। এই সুযোগে গাজায় তার কৌশলগত লক্ষ্যে অর্জনে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সুবিধা আদায় করে নিতে পারে নেতানিয়াহু প্রশাসন। এমনকি রাফাহতে সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ওপর যে চাপ ছিল, তাও তুলে নিতে পারে বাইডেন প্রশাসন। যাতে আবারও বলির পাঠা হতে পারে অসহায় ফিলিস্তিনিরা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বঅর্থনীতি অনেকটাই জটিলতার মুখে পড়েছে। এদিকে গাজায় ইসরায়েলী আগ্রসন অমানবিকতার সীমা অতিক্রম করেছে। এরমধ্যে আর একটি যুদ্ধ বিশ্বের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না।
বলা হচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যে বড় আকারের যুদ্ধ হলে তার ফল ভোগ করতে হবে গোটা বিশ্বকেই। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক দাম বাড়াসহ হুমকির মুখে পড়তে পারে বিশ্ববাণিজ্য। জ্বালানি সংকটের প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশেও। সেই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো অস্থিতিশীল হয়ে পড়লে কর্মসংস্থানের অভাবে কমে যেতে পারে প্রবাসী আয়।
এরমধ্যে জাতীসংঘের মহাসচিব মন্তব্য করেছেন, আর একটি যুদ্ধের ভার বহণ করার ক্ষমতা নেই বর্তমান বিশ্বের। তিনি সব পক্ষকে শান্ত থাকার আহবান জানিয়েছেন।