ঢাকা ০৯:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এমন ঘটনা এই প্রথম

ঈদের মাঝেই বাংলাদেশের বুকে ঘটে গেলো নজিরবিহীন একটি ঘটনা

ঈদের ছুটির সময় যখন বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ তাদের প্রিয়জনের সাথে পারিবারিক বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছিলো, তখন একটি অভূতপূর্ব এবং গোপনীয় ঘটনা ঘটে যায় দেশের বুকে। প্রথমবারের মতো ২৪,১১৫ ঘনফুট বা ১০৮ গ্রস মেট্রিক টন কার্গো বহন করতে সক্ষম দুটি বোয়িং ৭৪৭-৪০০ বিসিএফ বিমান ইসরায়েলের তেল আবিবের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ন্যাশনাল এয়ার কার্গো ইনকর্পোরেটেড ইউএসএ দ্বারা নিবন্ধিত ও পরিচালিত পণ্যসম্ভার বিমানটি (ফ্লাইট নম্বর N8806) ৭ এপ্রিল ১৯২৩ ঘন্টা উড়ে তেল আবিব থেকে ঢাকায় অবতরণ করে এবং একই দিনে ঢাকা থেকে ছেড়ে যায়।
ফ্লাইট নম্বর N8848 (NCR848) এর অধীনে একই কোম্পানির দ্বারা পরিচালিত দ্বিতীয় ফ্লাইটটি ১৯৫৪ ঘন্টা উড়ে ১১ এপ্রিল সরাসরি তেল আবিব থেকে ঢাকায় আসে এবং ১২ এপ্রিল ঢাকা ছেড়ে যায়। যদিও দুটি ফ্লাইটই সরাসরি তেল আবিব থেকে ঢাকায় এসেছিল, তারা বাংলাদেশ থেকে রওনা হওয়ার পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ বিমানবন্দরে তাদের পরবর্তী স্টপেজ করে ।

যদিও বাংলাদেশ ও ইসরায়েলের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, এবং বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরাইলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না, সাম্প্রতিক অতীতে অনুসন্ধানকারী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে বাংলাদেশ ইসরায়েলের কাছ থেকে উন্নত নজরদারি সরঞ্জাম এবং স্পাইওয়্যার সংগ্রহ করেছে। এই প্রতিবেদনে আরো অভিযোগ করা হয়েছে যে বাংলাদেশী সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন এবং বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে জড়িত। তবে এর আগে ইসরায়েল থেকে বাংলাদেশে সরাসরি ফ্লাইটের কোনো নজির নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত মন্তব্য করেছেন যে , জরুরী অবতরণ ছাড়া বাংলাদেশে পণ্য বহনকারী ইসরায়েল ফ্লাইটের অবতরণ একটি নজিরবিহীন ঘটনা। কারণ দুদেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই এবং বাংলাদেশ ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেয় না।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের নিন্দা করেছেন ।তিনি একাধিকবার প্রকাশ্যে ইসরায়েলের সমালোচনা করে বলেছেন -‘ইসরায়েল আক্ষরিক অর্থে ফিলিস্তিনে গণহত্যা করছে। ‘আজ অবধি, ইসরায়েলি হামলায় ৩৩,০০০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে, যার মধ্যে ২৫,০০০ নারী ও শিশু। বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, দুটি ফ্লাইটের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে তারা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ।

তথ্যসূত্র মানবজমিন

জনপ্রিয় সংবাদ

এমন ঘটনা এই প্রথম

ঈদের মাঝেই বাংলাদেশের বুকে ঘটে গেলো নজিরবিহীন একটি ঘটনা

আপডেট সময় ১০:৪৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪

ঈদের ছুটির সময় যখন বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ তাদের প্রিয়জনের সাথে পারিবারিক বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছিলো, তখন একটি অভূতপূর্ব এবং গোপনীয় ঘটনা ঘটে যায় দেশের বুকে। প্রথমবারের মতো ২৪,১১৫ ঘনফুট বা ১০৮ গ্রস মেট্রিক টন কার্গো বহন করতে সক্ষম দুটি বোয়িং ৭৪৭-৪০০ বিসিএফ বিমান ইসরায়েলের তেল আবিবের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ন্যাশনাল এয়ার কার্গো ইনকর্পোরেটেড ইউএসএ দ্বারা নিবন্ধিত ও পরিচালিত পণ্যসম্ভার বিমানটি (ফ্লাইট নম্বর N8806) ৭ এপ্রিল ১৯২৩ ঘন্টা উড়ে তেল আবিব থেকে ঢাকায় অবতরণ করে এবং একই দিনে ঢাকা থেকে ছেড়ে যায়।
ফ্লাইট নম্বর N8848 (NCR848) এর অধীনে একই কোম্পানির দ্বারা পরিচালিত দ্বিতীয় ফ্লাইটটি ১৯৫৪ ঘন্টা উড়ে ১১ এপ্রিল সরাসরি তেল আবিব থেকে ঢাকায় আসে এবং ১২ এপ্রিল ঢাকা ছেড়ে যায়। যদিও দুটি ফ্লাইটই সরাসরি তেল আবিব থেকে ঢাকায় এসেছিল, তারা বাংলাদেশ থেকে রওনা হওয়ার পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ বিমানবন্দরে তাদের পরবর্তী স্টপেজ করে ।

যদিও বাংলাদেশ ও ইসরায়েলের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, এবং বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরাইলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না, সাম্প্রতিক অতীতে অনুসন্ধানকারী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে বাংলাদেশ ইসরায়েলের কাছ থেকে উন্নত নজরদারি সরঞ্জাম এবং স্পাইওয়্যার সংগ্রহ করেছে। এই প্রতিবেদনে আরো অভিযোগ করা হয়েছে যে বাংলাদেশী সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন এবং বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে জড়িত। তবে এর আগে ইসরায়েল থেকে বাংলাদেশে সরাসরি ফ্লাইটের কোনো নজির নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত মন্তব্য করেছেন যে , জরুরী অবতরণ ছাড়া বাংলাদেশে পণ্য বহনকারী ইসরায়েল ফ্লাইটের অবতরণ একটি নজিরবিহীন ঘটনা। কারণ দুদেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই এবং বাংলাদেশ ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেয় না।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের নিন্দা করেছেন ।তিনি একাধিকবার প্রকাশ্যে ইসরায়েলের সমালোচনা করে বলেছেন -‘ইসরায়েল আক্ষরিক অর্থে ফিলিস্তিনে গণহত্যা করছে। ‘আজ অবধি, ইসরায়েলি হামলায় ৩৩,০০০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে, যার মধ্যে ২৫,০০০ নারী ও শিশু। বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, দুটি ফ্লাইটের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে তারা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ।

তথ্যসূত্র মানবজমিন