ঢাকাসহ চার বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার যে তাপপ্রবাহ আরও তিন দিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
বুধবার (৩ এপ্রিল) তিনি বলেন, ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা আরও তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপপ্রবাহের এলাকার বিস্তারও হতে পারে। তাপমাত্রা বাড়বে বলে আমরা অ্যালার্ট করছি, যাকে হিট এলার্ট বলে থাকি।
চুয়াডাঙ্গা ও ঈশ্বরদীতে বুধবার দেশের সর্বোচ্চ ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
বজলুর রশীদ বলেন, আগামী তিন দিনের মধ্যে কোথাও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও উঠতে পারে।
চলতি মৌসুমে সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল। মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ৩৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
থার্মোমিটারের পারদ ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে আবহাওয়াবিদরা তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে। উষ্ণতা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।
চৈত্রের এ সময়ে গরমের পাশাপাশি ঝড়ো হাওয়ার আভাসও রয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টিও হতে পারে। এ ছাড়া অন্যান্য জায়গায় আকাশ আংশিক মেঘলা এবং আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
বাতাসে আর্দ্রতা বাড়ায় তুলনামূলক বেশি থাকায় অস্বস্তিকর গরম বিরাজ করছে।
অপরদিকে আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি এপ্রিল মাসে দুই থেকে চারটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আর এক থেকে দুটি তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হতে পারে, সে সময় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রিতে উঠতে পারে।
সেই সঙ্গে থাকবে কালবৈশাখীর দাপট। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ অথবা ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।