ঢাকা ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতীয় রুপির দর সর্বকালের সর্বনিম্ন

ভারতের মুদ্রার অবমূল্যায়ন কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না। বুধবারও (৩ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে মুদ্রাটির দরপতন ঘটেছে। এতে আবারও ভারতীয় রুপির মান সর্বকালের সর্বনিম্নে নেমে গেছে। দেশটির বাণিজ্যভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

এতে বলা হয়, আলোচ্য কার্যদিবসে প্রতি মার্কিন ডলার বিক্রি হয়েছে ৮৩ দশমিক ৪৪ রুপিতে। ভারতের ইতিহাসে যা সর্বকালের সর্বনিম্ন। অর্থাৎ এর আগে কখনও নিজেদের মুদ্রার দর এত কম দেখেননি ভারতীয়রা।

আগের দিন (মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল) ডলারপ্রতি দাম ছিল ৮৩ দশমিক ৩৮ রুপি। পরের দিন তা আরও কমেছে। এ নিয়ে সবমিলিয়ে চলতি বছর গ্রিনব্যাকের বিপরীতে ইন্ডিয়ান কারেন্সির অবনমন ঘটেছে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। গত বছরের শেষদিক থেকে যা অব্যাহত আছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে ইউএস বন্ড ইল্ড ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। তাতে এশিয়ার মুদ্রাগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি আমদানিকারকদের কাছে মার্কিন ডলারের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ফের ভারতীয় রুপির মূল্যমান সর্বকালের সর্বনিম্নে নেমে গেছে।

সম্প্রতি বিনিয়োগকারীরা জানান, ভারতের সরকারি ব্যাংকগুলোতে মূল বৈশ্বিক মুদ্রা ডলারের চাহিদা ব্যাপক রয়েছে। মূলত, আমদানিকারকদের কাছে মুদ্রাটির আবেদন রয়েছে তুমুল। এছাড়া বৈদেশিক তহবিলের প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ব্যাপক চাপে পড়েছে ভারতীয় রুপি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বগুড়ায় যুবদল নেতাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত

ভারতীয় রুপির দর সর্বকালের সর্বনিম্ন

আপডেট সময় ১২:৫৯:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪

ভারতের মুদ্রার অবমূল্যায়ন কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না। বুধবারও (৩ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে মুদ্রাটির দরপতন ঘটেছে। এতে আবারও ভারতীয় রুপির মান সর্বকালের সর্বনিম্নে নেমে গেছে। দেশটির বাণিজ্যভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

এতে বলা হয়, আলোচ্য কার্যদিবসে প্রতি মার্কিন ডলার বিক্রি হয়েছে ৮৩ দশমিক ৪৪ রুপিতে। ভারতের ইতিহাসে যা সর্বকালের সর্বনিম্ন। অর্থাৎ এর আগে কখনও নিজেদের মুদ্রার দর এত কম দেখেননি ভারতীয়রা।

আগের দিন (মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল) ডলারপ্রতি দাম ছিল ৮৩ দশমিক ৩৮ রুপি। পরের দিন তা আরও কমেছে। এ নিয়ে সবমিলিয়ে চলতি বছর গ্রিনব্যাকের বিপরীতে ইন্ডিয়ান কারেন্সির অবনমন ঘটেছে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। গত বছরের শেষদিক থেকে যা অব্যাহত আছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে ইউএস বন্ড ইল্ড ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। তাতে এশিয়ার মুদ্রাগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি আমদানিকারকদের কাছে মার্কিন ডলারের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ফের ভারতীয় রুপির মূল্যমান সর্বকালের সর্বনিম্নে নেমে গেছে।

সম্প্রতি বিনিয়োগকারীরা জানান, ভারতের সরকারি ব্যাংকগুলোতে মূল বৈশ্বিক মুদ্রা ডলারের চাহিদা ব্যাপক রয়েছে। মূলত, আমদানিকারকদের কাছে মুদ্রাটির আবেদন রয়েছে তুমুল। এছাড়া বৈদেশিক তহবিলের প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ব্যাপক চাপে পড়েছে ভারতীয় রুপি।