ঢাকা ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদবাজারে কম বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় পোশাক

রাজনৈতিক অঙ্গণসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সর্বত্রই এখন ‘ইন্ডিয়া আউট’ ক্যাম্পেইনে উত্তাল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতীয় পণ্য বর্জনের যে ঢেউ দৃশ্যমান হয়ে রাজনীতি মাঠে গড়িয়েছে তাতে এবারের ঈদ বাজারে ভারতীয় পণ্য বর্জনের পক্ষে ক্রেতাদের একটি বড় অংশই দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে।

ঈদের আরও ১০ থেকে ১১ দিন বাকি। কিন্তু রাজধানীর নগরীর শপিংমল, দেশিয় ব্যান্ডের বিভিন্ন হাউজ ও মার্কেটের দিকে তাকালে মনে হবে এই বুঝি ঈদ এসে গেলো। এবারে ঈদকে সামনে রেখে দশ রোজার পর থেকেই নগরীর মার্কেট ও দেশি ব্র্যান্ডের ফ্যাশন হাউজে শুরু হয়েছে অভিভাবকসহ তরুণ-তরুণীদের ড্রেস ও প্রয়োজনীয় পন্যসামগ্রী কেনাকাটার ধূম। এবারে পোশাক থেকে শুরু করে জুতা, কসমেটিকস, গহনাসহ ঈদ আনুষঙ্গিক সকল জিনিষপত্রের দাম গতবারের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। দাম বাড়লেও কেনাকাটা তো থেমে নেই। কারণ মুসলমানদের সর্ববৃহৎ ঈদোৎসব বলে কথা।

ঈদকে সামনে রেখে একদিকে বাহারি পোশাকের সম্ভার নিয়ে সেজেছে বিভিন্ন দেশিয় ব্য্যান্ডের শো-রুমগুলো। আরেকদিকে নগরীর ছোট-বড় শপিংমলগুলোতে ভারতের মুম্বাই ও কোলকাতার থ্রিপিসসহ মেয়েদের বিভিন্ন আইটেমের পোশাক বেচাবক্রিতে এবারে ‘ইন্ডিয়া আউট’ ক্যাম্পেইনের প্রভাব পড়েছে। ভারতের আইস্তা, রাখী, বর্ষা, কাভি, কোরা, কিলল, জিবা, রিলেসা, সামার, মিলান, আনজারা ব্র্যান্ডের কটন ও জর্জেট কাপড়ের থ্রিপিসের জায়গা থেকে তরুণীদের দৃষ্টি ফিরেছে পাকিস্তানের গুলজি, মর্জা, আগানূর, তায়াক্কাল, রাঙরাসিয়া, রুহাই সাকুন, মাহাজাল, বিনসাইদ, বিনহামিদ, মার্শাল, আলিয়াসহ আরো বেশকিছু ব্র্যান্ডের থ্রিপিসের দিকে। তবে সব বয়সী নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোরদের একটি বড় অংশ দেশিয় ব্র্যান্ডের হাউজগুলোর দিকে ঝুঁকেছে। শুক্রবার ও শনিবার ছুটিরদিন হওয়ায় দেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফ্যাশন হাউজ ও শপিংমলের দোকানগুলোতে জমে ওঠে ঈদের কেনাকাটা। দেশিয় ব্র্যান্ডের প্রতি তরুণ-তরুণীদের আকৃষ্ট করতে নগরীর নজরুল এভিনিউতে আড়ং, ফড়িং, জেন্টেল পার্ক, রঙ, অঞ্জনস, কে-ক্রাফট, টুয়েলভ, বাদুরতলায় ইনফিনিটি, সেইলর, আর্ট, ক্যাটসআই, লাকসাম রোডে টপটেন, ইজি, ঝাউতলায় দর্জিবাড়িসহ আরও বেশকিছু দেশিয় ফ্যাশন হাউজের শো-রুমে নানা ডিজাইনের ড্রেস প্রদর্শন করা হয়েছে।

মার্কেটে থ্রিপিস কিনতে আসা ক্রেতারা বলেন, ফেসবুকে ভারতীয় পণ্যবর্জনের যে ক্যাম্পেই চলছে তাতে আমরাও সাড়া দিয়েছি। প্রায় ঈদে তো ইন্ডিয়ান থ্রিপিস কিনি, এবারে আড়ং থেকে কিনেছি এবং বিদেশি পণ্যের প্রতি মোহ থাকায় পাকিস্তানি ব্র্যান্ডের থ্রিপিস কিনেছি রিলেশান থেকে।

বিক্রেতারা জানান, ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাকে সম্ভবত ক্রেতারা সারা দিচ্ছেন, বেচাবিক্রির গতিতে এমনটাই মনে হচ্ছে। তবে এবারে উন্নত মানের দেশি থ্রিপিস ভাল বিক্রি হচ্ছে, আবার মেয়েরা এবারে পাকিস্তানি ব্যান্ডের থ্রিপিস বেশি পছন্দ করছে। কিন্তু ইন্ডিয়ান ব্র্যান্ডের থ্রিপিস গত ঈদের তুলনায় এখন পর্যন্ত বিক্রির পরিমান কম হচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ঈদবাজারে কম বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় পোশাক

আপডেট সময় ০১:৪১:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪

রাজনৈতিক অঙ্গণসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সর্বত্রই এখন ‘ইন্ডিয়া আউট’ ক্যাম্পেইনে উত্তাল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতীয় পণ্য বর্জনের যে ঢেউ দৃশ্যমান হয়ে রাজনীতি মাঠে গড়িয়েছে তাতে এবারের ঈদ বাজারে ভারতীয় পণ্য বর্জনের পক্ষে ক্রেতাদের একটি বড় অংশই দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে।

ঈদের আরও ১০ থেকে ১১ দিন বাকি। কিন্তু রাজধানীর নগরীর শপিংমল, দেশিয় ব্যান্ডের বিভিন্ন হাউজ ও মার্কেটের দিকে তাকালে মনে হবে এই বুঝি ঈদ এসে গেলো। এবারে ঈদকে সামনে রেখে দশ রোজার পর থেকেই নগরীর মার্কেট ও দেশি ব্র্যান্ডের ফ্যাশন হাউজে শুরু হয়েছে অভিভাবকসহ তরুণ-তরুণীদের ড্রেস ও প্রয়োজনীয় পন্যসামগ্রী কেনাকাটার ধূম। এবারে পোশাক থেকে শুরু করে জুতা, কসমেটিকস, গহনাসহ ঈদ আনুষঙ্গিক সকল জিনিষপত্রের দাম গতবারের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। দাম বাড়লেও কেনাকাটা তো থেমে নেই। কারণ মুসলমানদের সর্ববৃহৎ ঈদোৎসব বলে কথা।

ঈদকে সামনে রেখে একদিকে বাহারি পোশাকের সম্ভার নিয়ে সেজেছে বিভিন্ন দেশিয় ব্য্যান্ডের শো-রুমগুলো। আরেকদিকে নগরীর ছোট-বড় শপিংমলগুলোতে ভারতের মুম্বাই ও কোলকাতার থ্রিপিসসহ মেয়েদের বিভিন্ন আইটেমের পোশাক বেচাবক্রিতে এবারে ‘ইন্ডিয়া আউট’ ক্যাম্পেইনের প্রভাব পড়েছে। ভারতের আইস্তা, রাখী, বর্ষা, কাভি, কোরা, কিলল, জিবা, রিলেসা, সামার, মিলান, আনজারা ব্র্যান্ডের কটন ও জর্জেট কাপড়ের থ্রিপিসের জায়গা থেকে তরুণীদের দৃষ্টি ফিরেছে পাকিস্তানের গুলজি, মর্জা, আগানূর, তায়াক্কাল, রাঙরাসিয়া, রুহাই সাকুন, মাহাজাল, বিনসাইদ, বিনহামিদ, মার্শাল, আলিয়াসহ আরো বেশকিছু ব্র্যান্ডের থ্রিপিসের দিকে। তবে সব বয়সী নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোরদের একটি বড় অংশ দেশিয় ব্র্যান্ডের হাউজগুলোর দিকে ঝুঁকেছে। শুক্রবার ও শনিবার ছুটিরদিন হওয়ায় দেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফ্যাশন হাউজ ও শপিংমলের দোকানগুলোতে জমে ওঠে ঈদের কেনাকাটা। দেশিয় ব্র্যান্ডের প্রতি তরুণ-তরুণীদের আকৃষ্ট করতে নগরীর নজরুল এভিনিউতে আড়ং, ফড়িং, জেন্টেল পার্ক, রঙ, অঞ্জনস, কে-ক্রাফট, টুয়েলভ, বাদুরতলায় ইনফিনিটি, সেইলর, আর্ট, ক্যাটসআই, লাকসাম রোডে টপটেন, ইজি, ঝাউতলায় দর্জিবাড়িসহ আরও বেশকিছু দেশিয় ফ্যাশন হাউজের শো-রুমে নানা ডিজাইনের ড্রেস প্রদর্শন করা হয়েছে।

মার্কেটে থ্রিপিস কিনতে আসা ক্রেতারা বলেন, ফেসবুকে ভারতীয় পণ্যবর্জনের যে ক্যাম্পেই চলছে তাতে আমরাও সাড়া দিয়েছি। প্রায় ঈদে তো ইন্ডিয়ান থ্রিপিস কিনি, এবারে আড়ং থেকে কিনেছি এবং বিদেশি পণ্যের প্রতি মোহ থাকায় পাকিস্তানি ব্র্যান্ডের থ্রিপিস কিনেছি রিলেশান থেকে।

বিক্রেতারা জানান, ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাকে সম্ভবত ক্রেতারা সারা দিচ্ছেন, বেচাবিক্রির গতিতে এমনটাই মনে হচ্ছে। তবে এবারে উন্নত মানের দেশি থ্রিপিস ভাল বিক্রি হচ্ছে, আবার মেয়েরা এবারে পাকিস্তানি ব্যান্ডের থ্রিপিস বেশি পছন্দ করছে। কিন্তু ইন্ডিয়ান ব্র্যান্ডের থ্রিপিস গত ঈদের তুলনায় এখন পর্যন্ত বিক্রির পরিমান কম হচ্ছে।