ঢাকা ১০:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ থেকে আম, কাঁঠাল ও আলু নিতে চায় চীন

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৮:৩৯:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
  • 200

বাংলাদেশ থেকে আম, কাঁঠাল ও আলু নিতে চায় চীন

বাংলাদেশ থেকে আম, কাঁঠাল, আলু, চামড়াজাত ও পাটজাত পণ্য আমদানি করতে আগ্রহী চীন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এ তথ্য জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তারা এ তথ্য জানান।

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই করতে যৌথভাবে খসড়া সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

কবে নাগাদ এফটিএ সই হতে পারে- সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে জ্যেষ্ঠ সচিব বলেন, এখনো চুক্তি হয়নি। এখন আলোচনা শুরু হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন করতে পারলে ভালো। যদি না হয় আমাদের আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। আলোচনা শেষ না হলে ততোদিন যেন আমাদের এলডিসি হিসেবে এ সুবিধাগুলো দেয় তার জন্য বলবো।

চুক্তির ফলে বাংলাদেশ কী ধরনের সুবিধা পাবে- এ প্রশ্নে তপন কান্তি বলেন, আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্যের মধ্যে তৈরি পোশাক পণ্যের বাইরেও আরও কিছু পণ্য আছে। রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যখন আলাপ করছিলাম তিনি জানিয়েছেন আমের অনেক সম্ভাবনা আছে। পাটজাত পণ্যের অনেক সম্ভাবনা আছে। তারপর হস্তশিল্পের বিষয় আছে।

তিনি বলেন, এর বাইরে আরও পণ্য আছে। আমরা এরই মধ্যে চামড়া রপ্তানি করছি। আমরা মানসম্পন্ন চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারি। চীনে ১৪০ কোটি মানুষ। সেখানে যদি আমরা বৈচিত্র্যময় পণ্য নিয়ে যেতে পারি তবে সেটা হতে পারে বিশাল বাজার। চুক্তি হয়ে গেলে বিনিয়োগ বাড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। এ অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টির পাশাপাশি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করবে।

যার মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে পণ্য রপ্তানির সময় শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা ২০২৬ সালের পরে হারানো এবং মূল্য সংযোজনের হার অন্যতম। এর ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যকে ওইসব দেশের বাজারে প্রবেশের সময় সাধারণভাবে আরোপিত শুল্কের সম্মুখীন হতে হবে। এতে ওইসব দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংকোচনের সম্ভাবনা রয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশ থেকে আম, কাঁঠাল ও আলু নিতে চায় চীন

আপডেট সময় ০৮:৩৯:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

বাংলাদেশ থেকে আম, কাঁঠাল, আলু, চামড়াজাত ও পাটজাত পণ্য আমদানি করতে আগ্রহী চীন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এ তথ্য জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তারা এ তথ্য জানান।

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই করতে যৌথভাবে খসড়া সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

কবে নাগাদ এফটিএ সই হতে পারে- সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে জ্যেষ্ঠ সচিব বলেন, এখনো চুক্তি হয়নি। এখন আলোচনা শুরু হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন করতে পারলে ভালো। যদি না হয় আমাদের আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। আলোচনা শেষ না হলে ততোদিন যেন আমাদের এলডিসি হিসেবে এ সুবিধাগুলো দেয় তার জন্য বলবো।

চুক্তির ফলে বাংলাদেশ কী ধরনের সুবিধা পাবে- এ প্রশ্নে তপন কান্তি বলেন, আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্যের মধ্যে তৈরি পোশাক পণ্যের বাইরেও আরও কিছু পণ্য আছে। রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যখন আলাপ করছিলাম তিনি জানিয়েছেন আমের অনেক সম্ভাবনা আছে। পাটজাত পণ্যের অনেক সম্ভাবনা আছে। তারপর হস্তশিল্পের বিষয় আছে।

তিনি বলেন, এর বাইরে আরও পণ্য আছে। আমরা এরই মধ্যে চামড়া রপ্তানি করছি। আমরা মানসম্পন্ন চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারি। চীনে ১৪০ কোটি মানুষ। সেখানে যদি আমরা বৈচিত্র্যময় পণ্য নিয়ে যেতে পারি তবে সেটা হতে পারে বিশাল বাজার। চুক্তি হয়ে গেলে বিনিয়োগ বাড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। এ অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টির পাশাপাশি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করবে।

যার মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে পণ্য রপ্তানির সময় শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা ২০২৬ সালের পরে হারানো এবং মূল্য সংযোজনের হার অন্যতম। এর ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যকে ওইসব দেশের বাজারে প্রবেশের সময় সাধারণভাবে আরোপিত শুল্কের সম্মুখীন হতে হবে। এতে ওইসব দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংকোচনের সম্ভাবনা রয়েছে।