ঢাকা ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মৌলভীবাজারে হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা Logo গাজীপুরে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা, তীব্র নিন্দা জামায়াতের Logo সমালোচনার মুখে ব্রিটিশ সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেন রুশনারা আলী Logo লালপুরে প্রাইভেটকার থেকে নামিয়ে ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা Logo তফসিল ঘোষণার পর দেশে ফিরবেন তারেক রহমান Logo বিকেলে চাঁদাবাজি নিয়ে লাইভ, রাতে সাংবাদিককে গলা কেটে হত্যা Logo ক্যান্সারে আক্রান্ত ১৪ বছরের কিশোর রুবেল বাঁচতে চায় Logo কারামতিয়া মাদ্রাসায় ছাত্রাবাস নির্মাণসহ বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান Logo বাংলাদেশে শরিয়তবিরোধী কোনো আইন প্রণীত হবে না: সালাহউদ্দিন আহমদ Logo তিন শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে শাহ সুলতান কলেজ ছাত্রশিবিরের নবীন বরণ অনুষ্ঠান

যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৪:২১:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
  • 227

যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত

যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশের গুলিতে এক বাংলাদেশি তরুণ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিউ ইয়র্কের কুইন্স এলাকায় গতকাল বুধবার তাদের নিজ বাসায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ১৯ বছর বয়সী উইন রোজারিওকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পুলিশ সদস্যদের দিকে এক জোড়া কাঁচি নিয়ে তেড়ে গেলে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি চালায় বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান।

পুলিশ সদস্য জন চেল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ঘটনার দিন দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে তারা একটি ফোন কল পান। মানসিক যন্ত্রণায় ভোগা ওই তরুণ ৯১১ নম্বরে ফোন করে সহায়তা চেয়েছিলেন। এর পরেই পুলিশ সদস্যরা তার বাসায় যান। ওই সময় বাড়ির দোতলায় অবস্থান করছিলেন রোজারিও।

পুলিশ তাকে হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করলে কাঁচি নিয়ে পুলিশের দিকে তেড়ে যান। তখন আত্মরক্ষার্থে পুলিশ তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ গুলি চালানোর পরপরই উইন রোজারিওকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পুলিশ সদস্যরা দাবি করেছেন, সেই মুহূর্তে গুলি করা ছাড়া কোনো বিকল্প পথ তাঁদের কাছে ছিল না।

রোজারিওকে লক্ষ্য করে ঠিক কয়টি গুলি চালানো হয়েছে তা উল্লেখ করেনি পুলিশ। তবে পরিবারের দাবি, ছয়টি গুলি ছোড়া হয়েছিল। পুরো ঘটনাটি পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে থাকা ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে বলে নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তবে সেই ভিডিও তাৎক্ষণিক প্রকাশ করা হয়নি। তবে প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ড্রয়ার থেকে জোড়া কাঁচি বের করে পুলিশের দিকে তেড়ে যাওয়ার সময় রোজারিওর মা তাকে জাপটে ধরে রাখেন।

নিহত রোজারিওর ছোট ভাই উশতো রোজারিও (১৭) ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং পুলিশ ঘটনার যে বিবরণ দিয়েছে, তার সঙ্গে একমত নয়। সে বলেছে, তার মা রোজারিওকে জাপটে ধরে আটকাচ্ছিলেন। পুলিশ সদস্যদের তখন গুলি চালানোর প্রয়োজন ছিল না। নিহত উইন রোজারিওর বাবা ফ্রান্সিস রোজারিও বলেন, ১০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হন। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন ছিল রোজারিওর। নিউ ইয়র্কের কুইন্স এলাকায় ওজন পার্কের ১০৩ নম্বর স্ট্রিটের একটি অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করছিল পরিবারটি। গত দুই মাসে এ নিয়ে নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে তিনজন নিহত হলেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

মৌলভীবাজারে হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত

আপডেট সময় ০৪:২১:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশের গুলিতে এক বাংলাদেশি তরুণ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিউ ইয়র্কের কুইন্স এলাকায় গতকাল বুধবার তাদের নিজ বাসায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ১৯ বছর বয়সী উইন রোজারিওকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পুলিশ সদস্যদের দিকে এক জোড়া কাঁচি নিয়ে তেড়ে গেলে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি চালায় বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান।

পুলিশ সদস্য জন চেল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ঘটনার দিন দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে তারা একটি ফোন কল পান। মানসিক যন্ত্রণায় ভোগা ওই তরুণ ৯১১ নম্বরে ফোন করে সহায়তা চেয়েছিলেন। এর পরেই পুলিশ সদস্যরা তার বাসায় যান। ওই সময় বাড়ির দোতলায় অবস্থান করছিলেন রোজারিও।

পুলিশ তাকে হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করলে কাঁচি নিয়ে পুলিশের দিকে তেড়ে যান। তখন আত্মরক্ষার্থে পুলিশ তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ গুলি চালানোর পরপরই উইন রোজারিওকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পুলিশ সদস্যরা দাবি করেছেন, সেই মুহূর্তে গুলি করা ছাড়া কোনো বিকল্প পথ তাঁদের কাছে ছিল না।

রোজারিওকে লক্ষ্য করে ঠিক কয়টি গুলি চালানো হয়েছে তা উল্লেখ করেনি পুলিশ। তবে পরিবারের দাবি, ছয়টি গুলি ছোড়া হয়েছিল। পুরো ঘটনাটি পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে থাকা ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে বলে নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তবে সেই ভিডিও তাৎক্ষণিক প্রকাশ করা হয়নি। তবে প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ড্রয়ার থেকে জোড়া কাঁচি বের করে পুলিশের দিকে তেড়ে যাওয়ার সময় রোজারিওর মা তাকে জাপটে ধরে রাখেন।

নিহত রোজারিওর ছোট ভাই উশতো রোজারিও (১৭) ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং পুলিশ ঘটনার যে বিবরণ দিয়েছে, তার সঙ্গে একমত নয়। সে বলেছে, তার মা রোজারিওকে জাপটে ধরে আটকাচ্ছিলেন। পুলিশ সদস্যদের তখন গুলি চালানোর প্রয়োজন ছিল না। নিহত উইন রোজারিওর বাবা ফ্রান্সিস রোজারিও বলেন, ১০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হন। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন ছিল রোজারিওর। নিউ ইয়র্কের কুইন্স এলাকায় ওজন পার্কের ১০৩ নম্বর স্ট্রিটের একটি অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করছিল পরিবারটি। গত দুই মাসে এ নিয়ে নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে তিনজন নিহত হলেন।